'সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেল।'- বিখ্যাত পদটি কার রচনা?
A
জ্ঞানদাস
B
চণ্ডীদাস
C
বিদ্যাপতি
D
গোবিন্দদাস
উত্তরের বিবরণ
জ্ঞানদাস
-
জ্ঞানদাস চৈতন্যোত্তর বাংলা সাহিত্যের একজন প্রখ্যাত কবি।
-
তিনি বাংলা ও ব্রজবুলি ভাষায় রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক প্রায় ২০০ (মতান্তরে ৪০০) পদ রচনা করেন।
-
তাঁর রচিত গুরুত্বপূর্ণ কাব্যগ্রন্থ দুটি হলো মাথুর ও মুরলীশিক্ষা, যা বৈষ্ণবগীতিকাব্যের অংশ।
জ্ঞানদাসের কবিতার কিছু বিখ্যাত পঙ্ক্তি:
-
রূপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর।
প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর।। -
সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেল।
অমিয়-সাগরে সিনান করিতে সকলি গরল ভেল।।
0
Updated: 1 month ago
'সিরাজুম মুনীরা' কাব্যের রচয়িতার নাম-
Created: 4 months ago
A
তালিম হোসেন
B
ফররুখ আহমদ
C
গোলাম মোস্তফা
D
আবুল হোসেন
'সিরাজাম মুনীরা’ কাব্যটির রচয়িতা- 'ফররুখ আহমদ'
ফররুখ আহমদ বিংশ শতকের একজন খ্যাতিমান বাংলা কবি। তিনি ১৯১৮ সালে মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানায় জন্মগ্রহণ করেন। আধুনিক বাংলা কবিতায় ইসলামী ভাবধারা ও সমাজসচেতনতা তুলে ধরার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অন্যতম পথিকৃৎ।
সাহিত্যিক খ্যাতি ও যাত্রা
◾ প্রথম খ্যাতি:
১৯৪৪ সালে কলকাতার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পটভূমিতে রচিত তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘লাশ’ কবিকে জনপ্রিয়তার প্রথম শিখরে পৌঁছে দেয়।
◾ প্রথম প্রকাশিত কাব্য:
‘সাত সাগরের মাঝি’ ছিল তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, যা তাঁকে কবি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে।
কাব্যগ্রন্থ ও সাহিত্যকর্ম
উল্লেখযোগ্য কাব্য:
-
সাত সাগরের মাঝি
-
সিরাজাম মুনিরা
-
মুহূর্তের কবিতা
-
নৌফেল ও হাতেম (কাব্যনাট্য)
-
হাতেমতায়ী (কাহিনিকাব্য)
-
হাবেদা মরুর কাহিনী
বিশেষ কাব্য:
-
‘সিরাজাম মুনিরা’ — ফররুখ আহমদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাব্যগ্রন্থ। এটি ইসলামী ভাবনাচিন্তা ও রূপকথার সৃজনশীল সংমিশ্রণে রচিত।
শিশুতোষ সাহিত্য
শিশুদের জন্যও তিনি চমৎকার সব সাহিত্য রচনা করেছেন। তাঁর শিশুতোষ রচনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
-
পাখির বাসা
-
হরফের ছড়া
-
ছড়ার আসর
উৎস:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা — ড. সৌমিত্র শেখর-
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 4 months ago
“এ বিশ্বকে এ-শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি…”- রচয়িতা?
