মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র আদিবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউ কে চিং মারমাকে কোন খেতাব দেওয়া হয়েছিল?
A
বীর উত্তম
B
বীর প্রতীক
C
বীরশ্রেষ্ঠ
D
বীর বিক্রম
উত্তরের বিবরণ
ইউ কে চিং মারমা একজন খ্যাতিমান আদিবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা।
-
জন্ম: ১৯৩৭ সালে বান্দরবানে।
-
সেনা জীবন: ১৯৫২ সাল থেকে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসে কর্মরত।
-
মুক্তিযুদ্ধের অবদান: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ইপিআরের নায়েক হিসেবে রংপুর জেলার হাতিবান্ধা বিওপিতে কর্মরত।
-
যুদ্ধদক্ষতা: মেজর বাশারের নেতৃত্বে রংপুর, লালমনিরহাট, পাখিউড়া, কাউয়াহাট এবং বাগভাণ্ডারসহ বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ করেছেন।
-
সম্মাননা: মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য সাহসিকতার জন্য ‘বীর বিক্রম’ খেতাব অর্জন করেছেন; একমাত্র আদিবাসী যিনি এই খেতাব পেয়েছেন।
-
মৃত্যু: ২০১৪ সালের ২৫ জুলাই।

0
Updated: 1 day ago
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব কোনটি?
Created: 1 month ago
A
বীরশ্রেষ্ঠ
B
বীরউত্তম
C
বীরবিক্রম
D
বীরপ্রতীক
-
বীরত্বসূচক খেতাব
-
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান ও বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু সরকার মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে চার ধরনের বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান করেন।
-
খেতাবসমূহের শ্রেণীবিন্যাস:
-
বীরশ্রেষ্ঠ – সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব, ৭ জনকে প্রদান।
-
বীরউত্তম – দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব, ৬৮ জনকে প্রদান।
-
বীরবিক্রম – তৃতীয় সর্বোচ্চ খেতাব, ১৭৫ জনকে প্রদান।
-
বীরপ্রতীক – চতুর্থ সর্বোচ্চ খেতাব, ৪২৬ জনকে প্রদান।
-
-
সূত্র: বাংলাপিডিয়া ও প্রথম আলো পত্রিকা

0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তারামন বিবি কোন খেতাবপ্রাপ্ত হন?
Created: 1 day ago
A
বীর বিক্রম
B
বীর প্রতীক
C
বীর উত্তম
D
বীরশ্রেষ্ঠ
তারামন বিবি ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত দুইজন নারী মুক্তিযোদ্ধার একজন। তার অসীম সাহসিকতা ও ত্যাগ মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তার আসল নাম ছিল তারাবানু এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর।
-
তিনি ১১ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন, যার সেক্টর কমান্ডার ছিলেন আবু তাহের (বীর উত্তম)।
-
মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে তাকে উৎসাহ দেন মুহিব হাবিলদার।
-
শুরুতে তাকে ক্যাম্পে রান্নার কাজ করতে দেওয়া হলেও তার সাহসিকতা দেখে তাকে অস্ত্র চালনা শেখানো হয়।
-
তিনি রাইফেল ও স্টেনগান চালানো শিখেছিলেন।
-
কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন এলাকায় তিনি সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
-
১৯৭৩ সালে তাকে ‘বীর প্রতীক’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
-
তিনি ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

0
Updated: 1 day ago
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর কতজন মুক্তিযোদ্ধাকে খেতাব প্রদান করা হয়?
Created: 1 month ago
A
৫৭৬ জন
B
৪৭৬ জন
C
৬৭৬ জন
D
৭৭৬ জন
-
বীরত্বসূচক খেতাব
-
বীরত্বসূচক খেতাব বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য সাহসিকতা প্রদর্শন এবং আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের প্রদত্ত খেতাব।
-
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি দেওয়া এবং তাদের মধ্যে আত্মত্যাগের প্রেরণা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে বীরত্বসূচক খেতাব প্রদানের প্রস্তাব মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম.এ.জি. ওসমানী মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদে মে মাসের প্রথম দিকে উপস্থাপন করেন।
-
১৬ মে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়।
-
প্রস্তাবে চার পর্যায়ের খেতাব প্রদানের বিধান ছিল:
১. সর্বোচ্চ পদ
২. উচ্চ পদ
৩. প্রশংসনীয় পদ
৪. বীরত্বসূচক প্রশংসাপত্র
-
-
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রদত্ত খেতাবসমূহ
-
বীরশ্রেষ্ঠ: ৭ জন
-
বীর উত্তম: ৬৮ জন
-
বীর বিক্রম: ১৭৫ জন
-
বীর প্রতীক: ৪২৬ জন
-
সূত্র: বাংলাপিডিয়া এবং প্রথম আলো রিপোর্ট

0
Updated: 1 month ago