মুক্তিযুদ্ধে কোন সেক্টরের কোনো সাব-সেক্টর ছিলো না?
A
১১ নং সেক্টর
B
১০ নং সেক্টর
C
৫ নং সেক্টর
D
১ নং সেক্টর
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর
-
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য পূর্ব পাকিস্তানের সমগ্র এলাকা ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়।
-
প্রতিটি সেক্টরের একজন সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ করা হয়।
-
যুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার জন্য প্রতিটি সেক্টরকে সাব-সেক্টরে বিভক্ত করা হয়, যেখানে প্রতিটি সাব-সেক্টরে একজন কমান্ডার থাকতেন।
সেক্টরের বিভক্তি:
-
সেক্টর ১: ৫টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ২: ৬টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৩: ১০টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৪: ৬টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৫: ৬টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৬: ৫টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৭: ৮টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৮: ৭টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৯: ৩টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ১০: কোনো সাব-সেক্টর বা নিয়মিত কমান্ডার নেই; এটি প্রধান সেনাপতির নিয়ন্ত্রণাধীন বিশেষ বাহিনী ছিল
-
সেক্টর ১১: ৮টি সাব-সেক্টর
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় ২ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন -
Created: 2 months ago
A
মেজর রফিকুল ইসলাম
B
মেজর মীর শওকত আলী
C
মেজর খালেদ মোশাররফ
D
মেজর নাজমুল হক
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ও কমান্ডারগণ
-
১ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর জিয়াউর রহমান, পরে মেজর রফিকুল ইসলাম।
-
২ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর খালেদ মোশাররফ, পরে মেজর এ.টি.এম হায়দার।
-
৩ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর কে.এম শফিউল্লাহ, পরে মেজর এ.এন.এম নূরুজ্জামান।
-
৪ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত, পরে ক্যাপ্টেন এ রব।
-
৫ নং সেক্টর: মেজর মীর শওকত আলী।
-
৬ নং সেক্টর: উইং কমান্ডার এম. খাদেমুল বাশার।
-
৭ নং সেক্টর: মেজর নাজমুল হক; পরে সুবেদার মেজর এ. রব ও মেজর কাজী নূরুজ্জামান।
-
৮ নং সেক্টর: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী; পরে মেজর এম.এ মঞ্জুর।
-
৯ নং সেক্টর: মেজর এম.এ জলিল; পরে মেজর এম.এ মঞ্জুর ও মেজর জয়নাল আবেদীন।
-
১০ নং সেক্টর: নৌ-কমান্ডো বাহিনী নিয়ে গঠিত; নিয়মিত সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না।
-
১১ নং সেক্টর: মেজর এম. আবু তাহের; গুরুতর আহত হলে স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহ দায়িত্ব পান।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জড়িত ছিলেন কে?
Created: 2 months ago
A
রফিক
B
নূর হোসেন
C
শামসুজ্জোহা
D
আসাদ
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন
-
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সামরিক অভ্যুত্থারের মাধ্যমে সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা দখল করে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
-
এরশাদের ক্ষমতা দখলের পর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয় প্রধানত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
-
টানা ৯ বছর চলা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য, যা স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের মূল শক্তি হিসেবে কাজ করে।
-
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর অবশেষে এরশাদ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।
-
আন্দোলনের সময়ে গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নামা তরুণ নুর হোসেন পুলিশের গুলিতে শহিদ হন।
-
নুর হোসেন শহিদের মৃত্যু হয় ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা।
0
Updated: 2 months ago
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহর কোন্ সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল?
