A
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
B
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
C
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
D
মুহম্মদ এনামুল হক
উত্তরের বিবরণ
ভাষাবিজ্ঞানী ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর গ্রন্থসমূহ
বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষাবিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিত ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। তাঁর লেখনী বাংলা ভাষার গঠন ও বিকাশ বিশ্লেষণে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে।
১৯৩৬ সালে তিনি কলকাতার রয়েল এশিয়াটিক সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন, যা তাঁর গবেষণা ও ভাষাতত্ত্বে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ।
তাঁর বিখ্যাত রচনার মধ্যে অন্যতম হলো Origin and Development of the Bengali Language (ODBL), যা ১৯২৬ সালে প্রকাশিত হয় এবং বাংলা ভাষার উৎস ও বিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী একটি গবেষণা।
এছাড়াও তিনি রচনা করেছেন:
-
ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ,
-
পশ্চিমের যাত্রী,
-
বাংলা ভাষাতত্ত্বের ভূমিকা,
-
ভারতের ভাষা ও ভাষা সমস্যা।
এই তথ্যসমূহ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সংক্রান্ত গ্রন্থ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর) এবং বাংলাপিডিয়া থেকে সংগৃহীত।

0
Updated: 2 weeks ago
'ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ' এর প্রধান লেখক ছিলেন-
Created: 2 months ago
A
কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হুসেন প্রমুখ
B
মোহাম্মদ আকরাম খাঁ, মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখ
C
মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, আবুল কালাম শামসুদ্দীন প্রমুখ
D
কাজী ইমদাদুল হক, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী প্রমুখ
মুসলিম সাহিত্য-সমাজ
মুসলিম সাহিত্য-সমাজ ছিল একটি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, যা গঠিত হয়েছিল ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রগতিশীল ও যুক্তিবাদী শিক্ষক ও ছাত্রদের উদ্যোগে।
১৯২৬ সালের ১৯ জানুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হল ইউনিয়নের কক্ষে বাংলা ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
সংগঠন পরিচালনার দায়িত্ব লাভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক আবুল হুসেন, মুসলিম হলের ছাত্র এ.এফ.এম. আবদুল হক এবং ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের ছাত্র আবদুল কাদির। এঁরাই প্রথম কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।
নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক কাজী আবদুল ওদুদ এবং যুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক কাজী আনোয়ারুল কাদীর।
প্রকাশনা ও সাহিত্যচর্চা
মুসলিম সাহিত্য-সমাজের বার্ষিক মুখপত্র শিখা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৩৩ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসে। মোট পাঁচটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল।
-
প্রথম সংখ্যা সম্পাদনা করেন আবুল হুসেন,
-
দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংখ্যা কাজী মোতাহার হোসেন,
-
চতুর্থ সংখ্যা মোহাম্মদ আবদুর রশিদ এবং
-
পঞ্চম সংখ্যা সম্পাদনা করেন আবুল ফজল।
শিখা পত্রিকার মুখবাণী ছিল —
"জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।"
প্রধান লেখকবৃন্দ:
মুসলিম সাহিত্য-সমাজের উল্লেখযোগ্য লেখকরা হলেন —
-
আবুল হুসেন
-
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
-
কাজী আবদুল ওদুদ
-
আবদুল কাদির
-
আবুল ফজল
-
আনোয়ারুল কাদির প্রমুখ।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
'কেউ মালা, কেউ তসবি গলায়, তাইতো জাত ভিন্ন বলায়' এই পংক্তিটি নিচের একজনের লেখা-
Created: 1 month ago
A
লালন শাহ
B
সিরাজ সাঁই
C
মদন বাউল
D
পাগলা কানাই
‘কেউ মালা, কেউ তসবি গলায়, তাইতো জাত ভিন্ন বলায়’ — এই প্রসিদ্ধ গানটির রচয়িতা ছিলেন বাউল সম্রাট খ্যাত লালন শাহ্।
লালন শাহ্ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
লালন শাহ্ (১৭৭২-১৮৯০) বাউল সাধনার অন্যতম প্রধান গুরু এবং বাউল সঙ্গীতের শ্রেষ্ঠ রচয়িতা ও গায়ক হিসেবে পরিচিত।
-
তিনি ১১৭৯ বঙ্গাব্দের ১লা কার্তিকে (১৭৭২ খ্রিস্টাব্দ) ঝিনাইদহ জেলার হরিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
মতান্তরে, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর ভাঁড়রা গ্রামে এক কায়স্থ পরিবারে তাঁর জন্মসূত্র।
-
লালন শাহ্ জাতিভেদের ধার্মিক ও সামাজিক বিভাজনকে কখনো মানতেন না। তিনি একথা স্পষ্ট করেছিলেন তাঁর গানে:
‘সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে,
লালন কয় জাতির কি রূপ দেখলাম না এ নজরে।’
অর্থাৎ, মানবজাতির মধ্যে জাতপাতের কোনো প্রকৃত বৈষম্য নেই।
লালন শাহ্ এর জনপ্রিয় অন্যান্য গানসমূহ:
-
‘বাড়ির কাছে আরশী নগর’
-
‘আমার ঘরখানায় কে বিরাজ করে’
-
‘মিলন হবে কত দিনে’
-
‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়’
-
‘তিন পাগলের মেলা’
-
‘সময় গেলে সাধন হবে না’
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'বত্রিশ সিংহাসন' কার রচনা?
Created: 1 week ago
A
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
B
রামরাম বসু
C
বিদ্যাসাগর
D
রাজীব লোচন মুখোপাধ্যায়
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের রচনা - বত্রিশ সিংহাসন।
• বত্রিশ সিংহাসন:
- ‘বত্রিশ সিংহাসন' (১৮০২) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার অনূদিত কাহিনি সংকলন।
- বাংলা গদ্যের আদিপর্বের ইতিহাসে এই রচনাটি উল্লেখযোগ্য ।
-------------------------------
• মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার:
- তিনি ছিলেন সংস্কৃত পণ্ডিত, ভাষাবিদ, লেখক।
- উইলিয়াম কেরীর সুপারিশে তিনি ১৮০১ সালের ৪ মে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ এর বাংলা বিভাগের হেড-পণ্ডিত নিযুক্ত হন।
- তিনি উনিশ শতকের প্রথম ভালো বাংলা গদ্য লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
- এছাড়াও তিনি কাজ করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির জজ-পণ্ডিত হিসেবে।
• তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ:
- বত্রিশ সিংহাসন,
- হিতোপদেশ,
- রাজাবলি,
- প্রবোধচন্দ্রিকা,
- বেদান্তচন্দ্রিকা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago