পদাবলী লিখেছেন-
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
মাইকেল মধুসূদন
C
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
D
কায়কোবাদ
উত্তরের বিবরণ
ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী
‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত একটি অনন্য কাব্যগ্রন্থ, যা বৈষ্ণব পদাবলির ধারা অনুসরণ করে এবং ব্রজবুলি ভাষায় রচিত।
এই কাব্যের প্রথম প্রকাশ ঘটে বাংলা সন ১২৯১ সালের আষাঢ় মাসে। প্রকাশের সময় কবির ছদ্মনাম হিসেবে ব্যবহার করা হয় ‘ভানুসিংহ ঠাকুর’, আর প্রকৃত কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেই হন এই গ্রন্থের প্রকাশক।
প্রকাশনার সময় পাঠকদের উদ্দেশ্যে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “ভানুসিংহের পদাবলী শৈশবের গীতিসঙ্গীতের পরিপূরক স্বরূপ প্রকাশিত হইল। ইহার অধিকাংশ পদ পুরাতন পাণ্ডুলিপি থেকে উদ্ধার করিয়া সংগৃহীত।”
এই কাব্যগ্রন্থে বর্তমানে মোট ২০টি পদ সংকলিত আছে। এর মধ্যে দুটি বিখ্যাত কবিতা হলো— মরণ ও প্রশ্ন।
মরণ কবিতার একটি চিরস্মরণীয় পঙ্ক্তি:
"মরণ রে, তুই মম শ্যামসমান।"
উৎস: ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী কাব্য।
0
Updated: 3 months ago
'কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও'- এই কবিতা দিয়ে রবীন্দ্রনাথের কোন উপন্যাসটি সমাপ্ত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
নৌকাডুবি
B
চতুরঙ্গ
C
চার অধ্যায়
D
শেষের কবিতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘শেষের কবিতা’ একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৯ সালে। তবে এর কিছু অংশ ১৯২৮ সালে ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় ছাপা হয়। ভাষার অসাধারণ ঔজ্জ্বল্য, দৃপ্তশক্তি ও কবিত্বের দীপ্তি এই গ্রন্থকে স্বাতন্ত্র্যমণ্ডিত করেছে এবং এটি রবীন্দ্রনাথের অন্যতম বিস্ময়কর সৃষ্টি হিসেবে গণ্য হয়।
-
প্রকাশকাল: ১৯২৯ (প্রথমে ১৯২৮ সালে প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশিত)
-
উপন্যাসে ভাষার গুণে অসামান্য কবিত্ব ও শক্তির প্রকাশ ঘটেছে।
-
এর অনেক বাক্য প্রবাদের মর্যাদা পেয়েছে। যেমন:
“ফ্যাশনটা হলো মুখোশ, স্টাইলটা হলো মুখশ্রী।” -
পণ্ডিত সুকুমার সেন বলেন: “বৈষ্ণব সাধনার পরকীয়াতত্ত্ব রবীন্দ্রনাথের কবিমানসে যেভাবে রূপান্তর লাভ করিয়াছিল, ‘শেষের কবিতায়’ তাহার পরিচয় পাই।”
-
উপন্যাসটির সমাপ্তি হয়েছে কবিতা দিয়ে:
“কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও”
উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
অমিত
-
লাবণ্য
-
কেতকী
-
শোভনলাল প্রমুখ
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
রবীন্দ্রনাথের মতে বাংলা ভাষার কোন কবি প্রথম নিভৃতে বসে নিজের ছন্দে নিজের মনের কথা লেখেছেন?
Created: 2 weeks ago
A
বিহারীলাল চক্রবর্তী
B
মাইকেল মধুসুদন দত্ত
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
মোহিতলাল মজুমদার
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিহারীলাল চক্রবর্তীকে আধুনিক বাংলা কাব্যের এক নতুন যুগের সূচনাকারী কবি হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন। তাঁর মন্তব্য— “বিহারীলাল ... পুরাতন কবিদের ন্যায় পৌরাণিক উপাখ্যানের দিকেও গেলেন না, - তিনি নিভৃতে বসিয়া নিজের ছন্দে নিজের মনের কথা বলিলেন।” —এর মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ বোঝাতে চেয়েছেন যে, বিহারীলাল বাংলা কবিতাকে পৌরাণিক বিষয়বস্তুর সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করে ব্যক্তিমানসের জগতে প্রবেশ করিয়েছেন।
-
পুরনো কবিরা যেখানে পৌরাণিক কাহিনি, ধর্মীয় প্রতিপাদ্য ও বীরগাথা নিয়ে রচনা করতেন, বিহারীলাল সেখানে নিজের অন্তর্জগৎ, অনুভূতি ও আবেগকে প্রকাশ করেছেন।
-
তিনি বাংলা কাব্যে ব্যক্তিগত ভাব, প্রকৃতিপ্রেম ও আত্মসংলাপের ধারা সূচনা করেন।
-
তাঁর কবিতায় নিভৃত স্বর, আত্মমগ্নতা ও সংবেদনশীলতার আবহ তৈরি হয়, যা পরবর্তী কালে রবীন্দ্রনাথের কাব্যচেতনায় গভীর প্রভাব ফেলে।
-
ফলে রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিতে বিহারীলাল ছিলেন আধুনিকতার অগ্রদূত, যিনি বাংলা কাব্যে অন্তর্মুখী রোমান্টিকতার প্রবণতা প্রতিষ্ঠা করেন।
0
Updated: 2 weeks ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উপন্যাস কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
বনফুল
B
শেষ কথা
C
কবি-কাহিনী
D
শেষের কবিতা
‘শেষের কবিতা’ হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত একটি উপন্যাস, যা তাঁর রোমান্টিক ও মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গিকে ফুটিয়ে তোলে। এটি প্রকাশিত হয় ১৯২৯ সালে এবং সাহিত্যবিশ্লেষকরা এটিকে কাব্যোপন্যাস হিসেবেও উল্লেখ করেন। এই উপন্যাসে বিংশ শতকের বাংলার নবশিক্ষিত অভিজাত সমাজের জীবন ও চেতনা চিত্রিত হয়েছে।
উপন্যাসের প্রধান চরিত্রসমূহ:
-
অমিত
-
লাবণ্য
-
কেতকী রায়
-
শোভনলাল
অন্যদিকে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্মের মধ্যে আরও উল্লেখযোগ্য হলো—
-
তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ হলো ‘বনফুল’।
-
তিনি রচনা করেছেন ‘কবি-কাহিনী’, যা বাংলা সাহিত্য ও কাব্যিক চিন্তাধারার গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন।
-
এছাড়া, ‘শেষকথা’ তাঁর রচিত একটি ছোটগল্প, যা বাংলা সাহিত্যে ছোটগল্পধারার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
-
‘শেষের কবিতা’ উপন্যাসের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ মানব চেতনা, প্রেম ও সমাজচিন্তাকে কাব্যিক ছন্দে এবং মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিতে উপস্থাপন করেছেন।
-
এটি বাংলা সাহিত্যে কাব্যোপন্যাসধারার প্রতিষ্ঠা ও পরবর্তী সাহিত্যিকদের পথপ্রদর্শক হিসেবে পরিচিত।
0
Updated: 3 weeks ago