কোন রাজসভা কর্তৃক ভারতচন্দ্রকে 'রায়গুণাকর' উপাধি প্রদান করা হয়?
A
আরাকান রাজসভা
B
লক্ষ্মণ সেনের রাজসভা
C
রোসাঙ্গ রাজসভা
D
কৃষ্ণনগর রাজসভা
উত্তরের বিবরণ
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর ছিলেন মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি।
-
তিনি নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি ছিলেন।
-
কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে তিনি 'অন্নদামঙ্গল' কাব্য রচনা করেন, যা তিনটি খণ্ডে বিভক্ত।
-
এই কাব্যের জন্য মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র তাঁকে 'রায়গুণাকর' উপাধি দেন।
-
ভারতচন্দ্রের প্রথম কাব্য ছিল বিমিশ্র দেবতা সত্যনারায়ণের সম্মানে রচিত একটি পাঁচালি।
-
তাঁকে মধ্যযুগের শেষ বড় কবি বা নাগরিক কবি হিসেবেও অভিহিত করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
মঙ্গলযুগের সর্বশেষ কবি হিসেবে অভিহিত করা হয় কাকে?
Created: 1 month ago
A
কানাহরি দত্ত
B
মানিক দত্ত
C
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
D
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
মঙ্গলযুগের সর্বশেষ কবি হিসেবে ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর-কে অভিহিত করা হয়। তিনি বাংলা মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি হিসেবে পরিচিত।
• ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর:
-
তিনি ছিলেন নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি।
-
রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে তিনি রচনা করেন প্রসিদ্ধ ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্য।
-
এই কাব্যের মোট তিনটি খণ্ড ছিল।
-
কাব্যটির জন্য মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র তাঁকে ‘রায়গুণাকর’ উপাধি প্রদান করেন।
-
তাঁর প্রথম কাব্য ছিল বিমিশ্র দেবতা সত্যনারায়ণের সম্মানে রচিত একটি পাঁচালি।
-
সাহিত্যিক কৃতিত্বের কারণে তাঁকে মধ্যযুগের বা মঙ্গলযুগের শেষ বড় কবি এবং বাংলা সাহিত্যের নাগরিক কবি হিসেবে অভিহিত করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে।' - উক্তিটি কোন সাহিত্যিকের?
Created: 2 months ago
A
জ্ঞানদাস
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
D
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের অন্নদামঙ্গল কাব্য
কবিতার উদাহরণ:
-
“প্রণমিয়া পাটুনী কহিছে জোড় হাতে,
আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।”-
আলোচিত পঙক্তিটি অন্নদামঙ্গল কাব্যের 'আমার সন্তান' কবিতার অন্তর্গত
-
এখানে লেখক ঈশ্বরী পাটনীর মুখ দিয়ে বলেছেন “আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে”
-
অন্নদামঙ্গল কাব্য সম্পর্কে:
-
রচয়িতা: ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
-
তাকে মধ্যযুগের প্রথম নাগরিক কবি বলা হয়
-
প্রধান চরিত্র: মানসিংহ, ভবানন্দ, বিদ্যাসুন্দর, মালিনী, ঈশ্বরী পাটনী প্রমুখ
-
ভাগ: তিন খণ্ডে বিভক্ত
-
শিবনারায়ণ
-
কালিকামঙ্গল
-
মানসিংহ-ভবানন্দ খণ্ড
-
-
ঈশ্বরী পাটনীর উক্তি: "আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে"
কাব্যের কিছু বিখ্যাত পঙক্তি:
-
“মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।”
-
“নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়?”
-
“আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।”
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 2 months ago
বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগের শেষ কবি কে?
Created: 6 days ago
A
ভারতচন্দ্র রায়
B
বিজয় গুপ্ত
C
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
D
কানা হরিদত্ত
বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগের শেষ কবি হিসেবে পরিচিত ভারতচন্দ্র রায়। তাই সঠিক উত্তর হলো ভারতচন্দ্র রায়।
ভারতচন্দ্র রায় (প্রায় ১৭২০–১৭৯৩) বাংলা ভাষার ইতিহাসে মধ্যযুগীয় কাব্যধারার শেষ পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করেন। তিনি বাংলা কাব্যে নাট্যরস, প্রেম ও রোমান্টিকতার সমৃদ্ধ চিত্রায়ণ করেছেন। তাঁর কাব্যধারায় মধ্যযুগীয় ভক্তি, নৈতিকতা ও রূপকথামূলক কাহিনীর প্রভাব স্পষ্টভাবে দেখা যায়, যা পরবর্তী সময়ে বাংলা নবজাগরণের কবিদের সাহিত্যচিন্তায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
ভারতচন্দ্র রায়ের সবচেয়ে বিখ্যাত রচনা হলো ‘সীতারামকাব্য’। এই কাব্যগ্রন্থে তিনি রামায়ণ কাহিনীর প্রভাব নিয়ে বাংলা ভাষায় একটি সুন্দর, নাট্যরূপী কাব্য সৃষ্টি করেছেন। তাঁর রচনায় মধুরতা, অলঙ্কার ও ভাষার সুষম ব্যবহার লক্ষণীয়। এছাড়া কাব্যে চরিত্রের আবেগ, প্রেম ও ভক্তি প্রকাশের সূক্ষ্মতা মধ্যযুগীয় বাংলা কবিতার ধারা ধরে রাখে।
মধ্যযুগের বাংলা কবিতায় ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক ভাবের পাশাপাশি সামাজিক জীবন ও মানবীয় অনুভূতির প্রতিফলনও দেখা যায়। ভারতচন্দ্র রায়ের রচনায় এই সব উপাদান সুন্দরভাবে মিশে গেছে। তিনি কাব্যধারায় মধ্যযুগীয় রূপক ও অলঙ্কার ব্যবহারের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছেছেন, ফলে বাংলা সাহিত্যজগতে মধ্যযুগীয় কাব্যের সমাপ্তি চিহ্নিত হয়।
ভারতচন্দ্র রায়ের রচনার বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—
ভাষার সহজতা ও সৌন্দর্য: কাব্যের ভাষা সহজ ও মনোরম, যা সাধারণ পাঠককেও সহজে প্রভাবিত করে।
আলঙ্কার ও ছন্দের ব্যবহার: অলঙ্কার, অনুপ্রাস ও ছন্দরীতির মাধ্যমে কবিতার সৌন্দর্য বৃদ্ধি।
প্রেম ও ভক্তি: কাব্যে মানবিক ও আধ্যাত্মিক প্রেমের সংমিশ্রণ।
সংক্ষেপে, ভারতচন্দ্র রায় বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগীয় কবিতার শেষ প্রতীক। তাঁর রচনার মাধ্যমে মধ্যযুগীয় কাব্যধারা শেষ হয় এবং বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণের নতুন ধারা শুরু হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়।
0
Updated: 6 days ago