ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (FSB) কোন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ?
A
জার্মানি
B
রাশিয়া
C
শ্রীলংকা
D
যুক্তরাষ্ট্র
উত্তরের বিবরণ
FSB (The Federal Security Service) হলো রাশিয়ার প্রধান গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থা। এটি সোভিয়েত সময়ে KGB (Committee for State Security) নামে পরিচিত ছিল।
সংগঠনের ইতিহাস ও কার্যক্রম:
-
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্তির পর, ১৯৯৪-৯৫ সালে সংস্থার নাম হয় Federal Counterintelligence Service (FSK)।
-
বর্তমানে FSB রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, সীমান্ত অপরাধ, চোরাচালান, ফেডারেল আইন ভঙ্গ সংক্রান্ত তদন্ত ও অপরাধী সনাক্তকরণ ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করে।
-
এটি ইউরোপের বৃহত্তম নিরাপত্তা সংস্থা হিসেবে বিবেচিত।
-
কেন্দ্রীয় দপ্তর: মস্কোর লুবিয়ানকা স্কোয়ার, যা আগে KGB সদর দপ্তর হিসেবে পরিচিত ছিল।
অন্যান্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থা:
-
শ্রীলঙ্কা: National Intelligence Bureau (NIB)
-
যুক্তরাজ্য: SIS/MI6 (Secret Intelligence Service and Military Intelligence, Section 6)
-
ইসরায়েল: MOSSAD
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
জেনেভা কনভেনশনে কতটি চুক্তি রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
৭টি
B
৩টি
C
৪টি
D
২টি
জেনেভা কনভেনশন
-
সংজ্ঞা: আন্তর্জাতিক আইন, যা যুদ্ধকালীন মানবাধিকার এবং মানবিক আচরণ সংক্রান্ত মৌলিক নীতি নির্ধারণ করে।
-
স্থান: সুইজারল্যান্ডের জেনেভা।
-
গঠন: ৪টি চুক্তি (কনভেনশন) ও ৩টি প্রটোকল। একে সাধারণত চারটি রেডক্রস কনভেনশন বলা হয়।
চারটি কনভেনশন:
-
প্রথম কনভেনশন: আহত ও অসুস্থ সেনা সদস্যদের সুরক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা।
-
দ্বিতীয় কনভেনশন: সমুদ্রে যুদ্ধরত সেনাদের সুরক্ষা ও চিকিৎসা; ১৯০৭ সালের ‘হেগ চুক্তি’ সংশোধন।
-
তৃতীয় কনভেনশন: যুদ্ধবন্দীদের সুরক্ষা এবং তাদের প্রতি মানবিক আচরণ।
-
চতুর্থ কনভেনশন: সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষা, বিশেষত যুদ্ধক্ষেত্র বা দখলদারিত্বের সময়।
উদ্দেশ্য: যুদ্ধকালীন সকল পক্ষের প্রতি মানবিক আচরণ নিশ্চিত করা এবং হতাহতের পরিমাণ হ্রাস করা।
0
Updated: 1 month ago
প্রথম NAM শীর্ষ সম্মেলনে কতটি দেশ অংশগ্রহণ করেছিল?
Created: 1 month ago
A
২৫টি
B
২২টি
C
২৪টি
D
৩০টি
ন্যাম (NAM) বা Non-Aligned Movement হলো একটি আন্তর্জাতিক জোট, যা শীতল যুদ্ধের সময় প্রধান মহাশক্তির কোনো পক্ষ নেবার পরিবর্তে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণের লক্ষ্যে গঠিত হয়।
-
প্রথম শীর্ষ সম্মেলন: ১-৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৬১
-
স্থান: বেলগ্রেড, যুগোস্লাভিয়া
-
প্রথম অংশগ্রহণকারী দেশ সংখ্যা: ২৫টি
-
উৎপত্তি: ১৮-২৪ এপ্রিল, ১৯৫৫ অনুষ্ঠিত প্রথম বৃহৎ এশীয়-আফ্রিকান সম্মেলন (Bandung Conference, বান্দুং, ইন্দোনেশিয়া)
-
এতে ২৯টি দেশের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে, অধিকাংশই এশীয় কারণ অনেক আফ্রিকান দেশ তখনও উপনিবেশ ছিল
-
-
বর্তমান সদস্য দেশ সংখ্যা: ১২১টি [আগস্ট, ২০২৫]
-
পর্যবেক্ষক দেশ সংখ্যা: ১৮টি
-
পর্যবেক্ষক সংগঠন সংখ্যা: ১০টি
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
অটোয়া কনভেনশন কোন অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে?
Created: 2 months ago
A
পারমাণবিক
B
স্থলমাইন
C
রাসায়নিক
D
জৈব রাসায়নিক
অটোয়া কনভেনশন (Ottawa Convention)
-
অটোয়া কনভেনশন, যা “Mine Ban Treaty” বা “স্থলমাইন নিষিদ্ধকরণ চুক্তি” নামেও পরিচিত।
-
এই চুক্তি অ্যান্টি-পার্সোনেল ল্যান্ডমাইন (Anti-Personnel Landmines) এর ব্যবহার, মজুদ, উৎপাদন এবং স্থানান্তর নিষিদ্ধ করে।
-
স্বাক্ষর: ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে কানাডার রাজধানী অটোয়ায়।
-
কার্যকর: ১ মার্চ ১৯৯৯ থেকে।
-
প্রধান উদ্দেশ্য: বিশ্বব্যাপী স্থলমাইন ব্যবহার বন্ধ করা এবং মানবিক ক্ষতি হ্রাস করা।
অংশগ্রহণকারী দেশসমূহ
-
বর্তমানে ১৬৪টি দেশ এই চুক্তির সদস্য।
-
স্বাক্ষরকারী কিন্তু অননুমোদিত দেশ: মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ।
-
অ-স্বাক্ষরকারী দেশ: ৩৪টি দেশ, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—
-
যুক্তরাষ্ট্র (USA)
-
রাশিয়া (Russia)
-
চীন (China)
-
প্রভাব ও গুরুত্ব
-
এই চুক্তির ফলে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো মাইন ধ্বংস করেছে এবং ব্যবহার বন্ধ করেছে।
-
অ-স্বাক্ষরকারী অনেক দেশও বাস্তবে চুক্তির শর্ত মানছে এবং মজুদ ধ্বংস করছে।
-
স্থলমাইন দ্বারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহ হলো:
-
আফগানিস্তান,
-
অ্যাঙ্গোলা,
-
কম্বোডিয়া,
-
চাদ,
-
ইরাক,
-
ইউক্রেন।
-
0
Updated: 2 months ago