মুক্তিযুদ্ধকালীন 'জেড' ফোর্সের অধিনায়ক কে ছিলেন?
A
মেজর কে. এম সফিউল্লাহ
B
মেজর আবু ওসমান চৌধুরী
C
মেজর খালেদ মোশাররফ
D
মেজর জিয়াউর রহমান
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধের ব্রিগেড ফোর্স এবং মুক্তিবাহিনী
-
মুক্তিযুদ্ধকালীন ‘জেড’ ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান।
ব্রিগেড ফোর্স:
-
১১টি সেক্টর ও তার অধীন অনেক সাব-সেক্টর ছাড়াও রণাঙ্গনকে তিনটি ব্রিগেড ফোর্সে ভাগ করা হয়।
-
মে ও জুন ১৯৭১ মাসে মুক্তিবাহিনীকে তিনটি ব্রিগেড ফোর্সে ভাগ করা হয়।
-
ফোর্সের নামকরণ করা হয় অধিনায়কদের নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে।
-
ব্রিগেড ফোর্সের নাম ও অধিনায়করা:
-
‘কে’ ফোর্স: মেজর খালেদ মোশাররফ
-
‘এস’ ফোর্স: মেজর কে. এম সফিউল্লাহ
-
‘জেড’ ফোর্স: মেজর জিয়াউর রহমান
-
মুক্তিবাহিনী:
-
গঠন: ১৯৭১ সালের ১১ জুলাই, সামরিক ও বেসামরিক জনগণকে একত্রিত করে।
-
বিভাগ: নিয়মিত বাহিনী এবং অনিয়মিত বাহিনী; অনিয়মিত বাহিনীকে গণবাহিনী বলা হতো।
-
গণবাহিনী: ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক ও রাজনৈতিক কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সেক্টরে নিয়োগ করা হতো। বাংলাদেশ অভ্যন্তরে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করত।
-
নিয়মিত বাহিনী: ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের সৈন্যরা, যারা প্রথাগত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করত।
-
প্রধান সেনাপতি: ১৪ এপ্রিল, কর্নেল এম. এ. জি. ওসমানী নিযুক্ত হন।
-
হেড কোয়ার্টার: কলকাতার ৮ নম্বর থিয়েটার রোডে স্থাপিত হয়।

0
Updated: 1 day ago
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন ‘চরমপত্র’ অনুষ্ঠানটি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে উপস্থাপন করতেন কে?
Created: 1 month ago
A
এম আর আখতার মুকুল
B
আবদুল হান্নান
C
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী
D
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
এম. আর. আখতার মুকুল:
-
এম. আর. আখতার মুকুল ছিলেন সাংবাদিক, লেখক, সম্পাদক এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত সাড়া জাগানো অনুষ্ঠান ‘চরমপত্র’-এর কথক।
-
১৯৮৭ সালে দেশে ফিরে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র সম্পাদনার দ্বিতীয় পর্যায়ে কিছুদিন কাজ করেন।
-
পরে ঢাকায় তিনি সাগর পাবলিশার্স নামে একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
-
প্রকাশনা ও উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
-
পল্লী এক্সপ্রেস (অনুবাদ, ১৯৬০)
-
রূপালী বাতাস সোনালী আকাশ (১৯৭৩)
-
রূপালী বাতাস (১৯৭২)
-
পঞ্চাশ দশকে আমরা ও ভাষা আন্দোলন (১৯৮৫)
সূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী যৌথ কমান্ড গঠন করে—
Created: 1 month ago
A
১ ডিসেম্বর, ১৯৭১
B
২১ নভেম্বর, ১৯৭১
C
৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১
D
২৬ মার্চ, ১৯৭১
যৌথ কমান্ড গঠন (২১ নভেম্বর ১৯৭১)
-
ঘটনা: মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী মিলে যৌথ কমান্ড গঠন করে ১৯৭১ সালের ২১শে নভেম্বর
-
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
-
বিশ্ব ইতিহাসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
-
বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের প্রথম দেশ, যে দেশ সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে
-
মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই ভারত নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে
-
যৌথ কমান্ড গঠন ২১শে নভেম্বর বিশেষ গুরুত্ব বহন করে
-
-
যুদ্ধের প্রেক্ষাপট:
-
পাকিস্তান ৩রা ডিসেম্বর ভারত আক্রমণ করলে যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়
-
৬–১৬ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে ভারতের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করে
-
সূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ৯ম–১০ম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
৪ টি
B
৭ টি
C
১১ টি
D
১৪ টি
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরভিত্তিক বিভাজন
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পুরো দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল। এই সেক্টরগুলোর অধীনে ছিল মোট ৬৪টি সাব-সেক্টর।
প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে একজন করে সেক্টর কমান্ডার (অধিনায়ক) এবং প্রতিটি সাব-সেক্টরের জন্য একজন করে কমান্ডার নিযুক্ত ছিলেন।
সেক্টর অনুযায়ী সাব-সেক্টরের সংখ্যা ছিল এমন:
-
সেক্টর ১ – ৫টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ২ – ৬টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৩ – ১০টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৪ – ৬টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৫ – ৬টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৬ – ৫টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৭ – ৮টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৮ – ৭টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৯ – ৩টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ১০ – কোনো সাব-সেক্টর ছিল না এবং এই সেক্টরে নিয়মিত কোনো সেক্টর কমান্ডারও ছিল না। এটি ছিল প্রধান সেনাপতির অধীনস্থ একটি বিশেষ বাহিনী।
-
সেক্টর ১১ – ৮টি সাব-সেক্টর
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago