চর্যাপদের টীকাকার মুনিদত্ত কোন পদের ব্যাখ্যা করেননি?
A
৩৩নং পদের
B
১১নং পদের
C
২২নং পদের
D
২৩নং পদের
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদ
-
পরিচিতি: বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনযুগের একমাত্র নিদর্শন, যা চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, চর্যাগীতিকোষ, চর্যাগীতি বা চর্যাপদ নামে পরিচিত।
-
আবিষ্কার ও প্রকাশ:
-
১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে এটি আবিষ্কার করেন।
-
১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে চর্যাপদ আধুনিক লিপিতে প্রকাশিত হয়।
-
-
পদসংখ্যা:
-
মোট চর্যাপদ: ৫০টি (কিছু মত অনুযায়ী সুকুমার সেন ৫১টি মনে করেন)
-
উদ্ধারকৃত পদ: ৪৬.৫টি
-
বিলুপ্ত/অনুদ্ধারকৃত পদ: ৩.৫টি
-
উদাহরণ:
-
২৩নং পদ (ভুসুকুপা) খণ্ডিত অবস্থায় পাওয়া গেছে (৬টি পদ আছে, ৪টি হারিয়ে গেছে)
-
২৪নং পদ (কাহ্নপা), ২৫নং পদ (তন্ত্রীপা), ৪৮নং পদ (কুক্কুরীপা) অনুদ্ধারকৃত
-
-
-
-
অনুবাদ ও ব্যাখ্যা:
-
তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
সংস্কৃত ভাষায় ব্যাখ্যা করেছেন মুনিদত্ত; তবে তিনি ১১নং পদের ব্যাখ্যা করেননি।
-
0
Updated: 1 month ago
চর্যাপদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ রচিয়তা কে?
Created: 1 month ago
A
কাহ্নপা
B
ভুসুকুপা
C
শবরপা
D
সরহপা
চর্যাপদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ রচয়িতা হলো ভুসুকুপা।
-
ভুসুকুপা
-
চর্যাগীতি রচনার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী।
-
তিনি সৌরাষ্ট্রের ক্ষত্রিয় রাজপুত্র ছিলেন বলে মনে করা হয়।
-
তাঁর রচিত ৮টি পদ চর্যাপদ গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত।
-
নানা কিংবদন্তি অনুযায়ী ভুসুকুপা নামটি ছন্দ নাম; প্রকৃত নাম শান্তিদেব।
-
ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, শান্তিদেব ভুসুকু সপ্তম শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জীবিত ছিলেন; জীবৎকালের শেষ সীমা ৮০০ সাল।
-
ধর্মপালের রাজত্বকালে (৭৭০-৮০৬ সাল) ভুসুকুপা জীবিত ছিলেন।
-
-
চর্যাপদের অন্যান্য প্রধান রচয়িতা
-
সর্বাধিক পদ রচনা করেছেন কাহ্নপা (মোট ১৩টি পদ)।
-
শবরপা ২৮ ও ৫০ এই দুটি পদ রচনা করেছেন।
-
তৃতীয় সর্বোচ্চ পদ রচনা করেছেন সরহপা (৪টি)।
-
চতুর্থ সর্বোচ্চ পদ রচনা করেছেন কুক্কুরীপা (৩টি)।
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষার লিখিত রূপের প্রাচীনতম নিদর্শন কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
B
শূন্যপুরাণ
C
চর্যাপদ
D
রামায়ণ
বাংলা ভাষা বাঙালি জনগোষ্ঠীর সেই ভাষা, যার মাধ্যমে তারা তাদের মনের ভাব ও চিন্তা প্রকাশ করে। এটি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবারের একটি সদস্য এবং ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার আদি রূপ থেকে বহু বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষায় পরিণত হয়েছে।
-
বাংলা ভাষার বিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ স্তরগুলো হলো: ইন্দো-ইউরোপীয় → ইন্দো-ইরানীয় → ভারতীয় আর্য → প্রাকৃত → বাংলা।
-
প্রায় এক হাজার বছর আগে পূর্ব ভারতীয় প্রাকৃত ভাষা থেকে বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে।
-
বাংলা ভাষার লিখিত রূপের প্রাচীনতম নিদর্শন হলো চর্যাপদ, যা প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের মূল্যবান নিদর্শন হিসেবে পরিচিত।
0
Updated: 3 weeks ago
কোন সাহিত্যকর্মে সান্ধ্যভাষার প্রয়োগ আছে?
Created: 1 month ago
A
পদাবলী
B
গীতগােবিন্দ
C
চর্যাপদ
D
চৈতন্যজীবনী
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম বৌদ্ধ গান সমূহের একটি। এর ভাষাকে বলা হয় 'সন্ধ্যা' বা 'সান্ধ্য ভাষা', যা কখনও স্পষ্ট এবং কখনও অস্পষ্ট। এজন্য একে 'আলো-আঁধারি ভাষা' ও বলা হয়।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী এ ভাষা সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন যে, “আলো আঁধারি ভাষা, কতক আলো, কতক অন্ধকার, খানিক বুঝা যায়, খানিক বুঝা যায় না। যাঁহারা সাধন-ভজন করেন, তাঁহারাই সে কথা বুঝিবেন, আমাদের বুঝিয়া কাজ নাই।” চর্যাপদের পদগুলো প্রাচীন কোনো নির্দিষ্ট ছন্দে রচিত কিনা তা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়, তবে আধুনিক ছন্দের বিচার অনুযায়ী এগুলো মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীনে বিবেচিত হয়।
চর্যাপদ বিষয়ক গবেষণার ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো:
-
১৯২০ সালে বিজয়চন্দ্র মজুমদার প্রথম চর্যাপদের ভাষা নিয়ে আলোচনা করেন।
-
১৯২৬ সালে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ভাষা নিয়ে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করে স্বীকৃতি দেন যে, চর্যাপদ বাংলা ভাষায় রচিত। তার গ্রন্থ 'অরিজিন অ্যান্ড ডেভলোপমেন্ট অব বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ'-এ ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও ছন্দ বিশ্লেষণ করে চর্যাপদের বাংলা ভাষার সম্পদ হিসেবে প্রমাণিত হয়। অধিকাংশ ভাষাবিজ্ঞানী এ অভিমত সমর্থন করেন।
-
১৯২৭ সালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ প্রথমবার চর্যাপদের ধর্মতত্ত্ব বিশ্লেষণ করেন।
-
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, ড. সুকুমার সেন, এবং ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত চর্যাপদের ভাষা, বিষয়বস্তু প্রভৃতি নিয়ে গবেষণা করে প্রমাণ করেন যে চর্যাপদ বাংলা ভাষায় রচিত।
-
১৯৪৬ সালে ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত চর্যাপদের অন্তর্নিহিত সহজযান তত্ত্বের ব্যাখ্যা প্রদান করেন।
-
বিহারের পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ন বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্য, বৌদ্ধ সহজযান এবং চর্যাগীতিকা নিয়ে ইংরেজি ও হিন্দিতে বিস্তৃত গবেষণা করেছেন।
0
Updated: 1 month ago