OIC: ইসলামিক সহযোগিতার এক বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম

OIC বা অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন হলো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক ঐক্য, সহযোগিতা এবং স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এটি মূলত একটি রাজনৈতিক জোট, যা ইসলামি বিশ্বে শান্তি ও সংহতি বজায় রাখতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

এই সংস্থার যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, মরক্কোর রাবাত শহরে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনের মাধ্যমে। ঐ সম্মেলনের পটভূমিতে ছিল ইসরাইল কর্তৃক আল আকসা মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনা, যা মুসলিম বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

প্রতিষ্ঠার সময় OIC-এ সদস্য ছিল ২৪টি দেশ। বর্তমানে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭টি। সংস্থার সদরদপ্তর অবস্থিত সৌদি আরবের জেদ্দা শহরে। বর্তমান মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইব্রাহিম তাহা।

OIC-এর কাজ পরিচালিত হয় তিনটি ভাষায়: আরবি, ইংরেজি এবং ফরাসি। এর প্রথম শীর্ষ সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬৯ সালে রাবাতে।

বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে OIC-এর সদস্যপদ লাভ করে এবং এরপর থেকে সংস্থার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে।

তথ্যসূত্র: OIC-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (OIC)

ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (OIC) হলো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক ও আন্তঃসরকারি সংস্থা, যার লক্ষ্য সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য, সংহতি ও পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করা।

সংস্থাটি ১৯৬৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মরক্কোর রাবাত শহরে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনের আয়োজনের পেছনে মূল প্রেক্ষাপট ছিল ইসরাইলি আগ্রাসনে পবিত্র আল আকসা মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনা।

• প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য সংখ্যা: ২৪টি দেশ

• বর্তমান সদস্য সংখ্যা: ৫৭টি

• সদরদপ্তর: জেদ্দা, সৌদি আরব

• বর্তমান মহাসচিব: হিস এক্সেলেন্সি হুসেইন ইব্রাহিম তাহা

বাংলাদেশ ও OIC

বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত ওআইসির দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে সংস্থাটির সদস্যপদ লাভ করে। এই সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুসলিম বিশ্বের সংকট ও সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রভাবশালী ও দূরদর্শী ভাষণ প্রদান করেন, যা ওআইসিতে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণের ভিত্তি স্থাপন করে। বর্তমানে বাংলাদেশ OIC-এর ৩২তম সদস্য দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত।

উৎস: ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (OIC) অফিসিয়াল ওয়েবসাইট