বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস গ্রন্থের রচয়িতা কে?
A
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
ড. দীনেশচন্দ্র সেন
C
ড. সুকুমার সেন
D
ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্
উত্তরের বিবরণ
'বঙ্গভাষা ও সাহিত্য' (১৮৯৬) দীনেশচন্দ্র সেন রচিত একটি সুশৃঙ্খল ও তথ্যসমৃদ্ধ ধারাবাহিক প্রথম ইতিহাসমূলক বাংলা সাহিত্যগ্রন্থ। গ্রন্থটিতে বঙ্গভাষা ও বঙ্গলিপির উৎপত্তি, সংস্কৃত-প্রাকৃত ও বাংলার সম্পর্ক, প্রাচীন বাংলা সাহিত্য, মধ্যযুগের ধর্মগোষ্ঠী এবং তাদের সাথে সাহিত্যের যোগ বিষয়গুলো মনোজ্ঞভাবে বর্ণিত হয়েছে। এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাসগ্রন্থ যেখানে সাহিত্য ও সমাজের গূঢ় সম্পর্কের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
-
দীনেশচন্দ্র সেন:
-
রায়বাহাদুর, শিক্ষাবিদ, গবেষক, লোক-সাহিত্যবিশারদ, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার
-
জন্ম: ১৮৬৬ সালের ৩ নভেম্বর, মাতুলালয়, বগজুড়ি গ্রাম, ঢাকা জেলা
-
পল্লী অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে প্রাচীন বাংলা পুঁথি ও লোককথা সংগ্রহ করেন
-
সংগৃহীত পুঁথি থেকে উপকরণ সংগ্রহ করে 'বঙ্গভাষা ও সাহিত্য' রচনা
-
গবেষণামূলক গ্রন্থ: 'বঙ্গসাহিত্য পরিচয়' (১৯১৪)
-
সম্পাদিত গ্রন্থসমূহ: 'মৈমনসিংহ-গীতিকা' (১৯২৩) ও 'পূর্ববঙ্গ গীতিকা' (১৯২৬), যা তাঁকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি প্রদান করে
-
মৃত্যু: ১৯৩৯ সালের ২০ নভেম্বর, বেহালা
-
0
Updated: 1 month ago
'রায়বাহাদুর' উপাধি পান কে?
Created: 1 month ago
A
সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
সমর সেন
C
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
D
দীনেশচন্দ্র সেন
দীনেশচন্দ্র সেন একজন শিক্ষাবিদ, গবেষক, লোক-সাহিত্যবিশারদ এবং বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার। তিনি ১৮৬৬ সালের ৩ নভেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার বগজুরি গ্রামের মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন।
• ১৮৯৬ সালে তাঁর পুথিসংগ্রহ ও পুথিপাঠ কর্মজীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। সেই সময় তিনি উপাচার্য স্যর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের আহবানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হন।
• ১৯২০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য’ নামে একটি নতুন বিভাগ খোলা হলে দীনেশচন্দ্র সেনকে বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করা হয়।
• তিনি বারো বছর দায়িত্বের সঙ্গে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৩২ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
• সাহিত্য ও গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য ১৯২১ সালে ভারত সরকার কর্তৃক ‘রায়বাহাদুর’ উপাধি প্রদান করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
"এমন সোনার পানসী তাতে মাঝি নাই/ যৌবন চলিয়া গেলে কেউ না দেবে ঠাঁই" উদ্ধৃতিটি কোন পালা থেকে গৃহিত?
Created: 3 weeks ago
A
কাজলরেখা
B
মহুয়া
C
মালুয়া
D
দেওয়ানামদিনা
উক্ত পঙ্ক্তি— “এমন সোনার পান্সী তাতে মাঝি নাই, যৌবন চলিয়া গেলে কেউ না দিব ঠাই” — প্রখ্যাত মৈমনসিংহ গীতিকার ‘মহুয়া’ পালা থেকে গৃহীত। এই পঙ্ক্তিতে কবি জীবনের অস্থায়িত্ব ও যৌবনের ক্ষণস্থায়ী সৌন্দর্যের প্রতীকী চিত্র তুলে ধরেছেন।
-
“সোনার পান্সী” এখানে মানুষের দেহ বা জীবনযাত্রার প্রতীক, আর “মাঝি” বোঝায় সেই শক্তি বা চেতনা, যা জীবনকে পরিচালিত করে।
-
পঙ্ক্তিটি ইঙ্গিত করে যে, যৌবন বা প্রাণশক্তি নিঃশেষ হলে জীবননৌকায় আর কোনো দিকনির্দেশক থাকে না, ফলে তা দিশাহারা হয়ে পড়ে।
-
কবি গভীরভাবে বুঝিয়েছেন— যৌবন, সৌন্দর্য ও জীবনীশক্তি ক্ষণস্থায়ী, এগুলো একবার চলে গেলে সমাজ কিংবা মানুষ কেউই সেই স্থান দেয় না।
-
এই বচনে নিহিত আছে জীবনের নিত্য অনিত্যতার দার্শনিক উপলব্ধি এবং মানবজীবনের অনিবার্য ক্ষয় ও নিঃসঙ্গতার সত্য।
-
‘মহুয়া’ পালার এই অংশটি মৈমনসিংহ গীতিকার লোকজ দর্শন, প্রতীকনির্ভরতা ও জীবনচেতনার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
0
Updated: 3 weeks ago
'মৈমনসিংহ গীতিকা' এর ভূমিকা কে রচনা করেছেন?
Created: 1 month ago
A
চন্দ্রকুমার দে
B
দীনেশচন্দ্র সেন
C
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
রামরাম বসু
ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রচলিত লোকগানসমূহকে একত্রিত করে মৈমনসিংহ গীতিকা নামে পরিচিতি দেওয়া হয়। এই গীতিকা সংগ্রহ ও প্রকাশে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দীনেশচন্দ্র সেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মৈমনসিংহ নিবাসী চন্দ্রকুমার দে দীনেশচন্দ্র সেনের নির্দেশে এসব গান সংগ্রহ করেন। ১৯২৩ সালে দীনেশচন্দ্র সেনের সম্পাদনায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৈমনসিংহ গীতিকা প্রকাশিত হয়, যার ভূমিকা রচিত হয়েছে দীনেশচন্দ্র সেনের দ্বারা। মৈমনসিংহ গীতিকা বিশ্বের ২৩টি ভাষায় অনূদিত ও মুদ্রিত হয়েছে।
-
গীতিকা ও রূপকথার সংখ্যা: ১০টি
-
গীতিকা ও রূপকথাসমূহ:
-
মহুয়া
-
মলুয়া
-
চন্দ্রাবতী
-
কমলা
-
দেওয়ান ভাবনা
-
দস্যু কেনারামের পালা
-
রূপবতী
-
কঙ্ক ও লীলা
-
কাজলরেখা (রূপকথা)
-
দেওয়ান মদিনা
-
0
Updated: 1 month ago