A
বাউণ্ডেলের আত্মকাহিনী
B
মুক্তি
C
হেবা
D
বিদ্রোহী
উত্তরের বিবরণ
নজরুলের সাহিত্য জীবন শুরু হয় করাচি সেনানিবাস থেকে, যেখানে তিনি রচনা করেছিলেন ‘বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী’ নামে একটি গদ্য, যা প্রথমবার ১৯১৯ সালের মে মাসে সওগাত পত্রিকায় প্রকাশ পায়।
কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যিক পথচলার প্রথম ধাপগুলো হলো:
-
তাঁর প্রথম প্রকাশিত কবিতা ‘মুক্তি’, যা ১৯১৯ সালের জুলাই মাসে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকায় ছাপা হয়।
-
প্রথম গ্রন্থ ‘অগ্নি-বীণা’ (১৯২২) প্রকাশিত হয়, যা তার প্রথম কাব্যসংগ্রহ।
-
নজরুলের প্রথম উপন্যাস ‘বাঁধন-হারা’ ১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয়।
-
তাঁর প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধের শিরোনাম ‘তুর্কিমহিলার ঘোমটা খোলা’।
-
১৯৩০ সালে তিনি প্রথম নাটক ‘ঝিলিমিলি’ রচনা ও প্রকাশ করেন।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 weeks ago
কোন পত্রিকাটি ১৯২৩ সালে প্রকাশিত হয়?
Created: 1 week ago
A
কালিকলম
B
প্রগতি
C
কল্লোল
D
সবুজপত্র
‘কল্লোল’ পত্রিকা
১৯২৩ সালে কলকাতা থেকে মাসিক ‘কল্লোল’ পত্রিকা আত্মপ্রকাশ করে। এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন দীনেশরঞ্জন দাশ। পত্রিকাটির পাতায় নিয়মিত লেখালেখি করতেন অচিন্ত্যকমার সেনগুপ্ত, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব বসু, প্রেমেন্দ্র মিত্র, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অনেকে।
‘কালিকলম’ সাহিত্য পত্রিকা
কলকাতা থেকেই ১৯২৬ সালে মাসিক ‘কালিকলম’ সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছিল। পত্রিকাটির সম্পাদনা দায়িত্বে ছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র।
‘কালিকলম’ মূলত ‘কল্লোল’ পত্রিকার আদর্শ ও সাহিত্যচেতনার ধারাবাহিকতায় প্রকাশিত হলেও এটি বেশি দিন টিকে থাকতে পারেনি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ‘কল্লোল’ ও ‘কালিকলম’-এর লেখক সমাজ প্রায় একই ধরনের ছিল।
‘সবুজপত্র’ পত্রিকা:
১৯১৪ সালে প্রমথ চৌধুরীর সম্পাদনায় মাসিক ‘সবুজপত্র’ পত্রিকা আত্মপ্রকাশ করে। বাংলা গদ্যের উন্নয়নে এর ভূমিকা অপরিসীম। বাংলা বৈশাখ ১৩২১ সালে প্রথম এই পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেও ‘সবুজপত্র’ পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে গদ্যরীতির নতুন স্বাচ্ছন্দ্য অর্জন করেন এবং পরে তা তার লেখায় প্রয়োগ করেন। ‘সবুজপত্র’ বাংলা সাহিত্যে ‘সবুজপত্র গোষ্ঠী’ নামে একটি প্রভাবশালী সাহিত্যদল গঠনে সহায়ক হয়। ১৯২৭ সালে পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়।
‘প্রগতি’ পত্রিকা:
১৯২৭ সালে ঢাকা থেকে মাসিক ‘প্রগতি’ পত্রিকা প্রকাশ শুরু হয়। এর সম্পাদক হিসেবে ছিলেন বুদ্ধদেব বসু ও অজিতকুমার দত্ত। বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার প্রবাহ ঢাকায় পিছিয়ে ছিল না, তার প্রমাণ স্বরূপ ‘প্রগতি’ পত্রিকার প্রকাশ।
উৎস: ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago
নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
রাজবন্দীর জবানবন্দী
B
ব্যথার দান
C
অগ্নিবীণা
D
নবযুগ
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যজগতে তাঁর প্রথম পদার্পণেই নতুন ধারা সৃষ্টি করেন। সাহিত্যের নানা শাখায় তাঁর প্রথম প্রকাশিত কৃতিগুলি তাঁর বৈচিত্র্যময় প্রতিভার প্রমাণ বহন করে। নিচে তাঁর প্রথম প্রকাশিত সাহিত্যকর্মগুলো ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো:
প্রথম কাব্যগ্রন্থ:
‘অগ্নি-বীণা’ (১৯২২) — নজরুলের বিদ্রোহী আত্মার প্রতীক এই গ্রন্থ বাংলা কাব্যধারায় অনন্য স্থান অধিকার করে।
প্রথম প্রকাশিত কবিতা:
