মুক্তিযুদ্ধের সময় 'আফসার ব্যাটালিয়ন' কোন অঞ্চলে যুদ্ধ করে?
A
পাবনা
B
রাজশাহী
C
রংপুর
D
ময়মনসিংহ
উত্তরের বিবরণ
আঞ্চলিক বাহিনী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে ওঠা সংগঠিত ও অনিয়মিত মুক্তিবাহিনীর দল ছিল। এসব বাহিনী নিজ নিজ এলাকায় পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে অংশ নেয়।
-
ময়মনসিংহের দক্ষিণাঞ্চলে মেজর আফসারউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে অনিয়মিত আফসার বাহিনী গঠিত হয়।
-
এ বাহিনীর যুদ্ধক্ষেত্র ছিল দক্ষিণ ময়মনসিংহের ভালুকা, ত্রিশাল, ফুলবাড়ীয়া ও গফরগাঁও, টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী, ঘাটাইল ও সখিপুর এবং বর্তমান গাজীপুর জেলার শ্রীপুর ও কালিয়াকৈর থানার বিস্তীর্ণ এলাকা।
-
অন্যান্য আঞ্চলিক বাহিনী ছিল:
-
কাদেরিয়া বাহিনী (টাঙ্গাইল)
-
বাতেন বাহিনী (টাঙ্গাইল)
-
হেমায়েত বাহিনী (গোপালগঞ্জ, বরিশাল)
-
হালিম বাহিনী (মানিকগঞ্জ)
-
আকবর বাহিনী (মাগুরা)
-
লতিফ মীর্জা বাহিনী (সিরাজগঞ্জ, পাবনা)
-
জিয়া বাহিনী (সুন্দরবন)
-
-
ঢাকায় ছিল একটি বিশেষ গেরিলা দল, যা ক্র্যাক প্লাটুন নামে পরিচিত।
-
এ গেরিলা দল ঢাকা শহরের বড় বড় স্থাপনা যেমন বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ব্যাংক ও টেলিভিশন ভবনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
0
Updated: 1 month ago
১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে আফসার ব্যাটালিয়ন কোথায় গড়ে উঠে?
Created: 1 month ago
A
টাঙ্গাইল
B
সিরাজগঞ্জ
C
পাবনা
D
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার নিভৃত পল্লী মল্লিকবাড়ী গ্রামে মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদ একটি পার্টি গঠন করেন, যা একমাত্র রাইফেল দিয়ে পরিচালিত হত। তিনি পাকবাহিনী ও দুষ্কৃতিকারীদের সঙ্গে লড়াই করে তার পার্টির সদস্যদের নেতৃত্ব দেন এবং শত্রুদের যথাযথ শিক্ষা প্রদান করেন। আফসার ব্যাটালিয়ন তার পার্টি থেকে আড়াই হাজারেরও অধিক রাইফেল, ব্রেটাগান, রকেট লান্সার, স্টেনগান, এমএমজি ইত্যাদি উদ্ধার করে। এই বাহিনীতে মোট প্রায় সাড়ে চার হাজার মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
-
আফসার ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে রোগাক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধা ও বিপর্যস্ত মানুষের চিকিৎসার জন্য ১৩ জন ডাক্তার এবং ৩ জন নার্স নিয়ে একটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল স্থাপিত হয়।
-
মুক্ত এলাকা পরিচালনা ও সুষ্ঠু শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়, যা শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
আঞ্চলিক পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর এলাকার বাইরে গড়ে ওঠা উল্লেখযোগ্য বাহিনীসমূহ:
-
কাদেরিয়া বাহিনী (টাঙ্গাইল)
-
আফসার ব্যাটালিয়ন (ভালুকা, ময়মনসিংহ)
-
বাতেন বাহিনী (টাঙ্গাইল)
-
হেমায়েত বাহিনী (গোপালগঞ্জ, বরিশাল)
-
হালিম বাহিনী (মানিকগঞ্জ)
-
আকবর বাহিনী (মাগুরা)
-
লতিফ মীর্জা বাহিনী (সিরাজগঞ্জ, পাবনা)
-
জিয়া বাহিনী (সুন্দরবন)
এছাড়া ঢাকা শহরে ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ নামে পরিচিত গেরিলা দল শহরের বড় স্থাপনা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ব্যাংক ও টেলিভিশন ভবনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শত্রুর ক্ষতি সাধন করেছিল।
0
Updated: 1 month ago
স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর ‘ওয়ার স্ট্র্যাটেজি’ কী নামে পরিচিত?
