ফকল্যান্ড যুদ্ধে বিজয়ী হয় কোন দেশ?
A
যুক্তরাষ্ট্র
B
ফ্রান্স
C
যুক্তরাজ্য
D
জার্মানি
উত্তরের বিবরণ
ফকল্যান্ড যুদ্ধ (Falklands War)
-
কারণ: ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের উপর আর্জেন্টিনা ও ব্রিটেনের মধ্যে বিরোধ
-
বছর: ১৯৮২
-
পক্ষ: আর্জেন্টিনা বনাম যুক্তরাজ্য
-
যুদ্ধক্ষেত্র: ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ জর্জিয়া দ্বীপ, দক্ষিণ স্যান্ডউইচ দ্বীপ
-
ফলাফল: যুক্তরাজ্য বিজয়ী; ফকল্যান্ড ও কয়েকটি সংলগ্ন দ্বীপে যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত
-
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
Rotary International-এর প্রতিষ্ঠাতা কে?
Created: 1 month ago
A
Masato Kanda
B
Paul P. Harris
C
Takashi Watanabe
D
Klaus Schwab
Rotary International হলো একটি বিশ্বব্যাপী মানবসেবামূলক সংগঠন, যা সমাজসেবা, নেতৃত্ব বিকাশ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে মানবকল্যাণে কাজ করে আসছে।
-
প্রতিষ্ঠার তারিখ: ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৫
-
প্রতিষ্ঠাতা: Paul P. Harris
-
প্রথম ক্লাব: Rotary Club of Chicago, Illinois, USA
-
প্রধান কার্যালয়: Evanston, Illinois, United States
-
প্রধান ভাষা: ইংরেজি (তবে প্রতিটি দেশে স্থানীয় ভাষায় কার্যক্রম পরিচালিত হয়)
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
-
পেশাগত ও সমাজসেবামূলক কাজে নেতাদের একত্র করা
-
মূলনীতি: Service Above Self (নিজ স্বার্থের ঊর্ধ্বে সেবা)
-
আন্তর্জাতিক সেবা, মানবিক সহায়তা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শান্তি ও নৈতিকতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করা
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
’কিতাবুল ইবার’ বিখ্যাত গ্রন্থটি কার রচিত?
Created: 1 month ago
A
ইবনে বতূতা
B
ইবনে খালদুন
C
আল ফারাবী
D
আল খারাজী
ইবনে খাল্দুন ছিলেন মধ্যযুগের একজন খ্যাতনামা আরব ইতিহাসবিদ ও চিন্তাবিদ, যিনি সমাজবিজ্ঞান ও ইতিহাসচর্চায় নতুন ধারা প্রবর্তন করেছিলেন।
-
জন্ম: ২৭ মে, ১৩৩২ খ্রিস্টাব্দ; স্থান – তিউনিস (বর্তমান তিউনিসিয়া)।
-
মৃত্যু: ১৭ মার্চ, ১৪০৬ খ্রিস্টাব্দ; স্থান – কায়রো (মিশর)।
-
তিনি ইতিহাসের প্রথম অ-ধর্মীয় দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন।
-
তাঁর সর্বাধিক সাফল্যমণ্ডিত রচনা হলো Muqaddimah (আল-মুকাদ্দিমাহ), যা সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি ও ইতিহাস বিশ্লেষণে অগ্রগণ্য অবদান রেখেছে।
-
তাঁর আরেকটি বিখ্যাত গ্রন্থ হলো কিতাবুল ইবার।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কোন তত্ত্বটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কার্যকরী ভূমিকার বিষয়ে ইতিবাচক ধারণা প্রদান করে?
