বিখ্যাত 'তিলোত্তমা' চরিত্রটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কোন উপন্যাসের অন্তর্ভুক্ত?
A
দুর্গেশনন্দিনী
B
বিষবৃক্ষ
C
চন্দ্রশেখর
D
আনন্দমঠ
উত্তরের বিবরণ
'দুর্গেশনন্দিনী' উপন্যাসটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত প্রথম বাংলা উপন্যাস এবং এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস হিসেবে খ্যাত। এই উপন্যাসটি ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগে উড়িষ্যার অধিকারকে কেন্দ্র করে মোঘল ও পাঠানের সংঘর্ষের পটভূমিতে লেখা হলেও, এটিকে সম্পূর্ণরূপে ঐতিহাসিক উপন্যাস হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। কিছু সমালোচক এতে ওয়াল্টার স্কটের 'আইভানহো' উপন্যাসের ছায়া লক্ষ্য করেছেন। বঙ্কিমচন্দ্রের জীবদ্দশায় এই উপন্যাসের তেরোটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়।
-
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র: তিলোত্তমা
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
বীরেন্দ্র সিংহ
-
ওসমান
-
জগৎসিংহ
-
তিলোত্তমা
-
আয়েশা
-
বিমলা
-
-
অন্যদিকে, বঙ্কিমচন্দ্রের অন্যান্য উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলো:
-
'বিষবৃক্ষ': কুন্দনন্দিনী, নগেন্দ্রনাথ, হীরা, সূর্যমুখী
-
'চন্দ্রশেখর': চন্দ্রশেখর, প্রতাপ, শৈবলিনী
-
0
Updated: 1 month ago
বঙ্গ দর্শন সাহিত্য পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক কে ছিলেন?
Created: 2 weeks ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
C
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
প্রমথ চৌধুরী
0
Updated: 2 weeks ago
'দুর্গেশনন্দিনী' উপন্যাস কত সালে প্রথম প্রকাশিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৮৬১ সালে
B
১৮৬২ সালে
C
১৮৬৩ সালে
D
১৮৬৫ সালে
দুর্গেশনন্দিনী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত প্রথম বাংলা উপন্যাস, যার শব্দের অর্থ প্রধানের কন্যা। এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস হিসেবে বিবেচিত এবং ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র হলো তিলোত্তমা।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
-
বীরেন্দ্র সিংহ
-
ওসমান
-
জগৎসিংহ
-
তিলোত্তমা
-
আয়েশা
-
বিমলা
-
0
Updated: 1 month ago
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাাস কোনটি?
Created: 1 week ago
A
স্ত্রী-চরিত্র
B
রাজর্ষি
C
ষোড়শী
D
রজনী
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ ঔপন্যাসিক, যিনি উপন্যাসে সমাজ, নৈতিকতা ও মানবিক সম্পর্ককে গভীরভাবে উপস্থাপন করেছেন। তার রচনায় চরিত্রের মানসিক ও সামাজিক বৈচিত্র্য ফুটে ওঠে এবং গল্পের সঙ্গে পাঠকের অনুভূতিকে সংযুক্ত করা যায়। ‘রজনী’ তার অন্যতম উপন্যাস, যা প্রেম, সামাজিক মূল্যবোধ এবং মানব সম্পর্কের সূক্ষ্মতাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
এর কিছু মূল বৈশিষ্ট্য হলো:
-
সাহিত্যিক বিষয়বস্তু: ‘রজনী’ উপন্যাসে চরিত্রদের সম্পর্ক, প্রেমের অভিব্যক্তি এবং সমাজের নৈতিক প্রেক্ষাপট সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। এটি পাঠককে মানুষের মানসিক জটিলতা ও সামাজিক নীতির সঙ্গে পরিচয় করায়।
-
চরিত্রায়ন: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় চরিত্রগুলোর মনস্তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য এবং আবেগপ্রবণতাকে গভীরভাবে উপস্থাপন করেছেন। পাঠক চরিত্রগুলোর চিন্তা, অনুভূতি ও সংকটের সঙ্গে সহজেই সংযুক্ত হতে পারে।
-
ভাষা ও শৈলী: তাঁর লেখা উপন্যাসের ভাষা প্রাঞ্জল, সহজবোধ্য এবং প্রায়শই সাহিত্যিক সৌন্দর্যপূর্ণ। এটি গল্পকে পাঠকের জন্য আরও গ্রহণযোগ্য এবং আকর্ষণীয় করে তোলে।
-
সামাজিক প্রভাব: ‘রজনী’ উপন্যাস পাঠকের মধ্যে নৈতিকতা, দায়বোধ ও সামাজিক মূল্যবোধ বোঝার সুযোগ দেয়। এটি শুধু বিনোদন নয়, পাঠককে চিন্তা ও অনুভূতির ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ করে।
-
ঔপন্যাসিক গুণাবলী: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখায় গল্পের তাত্ত্বিক গভীরতা, মানবিক সংবেদনশীলতা এবং সমাজ সচেতনতা একত্রিত রয়েছে, যা তাকে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
সারসংক্ষেপে, ‘রজনী’ উপন্যাসটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম, যা মানবিক সম্পর্ক, প্রেম ও সামাজিক মূল্যবোধকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। এটি বাংলা সাহিত্যে ঔপন্যাসিকতার শৈল্পিক ও নৈতিক দিককে সমৃদ্ধ করেছে এবং পাঠককে চরিত্রের অভ্যন্তরীণ মনস্তত্ত্ব ও সমাজের নৈতিক চিত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।
0
Updated: 1 week ago