চাকমা সমাজে পাড়ার প্রধানকে কী বলা হয়?
A
আদাম
B
কার্বারি
C
মৌজা
D
হেডম্যান
উত্তরের বিবরণ
চাকমা হলো বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের প্রধান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী।
-
অবস্থান: রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলে বসবাস করে।
-
নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য: মঙ্গোলীয় নৃগোষ্ঠীর অন্তর্গত; মুখমণ্ডল গোলাকার, নাক চ্যাপ্টা, চুল সোজা ও কালো, গায়ের রং ঈষৎ হলদেটে।
-
বিভিন্ন দেশে উপস্থিতি: ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরাম ও অরুণাচলে বসবাস করে।
সামাজিক জীবন:
-
পরিবারের ওপর সমাজের মূল ভিত্তি।
-
কয়েকটি পরিবার মিলিত হয় ‘আদাম’ বা পাড়া গঠন করতে; পাড়ার প্রধানকে বলা হয় কার্বারি।
-
কয়েকটি পাড়া মিলে গঠিত হয় মৌজা; মৌজার প্রধানকে বলা হয় হেডম্যান।
-
কার্বারি ও হেডম্যান মিলিত হয়ে যথাক্রমে পাড়া ও মৌজার শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষা করে।
-
কয়েকটি মৌজা মিলে চাকমা সার্কেল গঠিত হয়; সার্কেলের প্রধান হলেন চাকমা রাজা।
-
রাজা পদটি বংশানুক্রমিক।
-
চাকমা সমাজ পিতৃতান্ত্রিক, যেখানে পরিবারের প্রধান পিতা।
0
Updated: 1 month ago
চাকমা জনগোষ্ঠীর লোকসংখ্যা সর্বাধিক-
Created: 2 months ago
A
রাঙ্গামাটি জেলায়
B
খাগড়াছড়ি জেলায়
C
বান্দরবান জেলায়
D
সিলেট জেলায়
চাকমা জনগোষ্ঠী
-
চাকমা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
-
তারা নিজেদের পরিচয় দেয় চাঙমা নামে।
-
মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে তাদের বসতি।
-
চাকমাদের ৯০% এর বেশি রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় বাস করে।
-
বাংলাদেশের বাইরে ভারতের অরুণাচল, মিজোরাম ও ত্রিপুরা রাজ্যেও কিছু চাকমা জনগোষ্ঠী বসবাস করে।
-
ইতিহাস অনুসারে, চাকমারা মধ্য মায়ানমার ও আরাকান অঞ্চলের অধিবাসী ছিলেন।
-
তাদের প্রধান বর্ষবরণ উৎসব হলো বিজু।
-
চাকমা ভাষার নিজস্ব লিপি রয়েছে, তবে বর্তমানে তা খুব বেশি ব্যবহৃত হয় না।
-
এখন চাকমা ভাষা সাধারণত বাংলা লিপিতে লেখা হয়।
জনসংখ্যা সংক্রান্ত তথ্য
-
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী, দেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মোট জনসংখ্যা ১৬ লাখ ৫০ হাজার ১৫৯ জন।
-
এর মধ্যে শুধু চট্টগ্রাম বিভাগেই বসবাস করছে প্রায় ৯ লাখ ৯০ হাজার ৮৬০ জন।
-
জেলার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষ থাকে রাঙ্গামাটিতে – মোট ৩ লাখ ৭২ হাজার ৮৬৪ জন।
এদের মধ্যে চাকমা জনগোষ্ঠী সংখ্যায় সবার শীর্ষে। -
এরপরের অবস্থানে আছে খাগড়াছড়ি জেলা, যেখানে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭৮ জন।
উৎস ঃ বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি?
Created: 1 month ago
A
ত্রিপুরা
B
মারমা
C
চাকমা
D
গারো
-
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি বাস করে চট্টগ্রাম বিভাগে (এ জনগোষ্ঠীর ৬০.০৪%)।
-
উপজাতির সংখ্যা সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে (০.২৫%)।
-
বাংলাদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে চাকমা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
জনসংখ্যার পরিসংখ্যান:
-
চাকমা → ৪,৮৩,৩৬৫
-
মারমা → ২,২৪,২৯৯
-
ত্রিপুরা → ১,৫৬,৬২০
-
সাঁওতাল → ১,২৯,০৫৬
-
ওরাওঁ → ৮৫,৮৫৮
-
গারো → ৭৬,৮৫৪
তথ্যসূত্র: পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েবসাইট
0
Updated: 1 month ago
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুসারে, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ত্রিপুরা
B
মারমা
C
চাকমা
D
গারো
বাংলাদেশে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা ও তাদের ভৌগোলিক বিস্তার দেশের নৃ-সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে এদের ঘনত্ব বেশি এবং বিভিন্ন জনগোষ্ঠী ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ধারা বজায় রাখে।
-
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী, বাংলাদেশে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা ৫০টি।
-
পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
-
পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৩টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী বসবাস করে।
-
সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হলো চাকমা, দ্বিতীয় অবস্থানে মারমা, এবং তৃতীয় অবস্থানে ত্রিপুরা।
-
সবচেয়ে বেশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রাঙামাটিতে বসবাস করে; জেলার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে খাগড়াছড়ি।
0
Updated: 1 month ago