মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তারামন বিবি কোন খেতাবপ্রাপ্ত হন?
A
বীর বিক্রম
B
বীর প্রতীক
C
বীর উত্তম
D
বীরশ্রেষ্ঠ
উত্তরের বিবরণ
তারামন বিবি ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত দুইজন নারী মুক্তিযোদ্ধার একজন। তার অসীম সাহসিকতা ও ত্যাগ মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তার আসল নাম ছিল তারাবানু এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর।
-
তিনি ১১ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন, যার সেক্টর কমান্ডার ছিলেন আবু তাহের (বীর উত্তম)।
-
মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে তাকে উৎসাহ দেন মুহিব হাবিলদার।
-
শুরুতে তাকে ক্যাম্পে রান্নার কাজ করতে দেওয়া হলেও তার সাহসিকতা দেখে তাকে অস্ত্র চালনা শেখানো হয়।
-
তিনি রাইফেল ও স্টেনগান চালানো শিখেছিলেন।
-
কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন এলাকায় তিনি সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
-
১৯৭৩ সালে তাকে ‘বীর প্রতীক’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
-
তিনি ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশে মর্যাদা অনুসারে ৩য় বীরত্বসূচক খেতাব-
Created: 3 weeks ago
A
বীরপ্রতীক
B
বীরশ্রেষ্ঠ
C
বীরউত্তম
D
বীরবিক্রম
মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বসূচক খেতাব ও পরিসংখ্যান
-
তারিখ ও প্রেক্ষাপট: ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭৩ সালে, সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধের অংশগ্রহণকারীদের সম্মান জানাতে বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান শুরু করে।
-
খেতাবের ধরণ: মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বসূচক মোট ৪ ধাপে প্রদান করা হয়, মর্যাদার ক্রম অনুযায়ী:
-
বীরশ্রেষ্ঠ – প্রথম ও সর্বোচ্চ মর্যাদার খেতাব
-
বীর উত্তম – দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব
-
বীর বিক্রম – তৃতীয় খেতাব
-
বীর প্রতীক – চতুর্থ খেতাব
-
-
খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা:
-
বীরশ্রেষ্ঠ: ৭ জন
-
বীর উত্তম: ৬৮ জন
-
বীর বিক্রম: ১৭৫ জন
-
বীর প্রতীক: ৪২৬ জন
-
মোট: ৬৭৬ জন
-
-
সংশোধন: ৬ জুন ২০২১ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় দণ্ডিত ৪ খুনির রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করে। এ কারণে বর্তমানে খেতাবপ্রাপ্ত মোট বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৬৭২ জন।তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 3 weeks ago
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর কতজন মুক্তিযোদ্ধাকে খেতাব প্রদান করা হয়?
Created: 1 month ago
A
৫৭৬ জন
B
৪৭৬ জন
C
৬৭৬ জন
D
৭৭৬ জন
-
বীরত্বসূচক খেতাব
-
বীরত্বসূচক খেতাব বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য সাহসিকতা প্রদর্শন এবং আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের প্রদত্ত খেতাব।
-
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি দেওয়া এবং তাদের মধ্যে আত্মত্যাগের প্রেরণা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে বীরত্বসূচক খেতাব প্রদানের প্রস্তাব মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম.এ.জি. ওসমানী মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদে মে মাসের প্রথম দিকে উপস্থাপন করেন।
-
১৬ মে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়।
-
প্রস্তাবে চার পর্যায়ের খেতাব প্রদানের বিধান ছিল:
১. সর্বোচ্চ পদ
২. উচ্চ পদ
৩. প্রশংসনীয় পদ
৪. বীরত্বসূচক প্রশংসাপত্র
-
-
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রদত্ত খেতাবসমূহ
-
বীরশ্রেষ্ঠ: ৭ জন
-
বীর উত্তম: ৬৮ জন
-
বীর বিক্রম: ১৭৫ জন
-
বীর প্রতীক: ৪২৬ জন
-
সূত্র: বাংলাপিডিয়া এবং প্রথম আলো রিপোর্ট

0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান ও বীরত্বের জন্যে কতজনকে বীরত্বসূচক খেতাব বা উপাধি প্রদান করা হয়?
Created: 3 weeks ago
A
৬৭৫ জন
B
৬৭৬ জন
C
৬৭৭ জন
D
৬৭৮ জন
মুক্তিযুদ্ধের খেতাব
-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান ও বীরত্বের জন্য ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকার মোট ৬৭৬ জনকে চারটি বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান করে।
বীরত্বসূচক খেতাবসমূহ:
-
বীরশ্রেষ্ঠ – সর্বোচ্চ খেতাব, প্রাপ্ত: ৭ জন
-
বীরউত্তম – দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব, প্রাপ্ত: ৬৮ জন
-
বীরবিক্রম – তৃতীয় সর্বোচ্চ খেতাব, প্রাপ্ত: ১৭৫ জন
-
বীরপ্রতীক – চতুর্থ সর্বোচ্চ খেতাব, প্রাপ্ত: ৪২৬ জন
-
সাম্প্রতিক পরিবর্তন: ৬ জুন ২০২১ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু হত্যার চার আসামের মুক্তিযুদ্ধে প্রদত্ত খেতাব বাতিল করে।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 weeks ago