Created: 1 month ago
A
তেলিয়াপাড়া স্ট্র্যাটেজি
B
মুজিবনগর স্ট্র্যাটেজি
C
চুকনগর স্ট্র্যাটেজি
D
বাঘাইছড়ি স্ট্র্যাটেজি
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে বাঙালি সামরিক কর্মকর্তারা স্বাধীনতার জন্য কার্যকর রণকৌশল প্রণয়ন করেন এবং মুক্তিবাহিনী গঠন করেন। এই বাহিনী বাংলাদেশকে মুক্ত করার জন্য সুসংগঠিত ও সশস্ত্রভাবে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য পরিকল্পিতভাবে গঠিত হয়।
-
১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল, সিলেটের তেলিয়াপাড়া চা বাগানে বাঙালি কর্মকর্তাদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
-
এই বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল প্রণয়ন করা হয়, যা পরে তেলিয়াপাড়া স্ট্র্যাটেজি নামে পরিচিত হয়।
-
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, এম এ জি ওসমানী যুদ্ধে নেতৃত্ব দেবেন।
-
বাংলাদেশকে চারটি সামরিক অঞ্চলে ভাগ করে সশস্ত্র যুদ্ধ পরিচালনা করার পরিকল্পনা করা হয়।
-
১২–১৭ জুলাই কলকাতায় মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত একটি দীর্ঘ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
-
সম্মেলনে তিনটি নিয়মিত বাহিনী তৈরি এবং দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ শত্রুমুক্ত জেলা যথাক্রমে -
Created: 1 month ago
A
ঢাকা ও যশোর
B
যশোর ও ঢাকা
C
কুমিল্লা ও যশোর
D
যশোর ও কুমিল্লা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিভিন্ন জেলার শত্রুমুক্ত হওয়া তার প্রগতি এবং মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতিকে নির্দেশ করে। সর্বপ্রথম এবং সর্বশেষ শত্রুমুক্ত জেলা যথাক্রমে যশোর ও ঢাকা।
-
যশোর হলো বাংলাদেশের প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা, যা ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্ত হয়।
-
ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মিত্রবাহিনীর কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে, যা দেশের মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পরাজয় নির্দেশ করে।
-
আত্মসমর্পণের পরও পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের দোসররা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যেত।
-
ঢাকায় আত্মসমর্পণের এক সপ্তাহ পর্যন্ত যুদ্ধ চলার পর ২৩ ডিসেম্বর কুমিল্লার হোমনা হানাদারমুক্ত হয়।
-
ঢাকার মিরপুর তখনো পাকিস্তানি বাহিনী ও বিহারিদের দ্বারা পুরোপুরি অবরুদ্ধ ছিল।
-
১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি এক বিশেষ সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ৩১ জানুয়ারি ১২ নম্বর সেকশনের ডি ব্লক, ঈদগাহ মাঠে আত্মগোপনকারী পাকিস্তানি সেনা, বিহারি, রাজাকার ও আলবদরদের অস্ত্রসমর্পণের মধ্য দিয়ে মিরপুর মুক্ত হয়।
-
অন্যদিকে, কুমিল্লা জেলা শত্রুমুক্ত হয় ৮ ডিসেম্বর ১৯৭১।
0
Updated: 1 month ago