Created: 2 weeks ago
A
উদারবাদ
B
বাস্তববাদ
C
মার্ক্সবাদ
D
কোনোটিই নয়
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উদারবাদ বা Liberalism তত্ত্ব এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি, যা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকরী ভূমিকার প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। এই তত্ত্ব মনে করে যে আন্তর্জাতিক সংগঠন ও সহযোগিতার মাধ্যমেই বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও পারস্পরিক কল্যাণ অর্জন সম্ভব। উদারতাবাদ শুধু রাজনৈতিক মতবাদ নয়, এটি অর্থনৈতিক ও নৈতিক দর্শন হিসেবেও মানব সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বাধীনতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে।
উদারতাবাদ (Liberalism):
উদারতাবাদ এমন এক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মতবাদ, যা ব্যক্তির স্বকীয়তা, সমান সুযোগ, স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত অধিকারের সুরক্ষাকে সর্বাধিক মূল্য দেয়। ইংরেজ দার্শনিক জন লক এবং অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ এই তত্ত্বের প্রাথমিক প্রবক্তা হিসেবে পরিচিত। তারা মনে করতেন যে রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ সীমিত রেখে মুক্ত বাজারনীতি ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব।
-
১৯১৯ থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত উদারবাদ আন্তর্জাতিক সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করে এবং যুদ্ধ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
-
এই তত্ত্বে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সংগঠনের মাধ্যমে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা সম্ভব, যেমন— ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত লীগ অব নেশন্স (League of Nations) ছিল এই ভাবধারারই ফল।
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত জাতিসংঘ (UN), বিশ্বব্যাংক (World Bank) প্রভৃতি সংস্থাও একই ধারণার ওপর ভিত্তি করে গঠিত।
-
উদারতাবাদ বিশ্বাস করে যে রাষ্ট্রসমূহ পারস্পরিক নির্ভরতা ও সহযোগিতার মাধ্যমে সংঘাত এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে পারে।
বাস্তববাদ (Realism):
বাস্তববাদ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একটি বিপরীতমুখী তত্ত্ব, যা রাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ, ক্ষমতা ও নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেয়। বাস্তববাদীরা মনে করেন, বিশ্বরাজনীতি মূলত শক্তির ভারসাম্যের ওপর নির্ভরশীল এবং রাষ্ট্র তার স্বার্থ রক্ষায় সর্বদা ক্ষমতার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকে।
মার্ক্সবাদ (Marxism):
মার্ক্সবাদ একটি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক দর্শন, যা কার্ল মার্ক্স ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস দ্বারা বিকশিত। এটি মূলত ঐতিহাসিক বস্তুবাদ, দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ, উদ্বৃত্ত মূল্যতত্ত্ব ও শ্রেণিসংগ্রাম—এই চার ধারণার ওপর ভিত্তি করে গঠিত। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মার্ক্সবাদ রাষ্ট্র ও শ্রেণির মধ্যে সংঘাত এবং অর্থনৈতিক আধিপত্যকে ব্যাখ্যা করে।
নব্য-উদারতাবাদ (Neoliberalism):
নব্য-উদারতাবাদ উদারবাদেরই আধুনিক রূপ, যা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও বাজার অর্থনীতির প্রতি বিশ্বাসী। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই তত্ত্বটি রবার্ট কোহেন দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। এটি মনে করে, রাষ্ট্রসমূহের জাতীয় স্বার্থ অর্জনের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান অপরিহার্য, কারণ এই প্রতিষ্ঠানগুলো পারস্পরিক নির্ভরশীলতা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করে।
গঠনবাদ (Constructivism):
গঠনবাদ মতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নির্ধারিত হয় মানুষের পরিচয়, সামাজিক মূল্যবোধ, ইতিহাস ও প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রভাবের মাধ্যমে। যদিও এই তত্ত্ব সরাসরি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কথা বলে না, তবে এটি ইঙ্গিত দেয় যে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক কাঠামো সমাজ ও রাষ্ট্রের আচরণকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
সবশেষে বলা যায়, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিভিন্ন তত্ত্বের মধ্যে উদারবাদই সবচেয়ে স্পষ্টভাবে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কার্যকর ভূমিকা তুলে ধরে। এটি বিশ্বাস করে যে সহযোগিতা, পারস্পরিক নির্ভরতা এবং প্রতিষ্ঠানগত কাঠামোই বিশ্ব শান্তি রক্ষার মূল ভিত্তি।
0
Updated: 2 weeks ago