A
চোখের বালি
B
বলাকা
C
ঘরে-বাইরে
D
রক্তকরবী
উত্তরের বিবরণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘রক্তকরবী’ একটি দার্শনিক ও সাংকেতিক নাটক, যা বাংলা ১৩৩০ সনে শিলং-এর শৈলবাসে রচিত হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে নাটকটির নাম ছিল ‘যক্ষপুরী’।
পরবর্তীতে ১৩৩০ সালের আশ্বিন মাসে এটি যখন ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, তখন এর নতুন নামকরণ হয় ‘রক্তকরবী’।
নাটকটিতে সমাজব্যবস্থায় মানুষের সীমাহীন লোভ কীভাবে জীবন থেকে স্বাভাবিক সৌন্দর্য ও মানবিক আবেগকে ছেঁটে ফেলে, এবং মানুষকে কেবলমাত্র উৎপাদনের এক যন্ত্রে পরিণত করে—
তার এক গভীর রূপক উপস্থাপিত হয়েছে। সেই যান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে মানুষের প্রাণশক্তি ও মানবিক প্রতিবাদের যে জাগরণ, তারই প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে এই নাটকে।
‘রক্তকরবী’-তে ধনবাদী শক্তির বিরুদ্ধে প্রেম, মানবতা ও জীবনের জয়গান গাওয়া হয়েছে। এখানে ‘নন্দিনী’ চরিত্রটি দেখা দেয় নিপীড়িত মানুষের মাঝে এক আনন্দদায়িনী দূতের মতো, আর ‘রঞ্জন’ চরিত্রটি হয়ে ওঠে বিপ্লবের কণ্ঠস্বর। শেষপর্যন্ত জয়ী হয় মানুষের জীবনমুখী শক্তি ও সাহসী আত্মপ্রতিবাদ।
প্রধান চরিত্র:
-
নন্দিনী – আশার প্রতীক, যিনি ভালোবাসা ও জীবনের বার্তা নিয়ে আসেন।
-
রঞ্জন – যিনি প্রতিবাদ ও বিদ্রোহের প্রতীক।
অন্যদিকে:
-
‘চোখের বালি’ এবং ‘ঘরে-বাইরে’ হল রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ উপন্যাসসমূহের মধ্যে অন্যতম।
-
‘বলাকা’ একটি প্রভাবশালী কাব্যগ্রন্থ, যেখানে কবির কাব্যিক উচ্চারণের প্রকাশ ঘটেছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 2 weeks ago