পাকিস্তানের পক্ষে আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন কে?
A
লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজী
B
মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী
C
মেজর জেনারেল জ্যাকব
D
মেজর জেনারেল আবু ইউসুফ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এদিন পাকিস্তান বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে পরাজয় স্বীকার করে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত হয়।
-
লে. জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ খান নিয়াজী (১৯১৫-২০০৪) মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কম্যান্ডের অধিনায়ক ছিলেন।
-
তিনি ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর যৌথ কম্যান্ডের নিকট পরাজয় স্বীকার করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রমনা রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন।
-
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা ১ মিনিটে রমনা রেসকোর্সে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) যৌথ কম্যান্ডের পক্ষে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা এবং পাকিস্তান বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কম্যান্ডের পক্ষে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজী আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন।

0
Updated: 1 day ago
ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ কত নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন?
Created: 1 month ago
A
৪নং
B
৮নং
C
৭নং
D
২নং
মুক্তিযুদ্ধ সেক্টর:
- ল্যান্স নায়েকমুন্সী আব্দুর রব- ১নং সেক্টর।
- সিপাহি মোস্তফা কামাল- ২নং সেক্টর।
- স্কোয়াড্রন ইন্জিনিয়ার রুহুল আমিন- ১০নং সেক্টর।
- ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ- ৮নং সেক্টর।
- সিপাহি হামিদুর রহমান- ৪নং সেক্টর।
- ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গির- ৭নং সেক্টর।
- ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান- কোনো সেক্টরে ছিলেন না।

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন দুইজন বীরশ্রেষ্ঠ ই.পি.আর. সদস্য ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
সিপাহী মোস্তফা কামাল ও মতিউর রহমান
B
মুন্সি আব্দুর রউফ ও নূর মোহাম্মদ শেখ
C
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ও হামিদুর রহমান
D
রুহুল আমিন ও মোস্তফা কামাল
-
মুন্সি আব্দুর রউফ ও নূর মোহাম্মদ শেখ ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস (EPR)-এর সদস্য।
-
১৯৭৩ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার সাতজন মুক্তিযোদ্ধাকে সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করে।
-
এদের মধ্যে: সেনাবাহিনীর তিনজন, সাবেক ই.পিআর-এর দুইজন এবং নৌ ও বিমান বাহিনীর একজন করে।
বীরশ্রেষ্ঠরা:
-
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর: সেনাবাহিনী
-
সিপাহী মোস্তফা কামাল: সেনাবাহিনী
-
সিপাহী হামিদুর রহমান: সেনাবাহিনী
-
ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন: নৌবাহিনী
-
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান: বিমান বাহিনী
-
ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ: ই.পিআর
-
ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ: ই.পিআর
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় 'আফসার ব্যাটালিয়ন' কোন অঞ্চলে যুদ্ধ করে?
Created: 1 day ago
A
পাবনা
B
রাজশাহী
C
রংপুর
D
ময়মনসিংহ
আঞ্চলিক বাহিনী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে ওঠা সংগঠিত ও অনিয়মিত মুক্তিবাহিনীর দল ছিল। এসব বাহিনী নিজ নিজ এলাকায় পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে অংশ নেয়।
-
ময়মনসিংহের দক্ষিণাঞ্চলে মেজর আফসারউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে অনিয়মিত আফসার বাহিনী গঠিত হয়।
-
এ বাহিনীর যুদ্ধক্ষেত্র ছিল দক্ষিণ ময়মনসিংহের ভালুকা, ত্রিশাল, ফুলবাড়ীয়া ও গফরগাঁও, টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী, ঘাটাইল ও সখিপুর এবং বর্তমান গাজীপুর জেলার শ্রীপুর ও কালিয়াকৈর থানার বিস্তীর্ণ এলাকা।
-
অন্যান্য আঞ্চলিক বাহিনী ছিল:
-
কাদেরিয়া বাহিনী (টাঙ্গাইল)
-
বাতেন বাহিনী (টাঙ্গাইল)
-
হেমায়েত বাহিনী (গোপালগঞ্জ, বরিশাল)
-
হালিম বাহিনী (মানিকগঞ্জ)
-
আকবর বাহিনী (মাগুরা)
-
লতিফ মীর্জা বাহিনী (সিরাজগঞ্জ, পাবনা)
-
জিয়া বাহিনী (সুন্দরবন)
-
-
ঢাকায় ছিল একটি বিশেষ গেরিলা দল, যা ক্র্যাক প্লাটুন নামে পরিচিত।
-
এ গেরিলা দল ঢাকা শহরের বড় বড় স্থাপনা যেমন বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ব্যাংক ও টেলিভিশন ভবনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।

0
Updated: 1 day ago