মুক্তিযুদ্ধের সময়ে চুকনগর গণহত্যা সংঘটিত হয় কবে?
A
২০ মে, ১৯৭১
B
১২ জুন, ১৯৭১
C
১২ মে, ১৯৭১
D
০২ জুন, ১৯৭১
উত্তরের বিবরণ
চুকনগর গণহত্যা
-
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণহত্যার ঘটনা।
-
অবস্থান: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের চুকনগর গ্রাম।
-
তারিখ: ১৯৭১ সালের ২০ মে।
-
হামলাকারী: মাত্র এক প্লাটুন পাকিস্তানি সেনা।
-
হত্যার সময়কাল: প্রায় ৪ ঘণ্টা।
-
নিহতের সংখ্যা: আনুমানিক ১২,০০০ নিরীহ মানুষ; প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।
-
নিহতদের লাশ ভদ্রা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়, যার ফলে সঠিক সংখ্যা নিরূপণ সম্ভব হয়নি।
পটভূমি ও ঘটনা:
-
মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বৃহত্তর খুলনার বিভিন্ন অঞ্চল যেমন বাগেরহাট, রামপাল, মোড়েলগঞ্জ, কচুয়া, শরণখোলা, মংলা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, চালনা, ফরিদপুর, বরিশাল থেকে হাজার হাজার মানুষ ভারতে পালানোর উদ্দেশ্যে রওনা হন।
-
তারা ট্রানজিট হিসেবে বেছে নেন চুকনগরকে।
-
২০ মে সকাল ১০টায় ৩টি ট্রাকে করে পাকিস্তানি সেনারা চুকনগর বাজারের ঝাউতলায় (পাতখোলা) এসে থামে।
-
দুপুর ৩টা পর্যন্ত তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা চালিয়ে যায়।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
শেখ মুজিবুর রহমান
B
জেনারেল আতাউল গণি ওসমানি
C
তাজউদ্দিন আহমেদ
D
ক্যাপটেন মনসুর আলী
জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী
জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সশস্ত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি।
-
১৯৭০ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
-
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকার গঠনের পর, তাকে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
-
স্বাধীনতা লাভের পর, ২৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তিনি "জেনারেল" পদে উন্নীত হন, যা কার্যকর ধরা হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে।
অন্যদিকে:
-
মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
-
উপ-সেনাপতির দায়িত্বে ছিলেন এ কে খন্দকার।
-
আর মুক্তিযুদ্ধের সময় চিফ অব স্টাফ ছিলেন কর্নেল এম এ রব।
তথ্যসূত্র:বাংলাপিডিয়া, জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 1 month ago
অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা শহরে গণহত্যার মূল দায়িত্ব দেওয়া হয় কাকে?
Created: 3 weeks ago
A
রাও ফরমান আলী
B
খাদিম হোসাইন রাজা
C
ইয়াকুব খান
D
আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী
অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনা
-
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি সেনারা পূর্ব পাকিস্তানে যে ভয়াবহ গণহত্যামূলক অভিযান চালায়, তার নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সার্চলাইট’।
-
১৯৭১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৪ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা এবং ৫৭ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী খান সামরিক অভিযানটির বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
-
১৭ মার্চ, চীফ অব স্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খানের নির্দেশে জেনারেল রাজা ঢাকা সেনানিবাসে জিওসি অফিসে অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন।
-
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঢাকা শহরের গণহত্যার মূল দায়িত্ব পান জেনারেল রাও ফরমান আলী, আর ঢাকার বাইরে দায়িত্ব পান জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা।
-
পুরো অভিযানের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও নেতৃত্বে ছিলেন জেনারেল টিক্কা খান।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (নবম-দশম শ্রেণি) এবং বিবিসি

0
Updated: 3 weeks ago
নিচের কোন দুইজন বীরশ্রেষ্ঠ ই.পি.আর. সদস্য ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
সিপাহী মোস্তফা কামাল ও মতিউর রহমান
B
মুন্সি আব্দুর রউফ ও নূর মোহাম্মদ শেখ
C
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ও হামিদুর রহমান
D
রুহুল আমিন ও মোস্তফা কামাল
-
মুন্সি আব্দুর রউফ ও নূর মোহাম্মদ শেখ ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস (EPR)-এর সদস্য।
-
১৯৭৩ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার সাতজন মুক্তিযোদ্ধাকে সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করে।
-
এদের মধ্যে: সেনাবাহিনীর তিনজন, সাবেক ই.পিআর-এর দুইজন এবং নৌ ও বিমান বাহিনীর একজন করে।
বীরশ্রেষ্ঠরা:
-
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর: সেনাবাহিনী
-
সিপাহী মোস্তফা কামাল: সেনাবাহিনী
-
সিপাহী হামিদুর রহমান: সেনাবাহিনী
-
ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন: নৌবাহিনী
-
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান: বিমান বাহিনী
-
ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ: ই.পিআর
-
ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ: ই.পিআর
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago