মধুসূদন দত্ত রচিত 'মেঘনাদবধ কাব্য' এর উৎস গ্রন্থ কোনটি?
A
রামায়ণ
B
মহাভারত
C
ভাগবত
D
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
উত্তরের বিবরণ
মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য হিসেবে পরিচিত। এটি রচিত হয় ১৮৬১ সালের জুন মাসে এবং মূলত সংস্কৃত মহাকাব্য ‘রামায়ণ’ এর ক্ষুদ্র অংশের ওপর ভিত্তি করে।
কাব্যটি নয়টি সর্গে বিভক্ত এবং এতে মোট তিন দিন দুই রাতের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
প্রধান চরিত্রগুলো:
-
রাবণ
-
মেঘনাদ
-
লক্ষ্মণ
-
রাম
-
প্রমীলা
-
বিভীষণ
-
সীতা
-
সরমা ইত্যাদি
কাব্যের সর্গসমূহ:
-
অভিষেক
-
অস্ত্রলাভ
-
সমাগম
-
অশোক বন
-
উদ্যোগ
-
বধ
-
শক্তিনির্ভেদ
-
প্রেতপুরী
-
সংস্ক্রিয়া
মেঘনাদবধ কাব্য অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত।
উৎস:

0
Updated: 1 day ago
'ইব্রাহিম কার্দি' বিখ্যাত চরিত্রটি কোন গ্রন্থে পাওয়া যায়?
Created: 1 month ago
A
বিষাদ সিন্ধু
B
রক্তাক্ত প্রান্তর
C
নীল দর্পণ
D
জমিদার দর্পণ
‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ নাটক
-
‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ মুনীর চৌধুরী রচিত নাটক, যা মহাকবি কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ গ্রন্থের কাহিনী থেকে অনুপ্রাণিত।
-
এটি মুনীর চৌধুরীর প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌলিক নাটক।
-
নাটকটি রচিত হয়েছে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ (১৭৬১) অবলম্বনে এবং এতে তিনটি অঙ্ক রয়েছে।
-
‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ ঐতিহাসিক নাটক নয়, বরং ইতিহাস-আশ্রিত নাটক হিসেবে পরিচিত।
-
নাটকের জনপ্রিয় উক্তি:
“মানুষ মরে গেলে পচে যায়। বেঁচে থাকলে বদলায়।”
-
উক্তিটি বলেছেন নবাব সুজাউদ্দৌলা।
-
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: ইব্রাহিম কার্দি, জোহরা, হিরণবালা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
"লাফ > ফাল" কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
Created: 3 weeks ago
A
ব্যঞ্জন বিকৃতি
B
ধ্বনি বিপর্যয়
C
অন্তর্হতি
D
অভিশ্রুতি
ধ্বনি বিপর্যয়
সংজ্ঞা:
কোনো শব্দের ভেতরে দুটি ব্যঞ্জনের স্থান-বদল ঘটলে তাকে ধ্বনি বিপর্যয় বলা হয়। অর্থাৎ শব্দে ধ্বনির ক্রমে পরিবর্তন হয়ে যায়।
উদাহরণসমূহ
-
পিশাচ → পিচাশ
-
লাফ → ফাল
-
বাক্স → বাস্ক
-
রিক্সা → রিস্কা
অর্থাৎ, ধ্বনি বিপর্যয়ে শব্দের ধ্বনি বিন্যাসে বর্ণগুলোর স্থান অদল-বদল হয়।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 3 weeks ago
”সংশপ্তক” উপন্যাসের উপজীব্য বিষয় কী?
Created: 3 weeks ago
A
নদীয়ার চাঁদ সড়কের জীবন
B
পল্লী বাংলার বাস্তব জীবন
C
গ্রামীণ চাষীদের জীবন
D
নগর ও গ্রামীণ জীবন
সংশপ্তক উপন্যাস
-
রচয়িতা: শহীদুল্লাহ কায়সার
-
সংশপ্তক শব্দটি মহাভারত থেকে গৃহীত, যার অর্থ— জীবনমরণ পণ করে যুদ্ধ করা সৈনিকরা।
-
এ উপন্যাসে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের পূর্বকাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবর্তন ও রূপান্তর চিত্রিত হয়েছে।
-
হিন্দু-মুসলিম সম্মিলিত জীবনযাপন ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা এ উপন্যাসের মূল প্রতিপাদ্য।
-
ঢাকা ও কলকাতার নাগরিক পরিবেশ এবং বাকুলিয়া ও তালতলি গ্রামের গ্রামীণ পরিবেশ মিলিয়ে সমগ্র বাংলাদেশের জীবনযাত্রা প্রতিফলিত হয়েছে।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: রাবেয়া খাতুন (রাবু), জাহেদ, সেকেন্দার, মালু, হুরমতি, লেকু, রমজান, রামদয়াল প্রমুখ।
শহীদুল্লাহ কায়সার
-
জন্ম: ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯২৭, ফেনী।
-
পূর্ণ নাম: আবু নঈম মহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
-
জহির রায়হান তাঁর সহোদর ভাই।
-
সাংবাদিকতা শুরু করেন সাপ্তাহিক ইত্তেফাক-এ যোগদানের মাধ্যমে।
-
১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের প্রাক্কালে ঢাকার বাসভবন থেকে অপহৃত হন এবং আর ফিরে আসেননি।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস
-
সারেং বৌ
-
সংশপ্তক
-
কৃষ্ণচূড়া মেঘ
-
তিমির বলয়
-
দিগন্তে ফুলের আগুন
-
সমুদ্র ও তৃষ্ণা
-
চন্দ্রভানের কন্যা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 weeks ago