মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান কোথায়?
A
খুলনা
B
যশোর
C
বরিশাল
D
সাতক্ষীরা
উত্তরের বিবরণ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন একজন মহাকবি ও নাট্যকার, যিনি বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের সাহিত্যসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হলো:
-
তিনি বাংলা ভাষার সনেট প্রবর্তক।
-
তিনি অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।
-
প্রথমবার অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রয়োগ করেন ‘পদ্মাবতী’ নাটকে।
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ হলো তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, যা সম্পূর্ণ অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'বটতলার উপন্যাস' গ্রন্থের লেখকের নাম কী?
Created: 3 months ago
A
দিলারা হাশেম
B
রাজিয়া খান
C
রিজিয়া রহমান
D
সেলিনা হোসেন
রাজিয়া খান
- রাজিয়া খান আমিন মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপক ছিলেন।
- অধ্যাপনা করলেও সাহিত্যের অঙ্গনেও তাঁর সমান পদচারণা ছিল।
- সাহিত্যকর্মে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৫৮ সালে।
- তাঁর সাড়া জাগানো বই ‘বটতলার উপন্যাস’।

উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; 'বটতলার উপন্যাস' এবং বিবিসি নিউজ বাংলা।
0
Updated: 3 months ago
‘লালসালু’ - উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদের নাম কী?
Created: 4 weeks ago
A
Red Cloth
B
Tree Without Roots
C
Roots of Faith
D
The Holy Man
‘লালসালু’ আধুনিক বাংলা উপন্যাসের এক অনন্য মাইলফলক, যা সমাজে ধর্মের অপপ্রয়োগ, ভণ্ডামি ও নারীর জাগরণের প্রেক্ষাপটে সামাজিক চেতনার এক গভীর চিত্র তুলে ধরে। সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ তাঁর অসামান্য ভাষাশৈলী ও মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই উপন্যাসকে করে তুলেছেন কালোত্তীর্ণ।
লালসালু উপন্যাস সম্পর্কে মূল তথ্য:
-
প্রকাশকাল: ১৯৪৮ সালে, কলকাতা থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত।
-
বিষয়বস্তু: ধর্মের নামে ব্যক্তিস্বার্থে প্রতারণাকারীদের মুখোশ উন্মোচন এবং সমাজে নারী জাগরণ ও চেতনার বিকাশ।
-
প্রতীকী দিক: উপন্যাসে জমিলা চরিত্রটি বিদ্রোহ ও প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে।
-
চরিত্রসমূহ: মজিদ, খালেক ব্যাপারি, জমিলা, রহিমা, আমেনা, আক্কাস, তাহেরে বাপ, হাসুনির মা প্রমুখ।
-
বিশেষত্ব: ‘লালসালু’ একটি বহুমাত্রিক ও কালোত্তীর্ণ উপন্যাস, যা সময়ের সীমা ছাড়িয়ে সার্বজনীন মানব-অভিজ্ঞতার প্রতিফলন ঘটায়।
-
অনুবাদ: ইংরেজিতে Tree Without Roots নামে অনূদিত হয় ১৯৬৭ সালে, এবং আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করে।
সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
তিনি একাধারে কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার।
-
জন্ম: ১৫ আগস্ট ১৯২২, চট্টগ্রামের ষোলশহরে সৈয়দ (ডেপুটি) বাড়িতে।
-
শিক্ষা: আনন্দ মোহন কলেজ থেকে বি.এ (ডিস্টিংকশনসহ), ১৯৪৩ সালে।
-
সাহিত্যচর্চার সূচনায় ‘ভোরের আলো’ নামে হাতে লেখা পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
-
উপন্যাস: লালসালু, চাঁদের অমাবস্যা, কাঁদো নদী কাঁদো।
-
গল্পগ্রন্থ: নয়নচারা, দুই তীর।
-
নাটক: বহিপীর, তরঙ্গভঙ্গ, সুড়ঙ্গ।
0
Updated: 4 weeks ago
'কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও'- এই কবিতা দিয়ে রবীন্দ্রনাথের কোন উপন্যাসটি সমাপ্ত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
নৌকাডুবি
B
চতুরঙ্গ
C
চার অধ্যায়
D
শেষের কবিতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘শেষের কবিতা’ একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৯ সালে। তবে এর কিছু অংশ ১৯২৮ সালে ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় ছাপা হয়। ভাষার অসাধারণ ঔজ্জ্বল্য, দৃপ্তশক্তি ও কবিত্বের দীপ্তি এই গ্রন্থকে স্বাতন্ত্র্যমণ্ডিত করেছে এবং এটি রবীন্দ্রনাথের অন্যতম বিস্ময়কর সৃষ্টি হিসেবে গণ্য হয়।
-
প্রকাশকাল: ১৯২৯ (প্রথমে ১৯২৮ সালে প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশিত)
-
উপন্যাসে ভাষার গুণে অসামান্য কবিত্ব ও শক্তির প্রকাশ ঘটেছে।
-
এর অনেক বাক্য প্রবাদের মর্যাদা পেয়েছে। যেমন:
“ফ্যাশনটা হলো মুখোশ, স্টাইলটা হলো মুখশ্রী।” -
পণ্ডিত সুকুমার সেন বলেন: “বৈষ্ণব সাধনার পরকীয়াতত্ত্ব রবীন্দ্রনাথের কবিমানসে যেভাবে রূপান্তর লাভ করিয়াছিল, ‘শেষের কবিতায়’ তাহার পরিচয় পাই।”
-
উপন্যাসটির সমাপ্তি হয়েছে কবিতা দিয়ে:
“কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও”
উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
অমিত
-
লাবণ্য
-
কেতকী
-
শোভনলাল প্রমুখ
উৎস:
0
Updated: 1 month ago