সেলিম আল দীন রচিত নাটক কোনটি?
A
কিত্তনখোলা
B
ফুড কনফারেন্স
C
তপস্বী ও তরঙ্গিণী
D
গিনিপিগ
উত্তরের বিবরণ
'কিত্তনখোলা' নাটকটি সেলিম আল দীন রচিত এবং তাঁর জীবনঘনিষ্ঠ নাট্যকর্ম হিসেবে বিবেচিত। নাটকটির রচনার মাধ্যমে সেলিম আল দীন বাংলা নাট্যশিল্পকে নতুন রূপ দেন, যেখানে পাশ্চাত্য নাট্যরীতি পরিহার করে প্রাচ্যীয় রীতি প্রবর্তিত হয়। ‘কিত্তনখোলা’ বাঙালির প্রান্তিক জনমানুষের প্রথাগত জীবনে স্থিত সাংস্কৃতিক আচার-আচরণের ইতিবৃত্ত হয়ে ওঠে। লেখকের ভাষায়, কিত্তনখোলা পর্বে তিনি মানিকগঞ্জের লোকায়ত জীবন-সংস্কৃতি এবং এর অপূর্ব নিসর্গের সঙ্গে পরিচিত হন। নাটকে বিশাল পটভূমিকায় মহাকাব্যিক ব্যঞ্জনায় গ্রামীণ জীবনের বিস্তারিত চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে। বর্ণনাত্মক শিল্পরীতির প্রয়োগ এটিকে শিল্পের একটি মহৎ জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে এবং এতে এক ভিন্ন মাত্রা সংযোজিত হয়েছে।
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য নাটক ও কাব্যনাটক:
-
'ফুড কনফারেন্স' – আবুল মনসুর আহমদ রচিত ব্যঙ্গাত্মক গল্পগ্রন্থ
-
'তপস্বী ও তরঙ্গিণী' – বুদ্ধদেব বসু রচিত মনস্তাত্ত্বিক কাব্যনাটক, যা মহাভারতের ঋষ্যশৃঙ্গ ও তরঙ্গিণীকে আধুনিক প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করে মানুষের দ্বৈত সত্তা ও আত্মোপলব্ধির গভীরতা তুলে ধরে
-
'গিনিপিগগিনিপিগ' – নাট্যকার মামুনুর রশীদের উল্লেখযোগ্য নাটক, যেখানে ২২টি চরিত্রের মাধ্যমে লেখক তাঁর চিন্তাভাবনাকে সংলাপে ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং এটি বাংলাদেশের নাট্য অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল
-
0
Updated: 1 month ago
কোনটি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সামাজিক নাটক?
Created: 5 months ago
A
নূরজাহান
B
বঙ্গনারী
C
মেবার পতন
D
দুর্গাদাস
• দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত সামাজিক নাটক:
- পরপারে,
- বঙ্গনারী,
- এক ঘরে
- কল্কি অবতার,
- বিরহ
- পূণর্জন্ম,
- প্রায়শ্চিত্ত,
- আনন্দ বিদায়।
• দ্বিজেন্দ্রলাল রায়:
- ১৯ জুলাই, ১৮৬৩ সালে নদীয়ার কৃষ্ণনগরে জন্মগ্রহণ করেন।
- তিনি বাংলা সমবেত কণ্ঠসঙ্গীতের প্রবর্তক।
- তিনি বাংলা নাটকে প্রথম দ্বন্দ্বমূলক চরিত্র সৃষ্টি করেছেন।
- তাঁর রচিত ইংরেজি কাব্যগ্রন্থের নাম Lyrics of Ind.
• তাঁর রচিত নাটক:
• ঐতিহাসিক নাটক:
- সাজাহান,
- মেবার পতন,
- নূরজাহান,
- প্রতাপসিংহ,
- তারাবাঈ,
- সিংহল বিজয়,
- তাপসী।
• রোমান্টিক নাটক:
- সীতা,
- ভীষ্ম,
- সোহরাব-রুস্তম।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 5 months ago
'নেমেসিস' নাটকটি কোন পটভূমিতে রচিত হয়?
