‘বেদের মেয়ে’ নাটকটির রচয়িতা পল্লিকবি জসীম উদ্দীন। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে।
• জসীম উদ্দীন রচিত অন্যান্য নাটক:
-
পদ্মাপার
-
বেদের মেয়ে
-
মধুমালা
-
পল্লীবধূ
-
গ্রামের মেয়ে
'মানুষ মরে গেলে পচে যায়। বেঁচে থাকলে বদলায়।'- উক্তিটি কোন রচনার অন্তর্ভুক্ত?
A
সাজাহান
B
কবর
C
রক্তাক্ত প্রান্তর
D
নুরলদীনের সারাজীবন
উত্তরের বিবরণ
রক্তাক্ত প্রান্তর ও মুনীর চৌধুরী
‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ নাটকটি মুনীর চৌধুরী রচিত এবং মহাকবি কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ গ্রন্থের কাহিনি অবলম্বনে রচিত।
এটি মুনীর চৌধুরীর প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌলিক নাটক।
নাটকটি পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ (১৭৬১)-এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন অঙ্কে রচিত।
যদিও ঘটনাভিত্তিক, এটি একটি ইতিহাস-আশ্রিত নাটক, সরাসরি ঐতিহাসিক রচনা নয়।
নাটকের জনপ্রিয় উক্তি: “মানুষ মরে গেলে পচে যায়। বেঁচে থাকলে বদলায়।” — নবাব সুজাউদ্দৌলার মুখোমুখি বলা।
নাটকের প্রধান চরিত্র:
ইব্রাহিম কার্দি
জোহরা
হিরণবালা
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য নাটক:
‘সাজাহান’ — দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত ঐতিহাসিক নাটক (১৯০৯)
‘কবর’ — মুনীর চৌধুরী রচিত নাটক, ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লেখা; ১৯৫৩ সালে জেলের রাজবন্দিদের দ্বারা প্রথম অভিনীত, ১৯৬৬ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত।
‘নুরলদীনের সারাজীবন’ — সৈয়দ শামসুল হক রচিত ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক নাটক।
0
Updated: 1 month ago
'দণ্ডকারণ্য' নাটকের রচয়িতা কে?
Created: 6 days ago
A
মুনীর চৌধুরী
B
শওকত ওসমান
C
আবু ইসহাক
D
এনামুল হক
মুনীর চৌধুরী ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক, ভাষাবিজ্ঞানী, বাগ্মী ও শহিদ বুদ্ধিজীবী। তাঁর সাহিত্য ও নাট্যকর্মে দেশপ্রেম, প্রতিবাদ এবং মানবতার বোধ স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
রক্তাক্ত প্রান্তর (১৯৬২): এই নাটকের মূল উপজীব্য পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের কাহিনী। নাটকটিতে তিনি যুদ্ধের বিভীষিকা ও যুদ্ধবিরোধী মনোভাব তুলে ধরেন। এই নাটকের জন্য তিনি ১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
চিঠি (১৯৬৬): মানবিক সম্পর্ক ও আবেগের জটিলতা তুলে ধরা একটি মননশীল নাটক।
কবর (রচনাকাল ১৯৫৩, প্রকাশকাল ১৯৬৬): এটি পূর্ববাংলার প্রথম প্রতিবাদী নাটক, যার পটভূমি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। নাটকটি তৎকালীন রাজনৈতিক বাস্তবতা ও জাতীয় চেতনার প্রতীক।
দণ্ডকারণ্য (১৯৬৬): এটি একটি রূপকাশ্রয়ী নাটক, যেখানে সমাজ ও মানবজীবনের বাস্তব সংকটকে প্রতীকীভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
পলাশী ব্যারাক ও অন্যান্য (১৯৬৯): রাজনৈতিক দমননীতি, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা ও জাতীয়তাবোধের প্রতিফলন ঘটেছে এই নাটকে।
মুনীর চৌধুরীর রচনাসমূহ বাংলাদেশের নাট্যসাহিত্যের ইতিহাসে অনন্য স্থান দখল করে আছে এবং তাঁর জীবন ও কর্ম আজও প্রেরণার উৎস।
0
Updated: 6 days ago
'বেদের মেয়ে' নাটকটির রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
জসীম উদদীন
C
আল মাহমুদ
D
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
0
Updated: 1 month ago
১৪) প্রহসন বাংলা সাহিত্যের কোন যুগের নাট্যধারা?
Created: 2 months ago
A
আদি যুগ
B
মধ্যযুগ
C
আধুনিক যুগ
D
পাল যুগ
প্রহসন — বাংলা সাহিত্যের আধুনিক নাট্যধারা
আধুনিক যুগের সাহিত্য
১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ।
এই কলেজের পাঠ্যপুস্তক রচনার মধ্য দিয়েই বাংলা সাহিত্য প্রবেশ করে আধুনিক যুগে।
আখ্যানকাব্য, মহাকাব্য, নাটক-প্রহসন, গীতিকাব্য এবং সংবাদপত্র/সাময়িকপত্রের মাধ্যমে উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলা সাহিত্য বিশ্ব সাহিত্যের দরবারে প্রবেশ করে।
আধুনিক যুগের সাহিত্যকীর্তির বিস্তারের কারণে এ যুগের সামগ্রিক সাহিত্যসৃষ্টির পরিচয় দেওয়া প্রায় অসম্ভব।
প্রধান রূপ ও সম্ভার
উপন্যাস: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সমরেশ বসু, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, হুমায়ূন আহমেদ।
কবিতা: কাজী নজরুল ইসলাম, সুকান্ত ভট্টাচার্য, জীবনানন্দ দাশ, শামসুর রাহমান, জয় গোস্বামী।
নাটক: দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, বিজন ভট্টাচার্য, সেলিম আলদীন।
মহাকাব্য: মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিভা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও আধুনিক যুগেরই ফসল।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 2 months ago