Created: 12 hours ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
শামসুর রাহমান
C
জীবনানন্দ দাশ
D
সুকান্ত ভট্টাচার্য
এই লাইনটি মানবতার প্রতি এক গভীর আশাবাদের প্রকাশ, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ার আহ্বান জানায়। এটি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য-এর অমর কবিতা ‘ছাড়পত্র’ থেকে নেওয়া হয়েছে।
-
কবিতাটি তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘ছাড়পত্র’ (১৯৪৭)-এ অন্তর্ভুক্ত, যেখানে তিনি যুদ্ধ, দারিদ্র্য ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা দিয়েছেন।
-
কবিতার বক্তা নিজেকে এক সংগ্রামী শিশু হিসেবে উপস্থাপন করেছেন, যে পৃথিবীকে বাসযোগ্য করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
-
সুকান্তের রচনায় সমাজতান্ত্রিক চিন্তা ও মানবপ্রেমের প্রকাশ স্পষ্ট, যা তাঁকে অন্যান্য কবিদের থেকে পৃথক করেছে।
-
তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে ‘ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা’, ‘পৃথিবীকে চায় নতুন করে গড়তে’ ইত্যাদি বিশেষভাবে পরিচিত।
0
Updated: 12 hours ago
'বিলাতে সাড়ে সাতশ দিন' এর রচয়িতা -
Created: 1 week ago
A
মুনীর চৌধুরী
B
মুহম্মদ আব্দুল হাই
C
আবুল মনসুর আহমদ
D
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
উত্তর: খ) মুহম্মদ আব্দুল হাই
‘বিলাতে সাড়ে সাতশ দিন’ গ্রন্থটির রচয়িতা মুহম্মদ আব্দুল হাই। এটি একটি ভ্রমণকাহিনি, যেখানে লেখক তাঁর বিদেশযাত্রার অভিজ্ঞতা সাহিত্যিকভাবে তুলে ধরেছেন। বাংলা সাহিত্যে ভ্রমণবিষয়ক লেখার ধারায় এটি এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন, যা কেবল একটি ভ্রমণের বিবরণ নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও মানসিক অভিজ্ঞতার প্রতিচ্ছবি।
গ্রন্থটির মূল বিষয় হলো লেখকের ইংল্যান্ডে অবস্থানকালীন জীবন, শিক্ষা, সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে তাঁর পর্যবেক্ষণ। তিনি সেখানে কাটিয়েছেন প্রায় সাড়ে সাতশ দিন, সেই সময়ের প্রতিটি অভিজ্ঞতাকে সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করেছেন।
লেখাটির বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—
-
এতে বিদেশি সংস্কৃতি ও বাঙালি মানসিকতার পার্থক্য সূক্ষ্মভাবে চিত্রিত হয়েছে। লেখক তুলনামূলক দৃষ্টিতে পশ্চিমা জীবনধারা ও বাঙালি সমাজের সীমাবদ্ধতা ব্যাখ্যা করেছেন।
-
ভাষা ও শৈলীতে রয়েছে হাস্যরস, রসিকতা ও সূক্ষ্ম ব্যঙ্গ। এতে লেখকের ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিদীপ্ততা ও সাহিত্যিক পরিপক্বতা প্রকাশ পেয়েছে।
-
বইটিতে বিদেশি সমাজের প্রতি অবজারভেশনধর্মী বিশ্লেষণ পাওয়া যায়; তিনি কোনো কিছু অন্ধভাবে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করেননি, বরং যুক্তিনির্ভরভাবে বিচার করেছেন।
-
এটি শুধু একটি ভ্রমণকাহিনি নয়; এতে আত্মপ্রতিকৃতি, শিক্ষা ও মানবসম্পর্কের বিশ্লেষণও বিদ্যমান।
-
লেখক বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিদেশি প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করে জাতীয় পরিচয়ের প্রশ্নও উত্থাপন করেছেন।
-
‘বিলাতে সাড়ে সাতশ দিন’-এর ভাষা পরিশীলিত, কিন্তু সহজবোধ্য। লেখক তাঁর অভিজ্ঞতাকে এমনভাবে প্রকাশ করেছেন যে পাঠক মনে করে, সে নিজেও যেন সেই অভিজ্ঞতার অংশ।
মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিলেন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, ভাষাবিশারদ ও সাহিত্যসমালোচক। তিনি বাংলা সাহিত্যে যুক্তিবাদ, সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি ও মানবিক মূল্যবোধের প্রচারক হিসেবে পরিচিত। তাঁর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রচনার মধ্যে রয়েছে ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস’ (সহলেখক), ‘ভাষা ও সাহিত্য’, ‘প্রবন্ধসংগ্রহ’ প্রভৃতি।
সব মিলিয়ে, ‘বিলাতে সাড়ে সাতশ দিন’ কেবল একটি ভ্রমণকাহিনি নয়, এটি এক বুদ্ধিদীপ্ত সাহিত্য-ভ্রমণ, যেখানে একজন বাঙালি বুদ্ধিজীবীর চোখে বিদেশি সমাজ, সংস্কৃতি ও মানবজীবনের বহুমাত্রিক রূপ ধরা পড়েছে। এ কারণেই গ্রন্থটি বাংলা ভ্রমণসাহিত্যের এক ক্লাসিক হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 1 week ago