বাঙালি মুসলমানের অগ্রযাত্রার সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা সুচারুভাবে ফুটে উঠেছে কোন উপন্যাসে?
A
আঁখিজল
B
কুসুমাঞ্জলি
C
আবদুল্লাহ
D
লালসালু
উত্তরের বিবরণ
'আবদুল্লাহ' উপন্যাসটি কাজী ইমদাদুল হক রচিত এবং এটি মূলত মোসলেম ভারত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতো। ১৯৩৩ সালে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। উপন্যাস রচনার সময় কাজী ইমদাদুল হকের মৃত্যু হলে, কাজী আনোয়ারুল কাদির তাঁর খসড়া অবলম্বন করে অসমাপ্ত উপন্যাসটি সমাপ্ত করেন। উপন্যাসটিতে গ্রামীণ মুসলিম সমাজের পিরভক্তি, ধর্মীয় কুসংস্কার, পর্দাপ্রথা, সম্প্রদায়বিদ্বেষ ইত্যাদির বিরুদ্ধে মানবতাবাদী প্রতিবাদ ফুটে উঠেছে। শিল্পের বিচারে এটি উৎকৃষ্ট উপন্যাস নয়, তবে বাংলার সামাজিক বিবর্তনের, বিশেষ করে বাঙালি মুসলমানের অগ্রযাত্রার সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে, ফলে গ্রন্থটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে।
-
কাজী ইমদাদুল হকের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ: আঁখিজল
-
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: কুসুমাঞ্জলি
-
'লালসালু' উপন্যাস: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ রচিত, সর্বপ্রথম ১৯৪৮ সালে প্রকাশিত
-
উপন্যাসে গ্রামবাংলার এক চতুর ধর্মব্যবসায়ী ও ধর্মপ্রবণ মুসলিম সমাজে কল্পিত মাযারের মাধ্যমে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার গল্প তুলে ধরা হয়েছে
-
শেষে তার কিশোরী স্ত্রী জমিলা কীভাবে তাকে চ্যালেঞ্জ করে, তা চিত্রিত হয়েছে
-
স্বল্প পরিসরে গ্রামীণ পটভূমিকায় ধর্মান্ধতার প্রকৃতি লেখক উন্মোচন করতে সক্ষম হন
-

0
Updated: 1 day ago
'টুনি' চরিত্রটি কোন উপন্যাসের অন্তর্গত?
Created: 6 hours ago
A
হাজার বছর ধরে
B
আরেক ফাল্গুন
C
লালসালু
D
পদ্মা নদীর মাঝি
‘হাজার বছর ধরে’ (১৯৬৪) উপন্যাসে আবহমান বাংলার জীবন ও জনপদকে কেন্দ্রবিন্দুতে রাখা হয়েছে। এই কাহিনীতে ‘টুনি’ চরিত্রটি মূল কেন্দ্রীয় চরিত্র, যিনি একমাত্র জীবন্ত ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপস্থিত, বাকিরা মৃত ও বিবর্ণ।
জহির রায়হান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য—
-
জন্ম ১৯৩৫ সালে ফেনী জেলার মজুপুর গ্রামে।
-
প্রকৃত নাম জহিরুল্লাহ, পরে তিনি জহির রায়হান নামে পরিচিত হন।
-
তিনি ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
উৎস:

0
Updated: 6 hours ago
ড. সুকুমার সেন বাংলা গদ্যরীতির কয়টি স্তর নির্দেশ করেছেন?
Created: 1 month ago
A
দুটি
B
তিনটি
C
চারটি
D
পাঁচটি
ড. সুকুমার সেনের বাংলা গদ্যরীতির চারটি স্তর
ড. সুকুমার সেন বাংলা গদ্যরীতিকে চারটি স্তরে ভাগ করেছেন:
-
প্রথম স্তর: সূচনা
-
সময়কাল: ষোল শতক থেকে ১৮০০ সালের পূর্ব পর্যন্ত
-
-
দ্বিতীয় স্তর: উন্মেষ
-
সময়কাল: ১৮০০ (শ্রীরামপুর মিশন) থেকে ১৮৪৭ সালের (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর) পূর্ব পর্যন্ত
-
-
তৃতীয় স্তর: অভ্যুদয়
-
সময়কাল: ১৮৪৭ (বিদ্যাসাগর) থেকে ১৮৬৫ সালের (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের) পূর্ব পর্যন্ত
-
-
চতুর্থ স্তর: পরিণতি
-
সময়কাল: ১৮৬৫ (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়) থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত
-
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 month ago
বাংলা সাহিত্যের প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রয়োগ ঘটে-
Created: 1 day ago
A
কৃষ্ণকুমারী নাটকে
B
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্যে
C
পদ্মাবতী নাটকে
D
মেঘনাদবধ কাব্যে
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন একজন মহাকবি ও নাট্যকার, যিনি বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের সাহিত্যসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হলো:
-
তিনি বাংলা ভাষার সনেট প্রবর্তক।
-
তিনি অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।
-
প্রথমবার অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রয়োগ করেন ‘পদ্মাবতী’ নাটকে (দ্বিতীয় অঙ্ক দ্বিতীয় গর্ভাঙ্কে)।
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ হলো তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য।
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ যা তিনি রচনা করেন তা হলো দ্য ক্যাপটিভ লেডি, যা ইংরেজিতে রচিত।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের উল্লেখযোগ্য কাব্যগুলো হলো:
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী
উৎস:

0
Updated: 1 day ago