কাজী নজরুল ইসলাম নিচের কোন পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন?
A
কল্লোল
B
বিজলী
C
দৈনিক নবযুগ
D
মোসলেম ভারত
উত্তরের বিবরণ
কাজী নজরুল ইসলাম সাংবাদিকতাতেও সক্রিয় ছিলেন এবং কিছু পত্রিকার সম্পাদক ও পরিচালকের ভূমিকায় ছিলেন। তিনি কমরেড মুজাফ্ফর আহমদ এর সঙ্গে যৌথভাবে ‘দৈনিক নবযুগ’ পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন।
কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত অন্যান্য পত্রিকা:
-
ধূমকেতু – ১৯২২ সালে প্রকাশিত।
-
লাঙ্গল – ১৯২৫ সালে প্রকাশিত; পত্রিকার প্রধান পরিচালক ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম।
অন্য পত্রিকাগুলো ও তাদের সম্পাদক:
-
বিজলী – সম্পাদক ছিলেন নলিনীকান্ত সরকার, প্রবোধকুমার সান্যাল প্রমুখ।
-
মোসলেম – ১৯২৮ সালে প্রকাশিত; সম্পাদক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক।
-
কল্লোল – সম্পাদনা করেছেন দীনেশ রঞ্জন দাশ।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'পথের পাঁচালী' উপন্যাসে অপুর মায়ের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
মৃণালিনী
B
সর্বজয়া
C
নলিনী
D
বিনোদিনী
'পথের পাঁচালী' বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি জনপ্রিয় বাংলা উপন্যাস, যা গ্রামীণ জীবনের স্বচ্ছ চিত্রায়ণ ও মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সংযোগের বিষয়বস্তু নিয়ে রচিত।
-
প্রকাশনা: ১৯২৯ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত এবং এর আগেই 'বিচিত্রা' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত।
-
পটভূমি: বাংলাদেশের গ্রাম এবং সেখানে বসবাসকারী মানুষের দৈনন্দিন জীবন।
-
বিষয়বস্তু: শিশুর চৈতন্যের উদয়, মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক এবং প্রকৃতির সঙ্গে পরিচয়।
-
উপন্যাসের তিনটি ভাগ: বল্লালী বালাই, আমআঁটির ভেঁপু, অক্রূর সংবাদ।
-
নায়ক: বালক অপু।
-
প্রধান চরিত্র:
-
অপু
-
দুর্গা
-
ইন্দির ঠাকরুন
-
সর্বজয়া (অপু ও দুর্গার মা)
-
0
Updated: 1 month ago
"হাজার বছর ধরে আমি পথ হাটিতেছি পৃথিবীর পথে"- চরণটি কার লেখা?
Created: 4 weeks ago
A
কালী প্রসন্ন ঘোষ
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
জীবনানন্দ দাস
D
জসীম উদ্দীন
জীবনানন্দ দাশ আধুনিক বাংলা কবিতার এক অনন্য প্রতিভা এবং ত্রিশের দশকের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি ১৮৯৯ সালে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রামে। তাঁর পিতা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষক ও সমাজসেবক, যিনি ‘ব্রহ্মবাদী’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবে খ্যাত। তাঁর মাতা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন স্বনামধন্য কবি, যাঁর কবিতা “আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে” আজও পাঠকের হৃদয়ে অমর হয়ে আছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনানন্দের কবিতাকে “চিত্ররূপময় কবিতা” বলে অভিহিত করেছিলেন। তাঁর কবিতায় প্রকৃতি, মানুষ, ইতিহাস ও অতীতের প্রতি এক গভীর আকুলতা মিশে আছে। জীবনানন্দ দাশকে বলা হয়—
-
ধূসরতার কবি (কারণ তাঁর কবিতায় জীবনের মলিন বাস্তবতা ও নিঃসঙ্গতার ছোঁয়া পাওয়া যায়),
-
তিমির হননের কবি (অন্ধকারের মধ্যেও আলোর অনুসন্ধান তাঁর কাব্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য),
-
নির্জনতার কবি (অন্তর্মুখী চিন্তা ও একাকিত্ব তাঁর কবিতায় প্রবলভাবে প্রতিফলিত),
-
এবং রূপসী বাংলার কবি (বাংলার প্রকৃতি, মাটি ও মানুষ তাঁর কবিতায় প্রাণ পায়)।
তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস দুটি হলো—
-
মাল্যবান
-
সতীর্থ
তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থসমূহ হলো—
-
ঝরাপালক
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
রূপসী বাংলা
-
বেলা অবেলা কালবেলা
0
Updated: 4 weeks ago
'বেদান্তগ্রন্থ' - গ্রন্থটি রচনা করেন কে?
Created: 1 month ago
A
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
B
উইলিয়াম কেরি
C
রামমোহন রায়
D
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
‘বেদান্তগ্রন্থ’ ১৮১৫ সালে রাজা রামমোহন রায় কর্তৃক ব্রহ্মসূত্রের অনুবাদ ও টীকা হিসেবে রচিত হয়। বাংলাগদ্যের ইতিহাসে এর গুরুত্ব অসাধারণ। এই গ্রন্থে তিনি প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে হিন্দুধর্মের মূল ভিত্তি পৌত্তলিকতা নয়, বরং ব্রহ্মই একমাত্র তত্ত্ব ও উপাস্য। এর ফলে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে প্রবল বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
রামমোহন রায় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ হলো—
-
তিনি বাংলার নবজাগরণের আদি পুরুষ। জন্মগ্রহণ করেন ১৭৭২ সালের ২২ মে হুগলী জেলার রাধানগর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে।
-
১৮৩০ সালে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর তাঁকে ‘রাজা’ উপাধি প্রদান করেন এবং ব্রিটিশ রাজ ও পার্লামেন্টে পক্ষে ওকালতির জন্য ইংল্যান্ডে পাঠান।
-
২০ আগস্ট ১৮২৮ সালে তিনি প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের সহায়তায় কলকাতায় ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন।
-
তিনি শিব প্রসাদ রায় ছদ্মনামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করতেন।
-
তাঁর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ৩০টি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago