ম্রো জনগোষ্ঠীর মধ্যে অধিকাংশ মানুষ কোন ধর্ম অনুসরণ করে?
A
বৌদ্ধ
B
ইসলাম
C
খ্রিস্টান
D
হিন্দু
উত্তরের বিবরণ
ম্রো জনগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রাচীনতম জাতিগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং বান্দরবান জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। তাদের ঐতিহ্য, সমাজগঠন ও ধর্মীয় বিশ্বাস স্থানীয় সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
-
ম্রো পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বপ্রাচীন জাতি এবং বান্দরবান জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতি।
-
তাদের আদি নিবাস মায়নামারের আরাকান রাজ্য।
-
আনুমানিক ১৪৩০ খ্রিঃ অর্থাৎ প্রায় ৫৯২ বছর আগে, ম্রোরা বান্দরবান জেলার লামা, আলীকদম, থানছি ও নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে।
-
ম্রোরা নিজেদেরকে ‘মারুচা’ বলে অভিহিত করে।
-
ম্রো সমাজ পিতৃতান্ত্রিক; পিতা পরিবারের প্রধান। তবে মেয়েরা সামাজিক জীবনে কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন।
-
ম্রোরা মূলত প্রকৃতি পূজারী, যদিও অধিকাংশই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।
-
সম্প্রতি ম্রোদের মধ্যে একটি নতুন ধর্ম ‘ক্রামা’ উদ্ভাবিত হয়েছে, এবং বর্তমানে ম্রোদের একটি অংশ ক্রামা ধর্মের অনুসারী।
0
Updated: 1 month ago
কোন আদিবাসী জনগোষ্ঠী 'বৈসাবি' উৎসব পালন করে?
Created: 1 month ago
A
চাকমা
B
মারমা
C
ত্রিপুরা
D
উপরোক্ত সবাই
বৈসাবি হলো বাংলাদেশের তিন আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব, যা পাহাড়ি অঞ্চলের প্রধান সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
-
এটি পাহাড়ে বর্ষ বিদায় ও বর্ষবরণ উপলক্ষে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রধানতম উৎসব।
-
ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা সম্প্রদায় এই উৎসব পালন করে।
-
নামের উৎপত্তি:
-
‘বৈ’ – ত্রিপুরাদের বৈসু
-
‘সা’ – মারমাদের সাংগ্রাই
-
‘বি’ – চাকমাদের বিজু
-
-
চৈত্র মাসের শেষ দুটি দিন এবং বৈশাখ মাসের প্রথম দিন এই তিন দিন উৎসব পালিত হয়।
-
প্রতিটি সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব বিশ্বাস ও সংস্কার অনুযায়ী প্রার্থনা করে যাতে নতুন বছর সুখ-শান্তিতে কেটে যায়।
0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোন জাতিগোষ্ঠী বাংলাদেশে বাস করে না?
Created: 1 month ago
A
মুন্ডা
B
পাংখো
C
কোচ
D
তুতসি
বুরুন্ডি:
-
প্রধান জাতিগোষ্ঠী: হুতু, তুতসি এবং তুওয়া
-
হুতু সংখ্যাগরিষ্ঠ, তুতসি সংখ্যালঘু এবং পিগমি।
-
রাজনৈতিক রাজধানী: গিতেগা
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী:
-
বাংলাদেশে প্রায় ৫০টি আদিবাসী বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বসবাস করে।
কোচ:
-
বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী।
-
বর্তমানে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী এবং শ্রীবর্দী উপজেলায় বসবাস।
-
প্রায়শই কোচ ও রাজবংশী একই জাতি মনে করা হয়।
মুন্ডা:
-
বাংলাদেশের আরেকটি উপজাতি।
-
ভাষা: মুন্ডারি, যা অস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্গত।
পাংখো:
-
বাংলাদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী পাংখো বা পাংখোয়া।
-
বসবাস: চট্টগ্রামের পার্বত্য জেলার রাঙ্গামাটি।
0
Updated: 1 month ago
বাঙালি জাতির প্রধান অংশ কোন জনগোষ্ঠী থেকে গড়ে উঠেছে?
Created: 1 month ago
A
নেগ্রিটো
B
দ্রাবিড়
C
অস্ট্রিক
D
আর্য
বাঙালি জাতি মূলত সংকর জাতি, যার গঠন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অবদান থাকলেও প্রধান অংশ গড়ে উঠেছে অস্ট্রিক জনগোষ্ঠী থেকে, যাদের অন্য নাম নিষাদ জাতি। এই জনগোষ্ঠী প্রায় ৫০০০ বছর আগে ইন্দোচীন থেকে বাংলায় এসে বসতি স্থাপন করে।
-
বাঙালি জাতিধারার নৃতাত্ত্বিক গঠনে বিভিন্ন জাতির অবদান থাকলেও অস্ট্রিক জাতির প্রভাব সর্বাধিক।
-
ইন্দোচীন থেকে আগত আদি অস্ট্রেলীয় নরগোষ্ঠীর অন্তর্গত অস্ট্রিক জাতি প্রাক আর্য যুগে বাংলায় বসতি স্থাপন করে।
-
বাঙালি জাতির প্রধান অংশ গড়ে উঠেছে এই অস্ট্রিক নরগোষ্ঠীর মাধ্যমে।
-
অস্ট্রিক নরগোষ্ঠীর সঙ্গে দ্রাবিড় ও আর্য জাতির সংমিশ্রণে বাঙালি জাতি গড়ে উঠেছে।
-
ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে বাঙালি রক্তপ্রবাহে ভোটচীনীয়, ককেশীয়, ইংরেজ, পর্তুগিজ প্রভৃতি জাতিসত্তার সংমিশ্রণ ঘটেছে।
-
বাংলার আদি জনগোষ্ঠী অস্ট্রিক ভাষাভাষী ছিল।
0
Updated: 1 month ago