নুরেমবার্গ ট্রায়াল ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক সমাজের পক্ষ থেকে নাৎসি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া। এটি যুদ্ধের পর মানবাধিকারের সুরক্ষা ও আন্তর্জাতিক আইন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করে।
-
আয়োজনের স্থান ও সময়: নুরেমবার্গ, জার্মানি; ১৯৪৫-৪৬
-
প্রতিষ্ঠান: ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি ট্রাইব্যুনাল (IMT) হিটলারের নাৎসি বাহিনীর নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ গঠন করে এবং বিচার পরিচালনা করে
-
প্রধান অভিযোগসমূহ:
১. শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ: আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের পরিকল্পনা ও শুরু করা
২. মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ: মানুষকে সমূলে বিনাশ করা, বাসস্থান থেকে বিতাড়ন, গণহত্যা
৩. যুদ্ধাপরাধ: যুদ্ধের আইন লঙ্ঘন
৪. উপরিউক্ত তিনটি অপরাধের সাধারণ পরিকল্পনা বা ষড়যন্ত্র করা
-
বিচারাধীনদের সংখ্যা ও প্রফাইল: মোট ২২ জন নাৎসি কর্মকর্তা, যার মধ্যে সামরিক কর্মকর্তা, রাজনীতিক ও অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অন্তর্ভুক্ত
-
বিচারের সূচনা: ১৯৪৫ সালের ২০ নভেম্বর
-
বিচারের উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য শীর্ষ নেতৃত্বকে দায়ী করা