ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী গারোদের আদি ধর্মের নাম কী?
A
আচিক
B
সাংসারেক
C
ওয়ানগালা
D
কোনটি নয়
উত্তরের বিবরণ
গারো উপজাতি
-
মূল নিবাস: ময়মনসিংহ জেলার গারো পাহাড়ি এলাকা।
-
অতিরিক্ত বসতি: শেরপুর, নেত্রকোনা, রংপুর, জামালপুর, সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলায়।
-
ধর্ম: আদি ধর্ম সাংসারেক, বর্তমানে অধিকাংশ খ্রিস্টান।
-
ভাষা: নিজস্ব ভাষা আচিক বা গারো ভাষা।
-
সমাজব্যবস্থা: মাতৃতান্ত্রিক, পরিবারের প্রধান একজন নারী।
-
পোশাক: নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক ‘দকবান্দা ও দকসারি’, পুরুষরা শার্ট, লুঙ্গি, ধুতি ইত্যাদি পরিধান করে।
-
ঐতিহ্যবাহী উৎসব: ওয়ানগালা।
0
Updated: 1 month ago
গারোদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
বৈসাবি
B
ওয়ানগালা
C
রথযাত্রা
D
সাংগ্রাই
গারো জনগোষ্ঠী মূলত ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করে। তারা নিজেদের পরিচয়ে বৈচিত্র্য বহন করে এবং ভাষা ও সংস্কৃতিতে বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। তাদের সমাজে মাতৃতান্ত্রিক প্রথা ও বিশেষ উৎসব গুরুত্ব পায়। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নববর্ষ ও ধর্মীয় উৎসবও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ।
-
গারো জনগোষ্ঠী ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাস করে।
-
ময়মনসিংহ ছাড়াও টাঙ্গাইল, সিলেট, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকা ও গাজীপুর জেলায় গারোদের বসবাস রয়েছে।
-
গারোরা ভাষা অনুযায়ী বোডো-মঙ্গোলীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
-
জাতিগত পরিচয়ে অনেক গারো নিজেদেরকে মান্দি বলে উল্লেখ করে।
-
গারো ভাষায় ‘মান্দি’ শব্দের অর্থ হলো ‘মানুষ’।
-
গারো সমাজে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার প্রথা প্রচলিত।
-
তাদের প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব হলো ‘ওয়ানগালা’।
অন্যদিকে,
-
বৈসাবি হলো বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের তিনটি প্রধান আদিবাসী সম্প্রদায়—ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমাদের নববর্ষের উৎসবের সম্মিলিত নাম।
-
রথযাত্রা বা রথদ্বিতীয়া হলো আষাঢ় মাসে আয়োজিত অন্যতম প্রধান হিন্দু উৎসব।
-
সাংগ্রাই হলো বাংলাদেশী মারমা ও রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উৎসব।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
গারোদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব কোনটি?
Created: 2 months ago
A
বিজু
B
ওয়ানগালা
C
সাংগ্রাই
D
রাস পূর্ণিমা
ওয়ানগালা উৎসব
-
এই উৎসবে সালজং দেবতাকে ফসল উৎসর্গ করা হয়। এটি গারোদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।
-
• গারো নৃগোষ্ঠী:
-
গারো ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় ও বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাসকারী আদিবাসী সম্প্রদায়।
-
ভারতে মেঘালয় ছাড়াও আসামের কামরূপ, গোয়ালপাড়া ও কারবি আংলং জেলায় এবং বাংলাদেশের ময়মনসিংহ ছাড়াও টাঙ্গাইল, সিলেট, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকাও গাজীপুর জেলায় গারোরা বসবাস করে।
-
গারোরা ভাষা অনুযায়ী বোডো-মঙ্গোলীয় ভাষাগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত।
-
জাতিগত পরিচয়ের ক্ষেত্রে অনেক গারো নিজেদেরকে মান্দি বলে পরিচয় দেন।
-
গারোদের ভাষায় ‘মান্দি’ শব্দের অর্থ ‘মানুষ’।
-
গারো সমাজে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার প্রথা প্রচলিত।
-
তাদের প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব ওয়ানগালা; যেখানে দেবতা মিসি ও সালজং এর উদ্দেশ্যে উৎপাদিত ফসল উৎসর্গ করা হয়।
অন্যদিকে:
-
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যারা যে উৎসব করে তাকে বিজু বলে।
-
মার্মাদের সবচেয়ে বড় উৎসব হলো সাংগ্রাই।
সূত্র: ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সনদ
0
Updated: 2 months ago
'গারো উপজাতি' কোন জেলায় বাস করে?
Created: 2 months ago
A
পার্বত্য চট্টগ্রাম
B
সিলেট
C
ময়মনসিংহ
D
টাঙ্গাইল
গারো উপজাতি
বাংলাদেশে গারো উপজাতির মূল নিবাস ময়মনসিংহ জেলার গারো পাহাড়ি অঞ্চল।
এছাড়াও শেরপুর, নেত্রকোনা, জামালপুর, রংপুর, সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলায় কিছুসংখ্যক গারো জনগোষ্ঠী বসবাস করে। তবে সংখ্যার দিক থেকে দেখা যায়, ময়মনসিংহ জেলার গারো পাহাড়ই গারো উপজাতির প্রধান আবাসস্থল।
সিলেট অঞ্চলে অল্পসংখ্যক গারো থাকলেও তাদের অধিকাংশই ময়মনসিংহ এলাকায় কেন্দ্রীভূত। তাই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হবে ময়মনসিংহ জেলা।
গারো উপজাতি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
-
তাদের প্রাচীন ধর্মের নাম সাংসারেক।
-
প্রধান দেবতার নাম তাতারা রাবুগা।
-
বর্তমানে অধিকাংশ গারো জনগোষ্ঠী খ্রিস্টান ধর্ম অনুসরণ করে।
-
তাদের প্রধান উৎসব হলো ওয়ানগালা।
-
গারো ভাষাকে বলা হয় মান্দি ভাষা।
-
গারো সমাজব্যবস্থা মাতৃতান্ত্রিক।
উৎস: ময়মনসিংহ জেলার সরকারি ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago