'সাত সাগরের মাঝি' কাব্যগ্রন্থটির কবি কে?
A
ফররুখ আহমদ
B
আহসান হাবিব
C
শামসুর রাহমান
D
হাসান হাফিজুর রহমান
উত্তরের বিবরণ
‘সাত সাগরের মাঝি’ — ফররুখ আহমদের প্রধান কাব্যসংগ্রহ
মুসলিম পুনর্জাগরণের কবি ফররুখ আহমদ রচিত প্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ‘সাত সাগরের মাঝি’ ১৯৪৪ সালে প্রকাশ পায়। এই গ্রন্থে মোট ১৯টি কবিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ‘সাত সাগরের মাঝি’ নামে একটি কবিতা রয়েছে যা গ্রন্থের শেষ ভাগে স্থান পেয়েছে।
ফররুখ আহমদের লেখা ‘পাঞ্জেরি’ কবিতাটিও এই কাব্যগ্রন্থের অংশ। এর বাইরে গ্রন্থে আরও গুরুত্বপূর্ণ কবিতাগুলো হলো—‘সিন্দাবাদ’, ‘লাশ’, ‘আউলাদ’, ‘দরিয়ার শেষরাত্রি’ প্রভৃতি।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 3 months ago
‘পলাশীর যুদ্ধ’ কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা কে?
Created: 3 weeks ago
A
বিষ্ণু দে
B
নবীনচন্দ্র সেন
C
নুরুল মোমেন
D
বিজন ভট্টাচার্য
বাংলা সাহিত্যে ঐতিহাসিক আখ্যানকাব্যের অন্যতম প্রবর্তক ছিলেন নবীনচন্দ্র সেন। তাঁর কাব্যে দেশপ্রেম, ইতিহাসচেতনা ও নৈতিক বোধ একত্রে প্রকাশ পেয়েছে। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ তাঁর বিখ্যাত কাব্য ‘পলাশীর যুদ্ধ’, যা বাংলার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়কে সাহিত্যরূপে উপস্থাপন করেছে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
‘পলাশীর যুদ্ধ’ নবীনচন্দ্র সেন রচিত একটি ঐতিহাসিক আখ্যানকাব্য।
-
এটি ১৮৭৫ সালে প্রকাশিত হয়।
-
কাব্যটি প্রকাশের পর ব্রিটিশ সরকারের রোষানলে পড়েন নবীনচন্দ্র সেন, কারণ এতে ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবোধ ও ঐতিহাসিক সত্যের প্রকাশ ছিল।
নবীনচন্দ্র সেন সম্পর্কে তথ্য:
-
তিনি ১৮৪৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের নোয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
শিক্ষাজীবন শুরু করেন চট্টগ্রাম স্কুলে, পরে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফ.এ. (১৮৬৫) এবং জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশন (বর্তমান স্কটিশ চার্চ কলেজ) থেকে বি.এ. (১৮৬৮) ডিগ্রি অর্জন করেন।
-
তিনি ১৯০৯ সালের ২৩ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
-
অবকাশরঞ্জিনী
-
পলাশীর যুদ্ধ
-
রৈবতক
-
কুরুক্ষেত্র
-
প্রভাস
-
অমৃতাভ
0
Updated: 3 weeks ago
জীবনীকাব্য রচনার জন্য বিখ্যাত :
Created: 1 month ago
A
ফকির গরীবুল্লাহ
B
নরহরি চক্রবর্তী
C
বিপ্রদাস পিপিলাই
D
বৃন্দাবন দাস
বৃন্দাবন দাস ও জীবনীকাব্য
বাংলা সাহিত্যে জীবনীকাব্যের জনক হিসেবে খ্যাত বৃন্দাবন দাস। তিনি শ্রীচৈতন্যদেবের জীবনকাহিনী নিয়ে প্রথম জীবনীকাব্য রচনা করেন। এ কাব্যের নাম শুরুতে ছিল “চৈতন্যামঙ্গল”। পরে কাব্যের ভেতরে ভাগবতের প্রভাব ও লীলা বিষয়ক বর্ণনা থাকায় এর নামকরণ হয় “চৈতন্যভাগবত”।
ধারণা করা হয়, গ্রন্থটি রচিত হয় প্রায় ১৫৪৮ খ্রিষ্টাব্দে।
উৎস:বাংলা ভাষার ইতিহাস – মাহবুবুল আলম
0
Updated: 1 month ago
হিন্দী 'পদুমাবৎ' -এর অবলম্বনে 'পদ্মাবতী' কাব্যের রচয়িতা-
Created: 4 months ago
A
দৌলত উজীর বাহরাম খান
B
সৈয়দ সুলতান
C
আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ
D
আলাওল
পদ্মাবতী আলাওল রচিত একটি প্রখ্যাত প্রণয়কাব্য, যা মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে বিবেচিত। এটি হিন্দি ভাষার খ্যাতিমান কবি মালিক মুহাম্মদ জায়সির ‘পদুমাবৎ’ কাব্যের বাংলা অনুবাদ।
এই কাব্যটি ১৬৫১ খ্রিষ্টাব্দে রচিত হয় আরাকান রাজ্যের রাজা সাদ থদোমিন্তারের রাজত্বকালে। রাজ্যের মন্ত্রী মাগন ঠাকুরের আদেশে আলাওল এটি অনুবাদ করেন।
‘পদ্মাবতী’ কাব্য দুই পর্বে বিভক্ত:
-
প্রথম পর্বে চিতোরের রাজা রত্নসেন কীভাবে সিংহলের রাজকন্যা পদ্মাবতীকে লাভ করেন, তা বর্ণিত হয়েছে।
-
দ্বিতীয় পর্বে দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি কীভাবে ব্যর্থভাবে পদ্মাবতীকে দখল করার চেষ্টা করেন, তার বর্ণনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, একই নামের নাটক ‘পদ্মাবতী’ মাইকেল মধুসূদন দত্ত-ও রচনা করেছিলেন, তবে সেটি আলাওলের কাব্যের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
আলাওল ছিলেন মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। তাঁর রচনায় ধর্মীয়, ঐতিহাসিক ও প্রণয়কাহিনির অপূর্ব সমন্বয় লক্ষ্য করা যায়।
বিখ্যাত রচনাসমূহ:
-
পদ্মাবতী
-
তোহফা
-
সপ্তপয়কার
-
সিকান্দারনামা
-
সয়ফুল্মুলুক বদিউজ্জামাল
-
সতীময়না
-
রাগতালনামা
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 4 months ago