মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সরকারিভাবে মুক্তিযোদ্ধাগন কী নামে পরিচিত ছিল?
A
মুক্তিবাহিনী
B
নিয়মিত বাহিনী
C
যৌথ বাহিনী
D
অনিয়মিত বাহিনী
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকার সমগ্র স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে পরিকল্পিতভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিল। মুক্তিবাহিনী গঠন করে দেশব্যাপী শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়।
-
মুক্তিবাহিনী ১৯৭১ সালের ১১ জুলাই গঠিত হয়, যা সামরিক ও বেসামরিক জনগণকে নিয়ে গঠিত ছিল।
-
মুক্তিবাহিনী দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল: নিয়মিত বাহিনী এবং অনিয়মিত বাহিনী।
-
অনিয়মিত বাহিনী:
-
গণবাহিনী বা গেরিলাবাহিনী নামে পরিচিত।
-
ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক ও রাজনৈতিক কর্মীদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণের পর বিভিন্ন সেক্টরে নিয়োগ করা হতো।
-
গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করার জন্য সদস্যদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাঠানো হতো।
-
সরকারিভাবে অনিয়মিত বাহিনীকে মুক্তিযোদ্ধা বলা হত।
-
-
নিয়মিত বাহিনী:
-
অন্তর্ভুক্ত ছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের সৈন্যরা।
-
সশস্ত্রবাহিনীর প্রথাগত যুদ্ধে নিয়োজিত ছিলেন।
-
সংগঠনিক নাম ছিল মুক্তিফৌজ।
-
-
-
যুদ্ধাঞ্চল:
-
প্রথমে ৪টি যুদ্ধাঞ্চল ভাগ করা হয়। পরে আরও ৩টি যোগ হওয়ায় মোট যুদ্ধাঞ্চল হয় ৭টি।
-
-
ত্রি-ব্রিগেড ফোর্স: S ফোর্স, K ফোর্স, Z ফোর্স নামে তিনটি ব্রিগেড গঠন করা হয়।
-
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সমগ্র বাংলাদেশ ১১টি সেক্টরে বিভক্ত ছিল, যেখানে মোট ১৬ জন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।
0
Updated: 1 month ago
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর কতজন সদস্য আত্মসমর্পণ করে?
Created: 2 months ago
A
৬৩ হাজার
B
৭৩ হাজার
C
৮৩ হাজার
D
৯৩ হাজার
পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ:
-
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মিত্রবাহিনীর কাছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করে।
-
এই আত্মসমর্পণের মাধ্যমে ২৬ মার্চ শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিসমাপ্তি ঘটে।
উল্লেখ্য:
-
মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।
-
১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পূর্বাঞ্চলের কমান্ডার জেনারেল এ কে নিয়াজিকে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ ও সশস্ত্র বাহিনীর জীবন রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
-
১৫ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল স্যাম মানেকশ পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সংবরণ করে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান।
-
আত্মসমর্পণ ব্যতীত বিকল্প পথ না থাকায় বিপর্যস্ত পাক-বাহিনী ১৫ ডিসেম্বর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণে সম্মত হয়।
-
সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ময়দানে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়।
-
১৬ ডিসেম্বর সকাল সোয়া ৯টার সময় মানেকশ ভারতের পূর্বাঞ্চল বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল জে এফ আর জেকবকে আত্মসমর্পণের দলিল ও আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করার জন্য ঢাকায় পাঠান।
-
ঐ দিন বিকাল ৪টা ১৯ মিনিটে পাকিস্তান ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান লে. জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী ৯৩,০০০ সৈন্য ও অস্ত্র-শস্ত্রসহ ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোর কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
-
নিয়াজী পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন।
-
যৌথ বাহিনীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা, জিওসি এবং পূর্বাঞ্চলীয় ভারতীয় বাহিনী ও বাংলাদেশ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক।
-
উল্লেখ্য, আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে নির্বাসিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি; ইতিহাস, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
Created: 2 months ago
A
নিউইয়র্ক
B
ওয়াশিংটন
C
টোকিও
D
দিল্লি
-
‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’
-
১ আগস্ট ১৯৭১ তারিখে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেন-এ অনুষ্ঠিত হয় ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ নামের একটি চ্যারিটি বা বেনিফিট কনসার্ট।
-
এটি মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে বিদেশি বন্ধুদের সহায়তা প্রদানের এক অসাধারণ উদ্যোগ হিসেবে পরিচিত।
-
ঐতিহাসিক এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেন, ম্যানহাটন, নিউইয়র্কে।
-
কনসার্টের অন্যতম দুই উদ্যোক্তা ছিলেন:
-
ইংল্যান্ডের সাড়া জাগানো ব্যান্ড দ্য বিটলস-খ্যাত পশ্চিমা সঙ্গীত শিল্পী জর্জ হ্যারিসন,
-
এবং ভারতীয় উপমহাদেশের কিংবদন্তি সেতারবাদক পণ্ডিত রবিশঙ্কর।
-
-
সূত্র: দৈনিক যুগান্তর, প্রথম আলো
0
Updated: 2 months ago
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর কতজন মুক্তিযোদ্ধাকে খেতাব প্রদান করা হয়?
Created: 2 months ago
A
৫৭৬ জন
B
৪৭৬ জন
C
৬৭৬ জন
D
৭৭৬ জন
-
বীরত্বসূচক খেতাব
-
বীরত্বসূচক খেতাব বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য সাহসিকতা প্রদর্শন এবং আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের প্রদত্ত খেতাব।
-
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি দেওয়া এবং তাদের মধ্যে আত্মত্যাগের প্রেরণা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে বীরত্বসূচক খেতাব প্রদানের প্রস্তাব মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম.এ.জি. ওসমানী মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদে মে মাসের প্রথম দিকে উপস্থাপন করেন।
-
১৬ মে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়।
-
প্রস্তাবে চার পর্যায়ের খেতাব প্রদানের বিধান ছিল:
১. সর্বোচ্চ পদ
২. উচ্চ পদ
৩. প্রশংসনীয় পদ
৪. বীরত্বসূচক প্রশংসাপত্র
-
-
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রদত্ত খেতাবসমূহ
-
বীরশ্রেষ্ঠ: ৭ জন
-
বীর উত্তম: ৬৮ জন
-
বীর বিক্রম: ১৭৫ জন
-
বীর প্রতীক: ৪২৬ জন
-
সূত্র: বাংলাপিডিয়া এবং প্রথম আলো রিপোর্ট
0
Updated: 2 months ago