রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত গীতাঞ্জলি কাব্য কত সালে প্রথম প্রকাশিত হয়?
A
১৯১০ সালে
B
১৯১১ সালে
C
১৯১২ সালে
D
১৯১৩ সালে
উত্তরের বিবরণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘গীতাঞ্জলি’ তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ। এটি মূলত ১৫৭টি গানের সংকলন, যেগুলো আসলে কবিতা হিসেবেই রচিত হয়েছিল। গানগুলো লেখা হয়েছিল ১৯০৮ ও ১৯০৯ সালে, আর কাব্যগ্রন্থ আকারে প্রকাশিত হয় ১৯১০ সালে।
‘গীতাঞ্জলি’-এর ইংরেজি অনুবাদ হলো Song Offerings, যা প্রকাশিত হয় ১৯১২ সালে। এর ভূমিকা লেখেন খ্যাতনামা ইংরেজ কবি W.B. Yeats। এই অনুবাদগ্রন্থের মাধ্যমেই রবীন্দ্রনাথ বিশ্বসাহিত্যে অমরত্ব লাভ করেন। Song Offerings-এর জন্যই তিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, যা তাঁকে এশিয়ার প্রথম নোবেল বিজয়ী করে তোলে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো:
-
মানসী
-
সোনার তরী
-
চিত্রা
-
কল্পনা
-
ক্ষণিকা
-
গীতাঞ্জলি
-
বলাকা
-
পূরবী
-
পুনশ্চ
-
পত্রপূট
-
সেঁজুতি
-
শেষলেখা
-
কবি-কাহিনী ইত্যাদি
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ভ্রমণকাহিনি নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
জাভা যাত্রীর পত্র
B
পারস্য যাত্রী
C
রাশিয়ার চিঠি
D
ইউরোপের চিঠি
‘ইউরোপের চিঠি’ একটি ভ্রমণকাহিনি নয়, বরং এর রচয়িতা অন্নদাশঙ্কর রায়। এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪২ সালে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভ্রমণ ও ভ্রমণকাহিনি:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভ্রমণকথার বইতে সমৃদ্ধ। তাঁর ভ্রমণকাহিনির সংখ্যা আটটি, যা বিশ্বপরিভ্রমণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে:
-
‘ইউরোপ প্রবাসীর পত্র’
-
‘ইউরোপ যাত্রীর ডায়েরী’
-
‘পথের সঞ্চয়’
-
‘জাপান যাত্রী’
-
‘পশ্চিম যাত্রীর ডায়েরী’
-
‘জাভা যাত্রীর পত্র’
-
‘রাশিয়ার চিঠি’
-
‘পারস্য যাত্রী’
0
Updated: 1 month ago
পদাবলী লিখেছেন-
Created: 3 months ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
মাইকেল মধুসূদন
C
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
D
কায়কোবাদ
ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী
‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত একটি অনন্য কাব্যগ্রন্থ, যা বৈষ্ণব পদাবলির ধারা অনুসরণ করে এবং ব্রজবুলি ভাষায় রচিত।
এই কাব্যের প্রথম প্রকাশ ঘটে বাংলা সন ১২৯১ সালের আষাঢ় মাসে। প্রকাশের সময় কবির ছদ্মনাম হিসেবে ব্যবহার করা হয় ‘ভানুসিংহ ঠাকুর’, আর প্রকৃত কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেই হন এই গ্রন্থের প্রকাশক।
প্রকাশনার সময় পাঠকদের উদ্দেশ্যে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “ভানুসিংহের পদাবলী শৈশবের গীতিসঙ্গীতের পরিপূরক স্বরূপ প্রকাশিত হইল। ইহার অধিকাংশ পদ পুরাতন পাণ্ডুলিপি থেকে উদ্ধার করিয়া সংগৃহীত।”
এই কাব্যগ্রন্থে বর্তমানে মোট ২০টি পদ সংকলিত আছে। এর মধ্যে দুটি বিখ্যাত কবিতা হলো— মরণ ও প্রশ্ন।
মরণ কবিতার একটি চিরস্মরণীয় পঙ্ক্তি:
"মরণ রে, তুই মম শ্যামসমান।"
উৎস: ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী কাব্য।
0
Updated: 3 months ago
কোন পত্রিকার মাধ্যমে রবীন্দ্রযুগের সূত্রপাত হয়?
Created: 1 month ago
A
বঙ্গদর্শন
B
কল্লোল
C
ভারতী
D
বঙ্গদূত
দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত ও সম্পাদিত ‘ভারতী’ পত্রিকা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই পত্রিকার মাধ্যমে ১৮৭৭ সালে রবীন্দ্রযুগের সূচনা ঘটে। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়ে স্বর্ণকুমারী দেবী, হিরন্ময়ী দেবী, সরলা দেবী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় ও মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায় এই পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। ‘ভারতী’ পত্রিকাকে কেন্দ্র করে ‘ভারতী গোষ্ঠী’ নামে এক সাহিত্যিক চক্রের সৃষ্টি হয়, যেখানে তৎকালীন বহু প্রতিভাবান কবি ও সাহিত্যিক যুক্ত ছিলেন।
এই সাহিত্যচক্রের অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন —
-
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
-
চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
-
হেমেন্দ্রকুমার রায়
-
প্রেমাঙ্কুর আতর্থী
-
সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
-
এই পর্যায়ের লেখকগণ চিন্তাভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে খুব বেশি মৌলিক না হলেও, তাঁরা সকলেই রবীন্দ্রনাথের প্রভাবের অধীন থেকে সাহিত্যচর্চা করেছেন এবং তাঁর ছায়াতেই বিকশিত হয়েছেন।
-
‘ভারতী’ পত্রিকা দীর্ঘদিন বাঙালি পাঠকের সাহিত্যরুচি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
-
জীবেন্দ্র সিংহ রায় এ সম্পর্কে বলেন, “ভারতী নিঃসন্দেহে উঁচু জাতের পত্রিকা; দীর্ঘদিন তা বাঙালি পাঠকের সেবা করেছে, বহু নবীন লেখক সৃষ্টি করেছে, অপরিমিত সাহিত্যসম্ভার পরিবেশন করে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে; ফলে বাংলা সাময়িক পত্রের ইতিহাসে ভারতী বিশিষ্ট স্থানের অধিকারী।”
-
এই পত্রিকা ছিল বাংলা সাহিত্যে নবপ্রজন্মের লেখকদের বিকাশের অন্যতম ক্ষেত্র।
-
‘ভারতী’-র প্রকাশের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য নতুন ধারায় প্রবেশ করে, যা পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর সমসাময়িক সাহিত্যচর্চার যুগে পরিণত হয়।
0
Updated: 1 month ago