মুক্তিযুদ্ধের সময় 'আফসার ব্যাটালিয়ন' কোন অঞ্চলে যুদ্ধ করে?
A
পাবনা
B
রাজশাহী
C
রংপুর
D
ময়মনসিংহ
উত্তরের বিবরণ
আঞ্চলিক বাহিনী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে ওঠা সংগঠিত ও অনিয়মিত মুক্তিবাহিনীর দল ছিল। এসব বাহিনী নিজ নিজ এলাকায় পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে অংশ নেয়।
-
ময়মনসিংহের দক্ষিণাঞ্চলে মেজর আফসারউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে অনিয়মিত আফসার বাহিনী গঠিত হয়।
-
এ বাহিনীর যুদ্ধক্ষেত্র ছিল দক্ষিণ ময়মনসিংহের ভালুকা, ত্রিশাল, ফুলবাড়ীয়া ও গফরগাঁও, টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী, ঘাটাইল ও সখিপুর এবং বর্তমান গাজীপুর জেলার শ্রীপুর ও কালিয়াকৈর থানার বিস্তীর্ণ এলাকা।
-
অন্যান্য আঞ্চলিক বাহিনী ছিল:
-
কাদেরিয়া বাহিনী (টাঙ্গাইল)
-
বাতেন বাহিনী (টাঙ্গাইল)
-
হেমায়েত বাহিনী (গোপালগঞ্জ, বরিশাল)
-
হালিম বাহিনী (মানিকগঞ্জ)
-
আকবর বাহিনী (মাগুরা)
-
লতিফ মীর্জা বাহিনী (সিরাজগঞ্জ, পাবনা)
-
জিয়া বাহিনী (সুন্দরবন)
-
-
ঢাকায় ছিল একটি বিশেষ গেরিলা দল, যা ক্র্যাক প্লাটুন নামে পরিচিত।
-
এ গেরিলা দল ঢাকা শহরের বড় বড় স্থাপনা যেমন বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ব্যাংক ও টেলিভিশন ভবনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
0
Updated: 1 month ago
মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় -
Created: 2 months ago
A
১০ এপ্রিল ১৯৭১
B
২৬ মার্চ ১৯৭১
C
১৭ এপ্রিল ১৯৭১
D
২১ এপ্রিল ১৯৭১
-
মুজিবনগর সরকার
-
মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকার।
-
গঠন: ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর ১০ এপ্রিল।
-
শপথ গ্রহণ: ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে অনুষ্ঠিত।
-
কার্যক্রম: বাংলাদেশের ভূখণ্ডের বাইরে থেকে পরিচালিত হওয়ায় এটিকে প্রবাসী মুজিবনগর সরকারও বলা হয়।
-
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের বিস্তারিত:
-
পরিচালনা: আবদুল মান্নান এম.এন.এ
-
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ: অধ্যাপক ইউসুফ আলী এম.এন.এ
-
-
অন্য তথ্য:
-
নবগঠিত সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
-
মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন ১৮ এপ্রিল করা হয়, যদিও সরকার গঠন ও শপথ গ্রহণ ১০ ও ১৭ এপ্রিল সম্পন্ন হয়।
-
-
সূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
১৯৭১ সালে মুক্তিবাহিনীর "এস ফোর্স" এর দায়িত্বে কে ছিলেন?
Created: 2 months ago
A
কর্নেল জিয়াউর রহমান
B
কর্নেল খালেদ মোশাররফ
C
কর্নেল কে. এম সফিউল্লাহ
D
উপরের কেউ নন
এস ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন লেঃ কর্নেল কে. এম. সফিউল্লাহ।
বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী:
-
যে জনযুদ্ধ এনেছে বাংলাদেশের পতাকা, সেই জনযুদ্ধের দাবিদার এদেশের সাত কোটি বাঙালি।
-
এই সশস্ত্র যুদ্ধ একটি নির্বাচিত সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়।
-
পরিকল্পিত এই যুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১০ই এপ্রিল ১৯৭১ বাংলাদেশ সরকার সমগ্র বাংলাদেশকে ৪টি যুদ্ধঅঞ্চলে বিভক্ত করেন।
-
এই ৪টি অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক ছিলেন:
ক) চট্টগ্রাম অঞ্চল: মেজর জিয়াউর রহমান
খ) কুমিল্লা অঞ্চল: মেজর খালেদ মোশাররফ
গ) সিলেট অঞ্চল: মেজর কে. এম. সফিউল্লাহ
ঘ) দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী
উল্লেখ্য:
-
পরবর্তীতে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলকে বিভক্ত করে দায়িত্ব দেওয়া হয়:
-
রাজশাহী অঞ্চলে: মেজর নাজমুল হক
-
দিনাজপুর অঞ্চলে: মেজর নওয়াজেস উদ্দিন
-
খুলনা অঞ্চলে: মেজর এম.এ জলিল
-
-
৭ই জুলাই ১৯৭১, যুদ্ধের কৌশলগত কারণে সরকার নিয়মিত পদাতিক ব্রিগেড গঠনের পরিকল্পনায় ‘জেড ফোর্স’ গঠন করেন; অধিনায়ক: লেঃ কর্নেল জিয়াউর রহমান
-
সেপ্টেম্বর মাসে ‘এস ফোর্স’ গঠন করা হয়; অধিনায়ক: লেঃ কর্নেল কে. এম. সফিউল্লাহ
-
১৪ই অক্টোবর ‘কে ফোর্স’ গঠন করা হয়; অধিনায়ক: লেঃ কর্নেল খালেদ মোশাররফ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল?
Created: 3 months ago
A
৪ টি
B
৭ টি
C
১১ টি
D
১৪ টি
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরভিত্তিক বিভাজন
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পুরো দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল। এই সেক্টরগুলোর অধীনে ছিল মোট ৬৪টি সাব-সেক্টর।
প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে একজন করে সেক্টর কমান্ডার (অধিনায়ক) এবং প্রতিটি সাব-সেক্টরের জন্য একজন করে কমান্ডার নিযুক্ত ছিলেন।
সেক্টর অনুযায়ী সাব-সেক্টরের সংখ্যা ছিল এমন:
-
সেক্টর ১ – ৫টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ২ – ৬টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৩ – ১০টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৪ – ৬টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৫ – ৬টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৬ – ৫টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৭ – ৮টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৮ – ৭টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৯ – ৩টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ১০ – কোনো সাব-সেক্টর ছিল না এবং এই সেক্টরে নিয়মিত কোনো সেক্টর কমান্ডারও ছিল না। এটি ছিল প্রধান সেনাপতির অধীনস্থ একটি বিশেষ বাহিনী।
-
সেক্টর ১১ – ৮টি সাব-সেক্টর
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 3 months ago