Created: 1 month ago
A
২ (দুই) নম্বর
B
৩ (তিন) নম্বর
C
৪ (চার) নম্বর
D
৫ (পাঁচ) নম্বর
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সামরিক কৌশলকে কার্যকরভাবে পরিচালনার জন্য তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পুরো ভূখণ্ডকে ১১টি সেক্টর বা রণাঙ্গনে ভাগ করা হয়েছিল। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন এবং সুবিধাজনক যুদ্ধ পরিকল্পনার জন্য প্রতিটি সেক্টরকে আবার কয়েকটি সাব-সেক্টরে বিভক্ত করা হয়েছিল। সাব-সেক্টরের দায়িত্বে থাকতেন একজন করে কমান্ডার। নিচে সেক্টরভিত্তিক তথ্য তুলে ধরা হলো।
-
২ নং সেক্টর: ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর ও নোয়াখালি জেলার অংশ নিয়ে গঠিত। বাহিনী গঠিত হয় ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল, কুমিল্লা ও নোয়াখালির ইপিআর সদস্যদের দ্বারা। সদরদপ্তর ছিল আগরতলার মেলাঘরে। এখানে ৬টি সাব-সেক্টর ছিল। কমান্ডার ছিলেন প্রথমে মেজর খালেদ মোশাররফ এবং পরে মেজর এ.টি.এম হায়দার।
-
১ নং সেক্টর: ফেনী নদী থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি ও ফেনী পর্যন্ত বিস্তৃত। এপ্রিল–জুন পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান এবং জুন–ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর রফিকুল ইসলাম। এই সেক্টর ৫টি সাব-সেক্টরে বিভক্ত ছিল।
-
৩ নং সেক্টর: হবিগঞ্জ, আখাউড়া–ভৈরব রেললাইন থেকে পূর্বদিকে কুমিল্লার কিছু অংশ, কিশোরগঞ্জ ও ঢাকার কিছু এলাকা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এপ্রিল–সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর কেএম শফিউল্লাহ এবং সেপ্টেম্বর–ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এএনএম নুরুজ্জামান। এখানে ৭টি সাব-সেক্টর ছিল।
-
৪ নং সেক্টর: সিলেট জেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত, যেখানে ৬টি সাব-সেক্টর ছিল। মে–ডিসেম্বর পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর সিআর দত্ত এবং পরে ক্যাপ্টেন এ রব।
-
৫ নং সেক্টর: বৃহত্তর ময়মনসিংহ সীমান্ত ও সিলেটের কিছু অঞ্চল নিয়ে গঠিত। কমান্ডার ছিলেন মেজর মীর শওকত আলী। এখানে ৬টি সাব-সেক্টর ছিল।
-
৬ নং সেক্টর: দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও মহকুমা এবং ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী অঞ্চল বাদে সমগ্র রংপুর অন্তর্ভুক্ত ছিল। কমান্ডার ছিলেন উইং কমান্ডার এমকে বাশার। এখানে ৫টি সাব-সেক্টর ছিল।
-
৭ নং সেক্টর: রাজশাহী, পাবনা, সমগ্র বগুড়া, দিনাজপুরের দক্ষিণাংশ এবং রংপুরের কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত। কমান্ডার ছিলেন মেজর নাজমুল হক, সুবেদার মেজর এ রব ও মেজর কাজী নুরুজ্জামান (পরে লে. কর্নেল)। এখানে ৯টি সাব-সেক্টর ছিল।
-
৮ নং সেক্টর: কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত খুলনা ও ফরিদপুরের কিছু অঞ্চল নিয়ে গঠিত। এপ্রিল–আগস্ট পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী এবং আগস্ট–ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এম এ মঞ্জুর। এখানে ৭টি সাব-সেক্টর ছিল।
-
৯ নং সেক্টর: পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনার কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত। ডিসেম্বরের শুরু পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর এম এ জলিল, তারপর মেজর জয়নাল আবেদীন। অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন মেজর এম এ মঞ্জুর। এখানে ৩টি সাব-সেক্টর ছিল।
-
১০ নং সেক্টর: সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল ও নৌ কমান্ডো অপারেশনের দায়িত্বে ছিল। এখানে কোনো নিয়মিত সাব-সেক্টর বা সেক্টর কমান্ডার ছিল না। এটি সরাসরি প্রধান সেনাপতির নিয়ন্ত্রণাধীন বিশেষ বাহিনী হিসেবে কাজ করত।
-
১১ নং সেক্টর: ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা (কিশোরগঞ্জ ছাড়া) অন্তর্ভুক্ত ছিল। এপ্রিল–জুন পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান, পরে মেজর আবু তাহের, এবং এরপর ফ্লাইট লেফট্যান্যান্ট এম হামিদুল্লাহ খান। এখানে ৭টি সাব-সেক্টর ছিল।
0
Updated: 1 month ago