মুক্তিযুদ্ধের ১ নম্বর সেক্টরের হেডকোয়ার্টার কোথায় ছিল?
A
হরিনাতে
B
কলকাতায়
C
কালুরঘাটে
D
বক্সগঞ্জে
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধের ১ নম্বর সেক্টর
-
ভৌগোলিক এলাকা: চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা এবং নোয়াখালী জেলার মুহুরী নদীর পূর্বাংশের সমগ্র এলাকা।
-
সেক্টর কমান্ডার: প্রথমে মেজর জিয়াউর রহমান (১০ এপ্রিল–২৫ জুন), পরে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মেজর রফিকুল ইসলাম (২৮ জুন–১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২)।
-
হেডকোয়ার্টার: হরিনাতে।
-
মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা: প্রায় ১০,০০০, যার মধ্যে:
-
নিয়মিত সৈন্য (ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী) প্রায় ২,০০০ জন
-
গণবাহিনী প্রায় ৮,০০০ জন
-
-
গেরিলা কার্যক্রম: এই সেক্টরের গেরিলা দলগুলো ১৩৭টি গ্রুপে বিভক্ত করে দেশের অভ্যন্তরে পাঠানো হয়েছিল।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে মেজর রফিকুল ইসলাম কোন সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন?
Created: 2 months ago
A
১নং সেক্টর
B
২নং সেক্টর
C
৫নং সেক্টর
D
৭নং সেক্টর
মুক্তিযুদ্ধে সেক্টরসমূহ (১–১১)
১নং সেক্টর
-
অঞ্চল: চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা ও নোয়াখালি জেলার মুহুরী নদীর পূর্বাংশ
-
হেডকোয়ার্টার: হরিনাতে
-
সেক্টর প্রধান: প্রথমে মেজর জিয়াউর রহমান, পরে মেজর রফিকুল ইসলাম
-
সৈন্যবাহিনী: প্রায় ১০,০০০ মুক্তিযোদ্ধা (২,০০০ নিয়মিত + ৮,০০০ গণবাহিনী)
-
গেরিলা গ্রুপ: ১৩৭টি
২নং সেক্টর
-
অঞ্চল: ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর, নোয়াখালির কিছু অংশ
-
হেডকোয়ার্টার: আগরতলার মেলাঘর
-
সেক্টর কমান্ডার: প্রথমে মেজর খালেদ মোশাররফ, পরে মেজর এ.টি.এম হায়দার
-
বাহিনী: ৪- ইস্টবেঙ্গল, কুমিল্লা ও নোয়াখালির ইপিআর
৩নং সেক্টর
-
অঞ্চল: চূড়ামনকাঠি থেকে সিলেট, দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিঙ্গারবিল
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর কে.এম শফিউল্লাহ, পরে মেজর এ.এন.এম নূরুজ্জামান
৪নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা থেকে কানাইঘাট থানা পর্যন্ত
-
বাহিনী: সিলেটের ইপিআর + ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত, পরে ক্যাপ্টেন এ রব
-
হেডকোয়ার্টার: প্রথমে করিমগঞ্জ, পরে মাসিমপুর (আসাম)
৫নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সিলেট জেলার দুর্গাপুর থেকে ডাউকি (তামাবিল)
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর মীর শওকত আলী
-
হেডকোয়ার্টার: বাঁশতলা
৬নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সমগ্র রংপুর জেলা ও দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও
-
সেক্টর কমান্ডার: উইং কমান্ডার এম খাদেমুল বাশার
-
বাহিনী: রংপুর ও দিনাজপুরের ইপিআর
৭নং সেক্টর
-
অঞ্চল: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, দিনাজপুরের দক্ষিণাংশ
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর নাজমুল হক, পরে সুবেদার মেজর এ. রব ও মেজর কাজী নূরুজ্জামান
-
বাহিনী: ইপিআর + ক্যাপ্টেন গিয়াস ও রশিদের নেতৃত্বে প্রাথমিক অভিযান
৮নং সেক্টর
-
অঞ্চল: এপ্রিল–কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, পটুয়াখালী; মে শেষে সঙ্কুচিত হয়ে কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, ফরিদপুরের উত্তরাংশ
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, পরে মেজর এম.এ মঞ্জুর
৯নং সেক্টর
-
অঞ্চল: বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা ও ফরিদপুরের অংশবিশেষ
-
হেডকোয়ার্টার: বশিরহাটের নিকটবর্তী টাকি
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর এম.এ জলিল, পরে মেজর এম.এ মঞ্জুর ও মেজর জয়নাল আবেদীন
১০নং সেক্টর
-
বাহিনী: নৌ-কমান্ডো বাহিনী
-
নিয়মিত কমান্ডার: নেই
-
উদ্যোক্তা: ফ্রান্সে প্রশিক্ষণরত পাকিস্তান নৌবাহিনীর আটজন বাঙালি নৌ-কর্মকর্তা
১১নং সেক্টর
-
অঞ্চল: টাঙ্গাইল জেলা ও কিশোরগঞ্জ ব্যতীত ময়মনসিংহ জেলা
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর এম. আবু তাহের; আহত হলে স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহণ
-
হেডকোয়ার্টার: মহেন্দ্রগঞ্জ
সূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় 'বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল' কত নং সেক্টরে অবস্থিত ছিল?
Created: 1 month ago
A
২ নং
B
৪ নং
C
১০ নং
D
১১ নং
মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে বিশেষভাবে ফিল্ড হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়, যা 'বাংলাদেশ হাসপাতাল' নামে পরিচিত ছিল। এটি মূলত ২ নং সেক্টরে অবস্থিত ছিল এবং সেখান থেকে ঢাকার গেরিলাযুদ্ধের পরিকল্পনা ও পরিচালনা করা হতো।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১টি সেক্টরের প্রতিটি হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে একটি করে মেডিকেল ইউনিট যুক্ত ছিল।
-
২ নম্বর সেক্টর অন্তর্ভুক্ত ছিল বৃহত্তর নোয়াখালী, কুমিল্লা জেলার আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন পর্যন্ত এলাকা, ঢাকা শহর ও ফরিদপুর জেলার পূর্বাংশ।
-
২ নম্বর সেক্টরের হেডকোয়ার্টার ভারতের আগরতলা, প্রথমে মতিনগর, পরে মেলাঘর। নেতৃত্বে ছিলেন মেজর খালেদ মোশাররফ।
-
মূল চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালিত হত স্বতন্ত্রভাবে সম্পূর্ণ বাংলাদেশি জনবল ও অর্থায়নে, যা মুক্তিযুদ্ধের মেডিকেল যুদ্ধের আইকন হিসেবে পরিচিত।
-
হাসপাতালের নেপথ্যের প্রধান চিকিৎসকরা ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডা. এম এ মোবিন, প্রয়াত ডা. আখতার আহমেদ, ডা. নাজিমুদ্দীন আহমেদ এবং ডা. সিতারা বেগম।
-
ক্যাপ্টেন আখতার মেজর খালেদের সঙ্গে পরামর্শ করে কুমিল্লা সীমান্তের কাছে আগরতলার শ্রীমন্তপুর এলাকায় হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেন। তিনি কমান্ডিং অফিসার হলেও মূল কার্যক্রম পরিচালনা করতেন ডা. নাজিমুদ্দীন আহমেদ।
-
১৯৭১ সালের মে মাসে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ডা. এম এ মোবিন ইংল্যান্ড থেকে এসে মেলাঘর হাসপাতালে যোগ দেন। সেপ্টেম্বর মাসে যোগ দেন ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম।
-
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জন পর্যন্ত ডা. আখতার, ডা. নাজিম, ডা. সিতারা এবং পরামর্শক ডা. মোবিন হাসপাতালের কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন।
-
২ নম্বর সেক্টরের অধীন সাবসেক্টরগুলোতে ফার্স্ট এইডে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যোদ্ধারা থাকতেন, যারা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করতেন।
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুক্ত চলাকালে বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়?
Created: 3 days ago
A
১০
B
১১
C
১২
D
১৩
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে ১০ নম্বর সেক্টরে কোনো নিয়মিত সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়।
-
১০ নম্বর সেক্টরে কোনো নিয়মিত সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না।
0
Updated: 3 days ago