‘মুক্তি’ — এই কবিতার মাধ্যমে নজরুল তাঁর কাব্য-প্রতিভার সূচনা ঘটান, যেখানে মুক্তির চেতনা ফুটে ওঠে।
প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ:
‘তুর্কমহিলার ঘোমটা খোলা’ — সামাজিক প্রগতির আহ্বান জানানো এই প্রবন্ধে নজরুল নারীমুক্তির প্রশ্নে সাহসী অবস্থান নেন।
প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ:
‘যুগবাণী’ — সমাজ, রাজনীতি ও ধর্ম বিষয়ক বিভিন্ন চিন্তাধারা নিয়ে রচিত এই গ্রন্থটি পরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, যা নজরুলের প্রগতিশীল মনোভাবের প্রমাণ।
প্রথম গল্পগ্রন্থ:
‘ব্যথার দান’ — ছোটগল্পের মধ্য দিয়ে মানব-ব্যথা ও সমাজবাস্তবতার চিত্র তুলে ধরেছেন।
প্রথম উপন্যাস:
‘বাঁধন-হারা’ — এই উপন্যাসে নজরুল ব্যক্তিস্বাধীনতা ও সমাজচিত্রকে কেন্দ্র করে এক নতুন ধারার সূচনা করেন।
প্রথম নাটক ও নাট্যগ্রন্থ:
‘ঝিলিমিলি’ — নাট্যসাহিত্যে নজরুলের প্রথম অবদান হিসেবে এই গ্রন্থ উল্লেখযোগ্য, যা নাট্যশৈলীতে নতুন গতি এনেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, 'যুগবাণী' ছিল তাঁর প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ এবং এটিই ছিল নজরুলের প্রথম নিষিদ্ধ গ্রন্থ, যা তাঁর লেখনীতে বিপ্লবের ঝাঁঝ প্রতিফলিত করে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 4 weeks ago
জসীমউদ্দীনের 'কবর' কবিতা কোন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়?
Created: 1 week ago
A
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা
B
ধুমকেতু
C
কল্লোল
D
কালি ও কলম
● ‘কবর’ কবিতা
প্রখ্যাত পল্লিকবি জসীমউদ্দীন রচিত ‘কবর’ কবিতাটি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রাখালী’ (প্রকাশকাল: ১৯২৭) -তে সংকলিত একটি অনন্য সৃষ্টি। তবে এই কবিতাটি সর্বপ্রথম ‘কল্লোল’ সাহিত্যপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত একটি আবেগঘন কবিতা, যার পঙক্তি সংখ্যা ১১৮টি।
কবিতার সূচনায় কবি বলেন:
“এই খানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে,
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।”
এই পঙক্তিগুলোর মাধ্যমে কবি এক চিরন্তন বেদনাবিধুর পারিবারিক সম্পর্ক ও শোকের চিত্র তুলে ধরেছেন, যা বাংলা সাহিত্যে এক অপূর্ব সংযোজন।
● কবি জসীমউদ্দীন সম্পর্কে
জসীমউদ্দীন বাংলা সাহিত্যের এক অমর নাম। তিনি কেবল একজন কবিই নন, ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ ও পল্লিসাহিত্যের সংগ্রাহক। তাঁর জন্ম ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি, ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে তাঁর মাতুলালয়ে।
গ্রামীণ জীবনের হৃদয়ছোঁয়া চিত্র তুলে ধরার জন্য তিনি পরিচিত ‘পল্লিকবি’ নামে। তাঁর লেখায় বাংলার মাঠ-ঘাট, নদী, গাছপালা, সম্পর্ক, প্রেম ও বিচ্ছেদের সৌন্দর্য সহজ ভাষায় অনুরণিত হয়েছে।
● অন্যান্য সাহিত্যকর্ম
জসীমউদ্দীনের বিখ্যাত কবিতা ‘নিমন্ত্রণ’, তাঁর ‘ধানখেত’ নামক কাব্যগ্রন্থে স্থান পেয়েছে, যা ১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয়।
তাঁর নির্বাচিত কবিতার একটি উল্লেখযোগ্য সংকলনগ্রন্থ হলো ‘সুচয়নী’।
তিনি সংগীতচর্চাতেও পিছিয়ে ছিলেন না। তাঁর রচিত গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
-
রঙ্গিলা নায়ের মাঝি
-
গাঙ্গের পাড়
-
জারিগান
● উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ
জসীমউদ্দীন বাংলা সাহিত্যে অসংখ্য কাব্যগ্রন্থ উপহার দিয়েছেন, যেগুলোর প্রতিটিতেই গ্রামীণ জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো:
-
রাখালী
-
ধানখেত
-
বালুচর
-
রূপবতী
-
নক্সী কাঁথার মাঠ
-
সোজন বাদিয়ার ঘাট
-
মাটির কান্না
-
মা যে জননী কান্দে
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর) এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago