কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে 'একুশে পদক' লাভ করেন?
A
১৯৭২ সালে
B
১৯৭৩ সালে
C
১৯৭৪ সালে
D
১৯৭৬ সালে
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যে বিপ্লবী চেতনা ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতীক। তিনি ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
কাজী নজরুল ইসলামের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হলো:
-
তিনি মোট ১৩ বার ঢাকায় আসেন।
-
প্রথমবার ঢাকায় আসেন ১৯২৬ সালে, এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ বার উপস্থিত হন।
-
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবি এবং তার পরিবারকে ভারত থেকে ঢাকায় আনা হয়।
-
১৯৭৪ সালের ৯ মে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে তাকে ‘ডি. লিট’ উপাধি প্রদান করে।
-
১৯৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়, এবং ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি একুশে পদক লাভ করেন।
-
তিনি ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট (১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) ঢাকার পিজি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
-
কবিকে সমাহিত করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে।
উৎস:

0
Updated: 1 day ago
চর্যাপদ কোথায় থেকে প্রকাশিত হয়?
Created: 1 month ago
A
সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়
B
শ্রীরামপুর মিশন
C
বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ
D
বাংলা একডেমি
• চর্যাপদ:
- চর্যাপদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আদি নিদর্শন।
- ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে এর পুথি আবিষ্কার করেন।
- তাঁরই সম্পাদনায় ৪৭টি পদবিশিষ্ট পুথিখানি হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা (১৯১৬) নামে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক প্রকাশিত হয়।
- তিনি পুথির সূচনায় একটি সংস্কৃত শ্লোক থেকে নামের যে ইঙ্গিত পান তাতে এটি চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয় নামেও পরিচিত হয়।
- তবে সংক্ষেপে এটি ‘বৌদ্ধগান ও দোহা’ বা ‘চর্যাপদ’ নামেই অভিহিত হয়ে থাকে।
- চর্যাপদ শুধু প্রাচীন বাংলা সাহিত্যেরই নিদর্শন নয়, প্রাচীন বাংলা গানেরও নিদর্শন।
- চর্যাপদের কবিরা হলেন সরহপা, শবরপা, লুইপা, ডোম্বীপা, ভুসুকুপা, কাহ্নপা, কুক্কুরীপা, মীনপা, আর্যদেব, ঢেণ্ঢনপা প্রমুখ।

0
Updated: 1 month ago
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কোন সাহিত্যকর্মটি বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত?
Created: 3 days ago
A
রমজানের ঐ রোজার শেষে (গান)
B
বিদ্রোহী (কবিতা)
C
চল্ চল্ চল্ (কবিতা/গান)
D
কারার ঐ লৌহ-কপাট (গান)
বাংলাদেশের রণসঙ্গীত ও কাজী নজরুল ইসলাম
-
রণসঙ্গীত: বাংলাদেশের রণসঙ্গীতের রচয়িতা হলেন কাজী নজরুল ইসলাম।
-
চল্ চল্ চল্: তাঁর কবিতা ‘চল্ চল্ চল্’-এর ২১ লাইন বাংলাদেশের রণসঙ্গীত হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত।
-
গৃহীত তারিখ: ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারি, বাংলাদেশের মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠকে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে রণসঙ্গীত হিসেবে নির্বাচিত হয়।
-
প্রকাশ: মূলত এটি ‘নতুনের গান’ শিরোনামে ঢাকার ‘শিখা’ পত্রিকা-তে ১৯২৮ (১৩৩৫ বঙ্গাব্দ) সালে প্রকাশিত হয়। পরে নামকরণ হয় ‘চল্ চল্ চল্’।
-
অন্তর্ভুক্তি: নজরুলের ‘সন্ধ্যা’ কাব্যগ্রন্থেও এই সঙ্গীত অন্তর্ভুক্ত।
-
সঙ্গীতের তাল ও ছন্দ: দাদরা তাল অনুসৃত।
-
প্রথম কয়েকটি লাইন:
"চল্ চল্ চল্!
ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল
নিম্নে উতলা ধরণী-তল,
অরুণ প্রাতের তরুণ দল- ..."
এই রণসঙ্গীত জাতীয় চেতনার প্রতীক হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের সাহিত্যে ও সঙ্গীতে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

0
Updated: 3 days ago
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত 'বাঁধন-হারা' পত্রোপন্যাসে মোট কয়টি পত্র রয়েছে?
Created: 4 months ago
A
১২ টি
B
১৪টি
C
১৭টি
D
১৮টি
বাঁধন-হারা
-
‘বাঁধন-হারা’ (১৯২৭) হল কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস, যেখানে মোট ১৮টি পত্র অন্তর্ভুক্ত।
-
কাজী নজরুল ইসলাম করাচিতে অবস্থানকালে উপন্যাসটি লেখা শুরু করেন।
-
উপন্যাসটি মুসলিম ভারত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
-
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হল নুরুল হুদা। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলো হলো মাহবুবা, রবিউল, রাবেয়া এবং সোফিয়া।
কাজী নজরুল ইসলাম
-
তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির একজন শ্রেষ্ঠ পুরুষ।
-
জন্ম: ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯ খ্রি:) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে।
-
বাংলা সাহিত্যে তিনি পরিচিত ‘বিদ্রোহী কবি’ নামে এবং আধুনিক বাংলা গানের জগতে খ্যাত ‘বুলবুল’ হিসেবে।
-
ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে ১৯৭২ সালের ২৪ মে তাঁকে সপরিবারে স্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়।
-
১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে তাঁকে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব দেওয়া হয় এবং ২১ ফেব্রুয়ারি ‘একুশে পদক’ প্রদান করা হয়।
-
মৃত্যু: ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ (১২ ভাদ্র ১৩৮৩) ঢাকার পিজি হাসপাতালে।
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত উপন্যাসসমূহ
-
বাঁধন-হারা
-
মৃত্যুক্ষুধা
-
কুহেলিকা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 4 months ago