নাগার্জুনের শিষ্য ছিলেন কোন চর্যাকার?
A
শবরপা
B
কাহ্নপা
C
লুইপা
D
কুক্কুরীপা
উত্তরের বিবরণ
শবরপা ছিলেন বঙ্গের একজন নাগাচার্য, যিনি নাগার্জুনের শিষ্য এবং লুইপা-র গুরু ছিলেন। ড. সুকুমার সেনের মতে, শবর হলো একটি ছদ্মনাম, এবং তিনি শবরের মতো জীবনযাপন করতেন বলে ‘সিদ্ধশবরী’, ‘শবরীস্বর’ ইত্যাদি নামে পরিচিতি লাভ করেন।
-
শবরপা ধর্মপালের রাজত্বকালে (৭৭০-৮১০ খ্রিষ্টাব্দ) বর্তমান ছিলেন। তারানাথের মতে, তিনি নবম শতকের কবি; ড. সুকুমার সেন তাঁর জীবৎকালের সর্বনিম্ন সীমা দ্বাদশ শতকের শেষ ভাগ মনে করেন।
-
তিনি বিক্রমশীলায় বসবাস করেছেন। তাঁর রচিত পদে ভণিতার উল্লেখ নেই, তবে টীকায় সিদ্ধাচার্য শবরপা কথাটি উল্লেখ আছে।
-
চর্যার ২৮ ও ৫০ নং পদের রচয়িতা তিনি। সংস্কৃত ও অপভ্রংশ মিলে মোট ১৬টি গ্রন্থ রচনা করেছেন।
-
উল্লেখযোগ্য রচনাবলী:
-
সহজোপদেশ স্বাধিষ্ঠান
-
বজ্রযোগিনীসাধন
-
চিত্তগুহ্যগাম্ভীরার্থ গীতি
-
মহামুদ্রাবজ্রগীতি
-
শূন্যতা ছবি
-
-
শবরপা রচিত দুটি উল্লেখযোগ্য পঙ্ক্তি:
-
উষ্ণা উষ্ণা পাবত তহি সবই সবরী বালী
-
মোরাঙ্গ পীচ্ছ পরিহাণ সরবী গীবত গুঞ্জরী মালী
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষায় প্রথম অভিধান সংকলন করেন কে?
Created: 1 month ago
A
রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ
B
রাজশেখর বসু
C
হরিচরণ দে
D
অশোক মুখোপাধ্যায়
রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ
রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশকে প্রথম বাংলা অভিধানকার এবং ব্রাহ্মসমাজের প্রথম আচার্য হিসেবে স্মরণ করা হয়। তিনি ১৭৮৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৪৫ সালের ২ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।
১৮১৭ সালে বাংলা অভিধানের পথচলা শুরু হয় তার হাত ধরে। তিনি বাংলা ভাষায় প্রথম অভিধান ‘বঙ্গভাষাভিধান’ সংকলন করেন, যা সম্পূর্ণরূপে বাঙালি কর্তৃক রচিত। আজও প্রায় দুইশ বছর পরে এই অভিধান বাঙালির জন্য গর্বের বিষয়।
সেই সময়ের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান স্কুল বুক সোসাইটি বইটির মুদ্রণ ও প্রকাশনার দায়িত্ব নিলে এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়।
উৎস: সংবাদপত্রে সেকালের কথা (প্রথম খণ্ড) এবং ‘বঙ্গভাষাভিধান’, রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ।
0
Updated: 1 month ago
শকুনি মামা – এর অর্থ-
Created: 1 month ago
A
কুৎসিত মামা
B
সৎ মামা
C
কুচক্রী লোক
D
পাতানো মামা
বাংলা ভাষায় “শকুনি” শব্দটি সাধারণত এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝাতে ব্যবহার করা হয় যে লোক চতুর, চালাক, মিথ্যাচারী বা কূচক্রী স্বভাবের। লোকমুখে “শকুনি মামা” বলতে বোঝায় সেই ধরনের মানুষ যিনি ছলচাতুরি বা কুৎসিত পরিকল্পনা করে অন্যকে কষ্ট দিতে পারে।
-
ক) কুৎসিত মামা – শুধুমাত্র শারীরিক রূপ বোঝায়, কিন্তু এখানে নয়।
-
খ) সৎ মামা – এর মানে ঠিক উল্টো।
-
ঘ) পাতানো মামা – মজা করার বা প্রলুব্ধ করার অর্থ, যা এখানে প্রযোজ্য নয়।
অতএব, “শকুনি মামা” বলতে কুচক্রী লোক বোঝায়।
0
Updated: 1 month ago
দুবার জন্মে যা-
Created: 8 hours ago
A
দ্বৈত জন্ম
B
দ্বিজ
C
দ্বিজন্ম
D
পুনর্জন্ম
“দ্বিজ” শব্দের অর্থ হলো দুবার জন্ম নেওয়া ব্যক্তি, যা সংস্কৃত মূলের শব্দ। এটি সাধারণত ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য জাতিকে বোঝায়, যারা প্রথম জন্ম নেয় মাতৃগর্ভে এবং দ্বিতীয় জন্ম নেয় উপনয়ন বা ব্রহ্মোপদেশ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
• “দ্বিজ” শব্দের গঠন হয় “দ্বি” (দুই) এবং “জ” (জন্ম) থেকে।
• এই শব্দের দ্বারা ধর্মীয়ভাবে সম্মানিত ও শিক্ষাগ্রহণের অধিকারী ব্যক্তিদের ইঙ্গিত করা হয়।
• “দ্বৈত জন্ম” মানে দুটি আলাদা জন্ম, যা ধর্মীয় অর্থ বহন করে না।
• “দ্বিজন্ম” শব্দটি ভাষাগতভাবে অশুদ্ধ ও কম ব্যবহৃত।
• “পুনর্জন্ম” মানে মৃত্যুর পর পুনরায় জন্ম নেওয়া, যা আধ্যাত্মিক ধারণা।
0
Updated: 8 hours ago