Created: 2 months ago
A
ভাষা আন্দোলন
B
ঊনপঞ্চাশের মন্বন্তর
C
দেশভাগ
D
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন
নুরুল মোমেন
-
জন্ম: ১৯০৬, ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গায়।
-
তিনি মূলত নাট্যকার ছিলেন।
-
তাঁর প্রথম নাটক ‘রূপান্তর’ ১৯৪২ সালে ঢাকা বেতার-এ প্রচারিত হয়।
-
শ্রেষ্ঠ নাটক: নেমেসিস।
-
‘নেমেসিস’ নাটকটি প্রথম শনিবারের চিঠি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
-
এটি ঊনপঞ্চাশের মন্বন্তর পটভূমিতে রচিত।
-
১৯৪৮ সালে তাঁর ‘বহুরূপা’ নামে একটি রম্যরচনা প্রকাশিত হয়।
নুরুল মোমেনের রচিত বিখ্যাত নাটকসমূহ
-
নেমেসিস
-
যদি এমন হতো
-
নয়া খান্দান
-
আলোছায়া
-
আইনের অন্তরালে
-
শতকরা আশি
-
রূপান্তর
-
যেমন ইচ্ছা তেমন
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া, সংশ্লিষ্ট বই
0
Updated: 2 months ago
'হাত-হদাই' একটি-
Created: 1 week ago
A
কাব্যগ্রন্থ
B
উলন্যাস
C
গল্পগ্রন্থ
D
নাটক
‘হাত-হদাই’ বাংলা নাট্যসাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। এটি একটি নাটক, যেখানে সমাজ, পরিবার ও মানবজীবনের নানা দিক বাস্তবধর্মী ভাষায় উপস্থাপিত হয়েছে। নাটকটির ভাষা ও সংলাপে গ্রামীণ জীবনের সহজ সরল রূপ ফুটে উঠেছে, যা পাঠক ও দর্শক উভয়ের মনোযোগ আকর্ষণ করে।
• ‘হাত-হদাই’ নাটকটি রচনা করেছেন প্রখ্যাত নাট্যকার সেলিম আল দীন (১৯৪৯–২০০৮)। তিনি বাংলাদেশের আধুনিক নাট্যধারার অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক ও ‘গণনাট্য’ আন্দোলনের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত। তাঁর নাটকগুলোতে বাঙালির ঐতিহ্য, লোকজ সংস্কৃতি ও সামাজিক বাস্তবতার সংমিশ্রণ দেখা যায়।
• এই নাটকটি মূলত গ্রামীণ সমাজের জীবনের টানাপোড়েন, কুসংস্কার ও মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে রচিত। লেখক এতে গ্রামের মানুষের হাসি-কান্না, প্রেম-সংঘাত ও মানসিক টানাপোড়েনকে জীবন্তভাবে উপস্থাপন করেছেন।
• নাটকটির নাম ‘হাত-হদাই’ প্রতীকী অর্থ বহন করে। এখানে ‘হাত’ ও ‘হদাই’ মানুষের পারস্পরিক নির্ভরতা, সহযোগিতা ও দ্বন্দ্বের প্রতিরূপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
• সেলিম আল দীন তাঁর নাটকে দেশজ ভাষা ও লোকধারার শব্দচিত্র ব্যবহার করেছেন, যা তাঁর রচনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। তিনি বাংলা নাটকে ‘দেশীয় ফর্ম’ প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে লোকসংগীত, পালাগান ও আঞ্চলিক ভাষার মিশ্রণ দেখা যায়।
• নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল ঢাকার নাট্যদল ‘আরন্যক নাট্যদল’-এর মাধ্যমে, যা সেলিম আল দীনেরই প্রতিষ্ঠিত সংগঠন।
• ‘হাত-হদাই’-এর চরিত্রগুলো বাস্তব জীবনের সাধারণ মানুষ থেকে নেওয়া, যেমন কৃষক, গৃহবধূ, দিনমজুর ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এতে সমাজের শ্রেণি বৈষম্য ও মানবিক টানাপোড়েনের চিত্র ফুটে উঠেছে।
• এই নাটকের মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষের মানবিক বোধ ও সামাজিক দায়বদ্ধতা জাগ্রত করা। সেলিম আল দীন বিশ্বাস করতেন, নাটক কেবল বিনোদন নয়, সমাজ পরিবর্তনের মাধ্যমও হতে পারে।
• নাটকটির ভাষা, গঠন ও উপস্থাপনায় এমন বাস্তবতা ও অনুভূতি রয়েছে যা দর্শককে সমাজের আয়না দেখতে সাহায্য করে।
অতএব, ‘হাত-হদাই’ একটি নাটক, যা শুধু সাহিত্য নয়, বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজজীবনের গভীর বাস্তবচিত্রও তুলে ধরে। এর মাধ্যমে সেলিম আল দীন বাংলা নাট্যসাহিত্যে এক নতুন মাত্রা যুক্ত করেছেন।
0
Updated: 1 week ago