'তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?' কোন উপন্যাসে আছে?
A
বঙ্কিমচন্দ্রের 'কপালকুণ্ডলা'
B
রবীন্দ্রনাথের 'গোরা'
C
শরৎচন্দ্রের 'চরিত্রহীন'
D
বিভূতিভূষণের 'আরণ্যক'
উত্তরের বিবরণ
‘তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?’ লাইনটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাস থেকে নেওয়া। এটি উপন্যাসের চরিত্র ও নৈতিক দ্বন্দ্বকে প্রকাশ করে।
-
উপন্যাসের অংশবিশেষ:
• যাত্রীরা নবকুমার ব্যতীত স্বদেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। নবকুমার সমুদ্রতীরে বনবাসে বিসর্জিত হন।
• যে ব্যক্তি পরের উপবাস নিবারণার্থে কাষ্ঠাহরণে যায় না, তাকে উপহাস করা হয়। বনবাসিত ব্যক্তি যতবারই বনবাসে পাঠানো হোক, তার স্বভাব অনুযায়ী সে পুনরায় কাষ্ঠাহরণে যাবে।
• নবকুমার নিজকে উত্তম হিসেবে দাবি করেন, কারণ তিনি অধম বলেই অন্যের সাথে তুলনা করেন না। -
‘কপালকুণ্ডলা’ সম্পর্কিত তথ্য:
• রচয়িতা: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়; এটি তার দ্বিতীয় সার্থক উপন্যাস।
• প্রকাশিত: ১৮৬৬ সালে।
• কাহিনী কেন্দ্র করে এক অরণ্যের কাপালিক-পালিতা নারী কপালকুণ্ডলা।
• বঙ্কিমের জীবদ্দশাতেই উপন্যাসের আটটি সংস্করণ হয়।
• উল্লেখযোগ্য চরিত্র: কপালকুণ্ডলা, নবকুমার, কাপালিক।
• উপন্যাসের সংলাপ “পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ।” বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোম্যান্টিক সংলাপ হিসেবে বিবেচিত। -
অন্য গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাসের তুলনামূলক বিশ্লেষণ:
• ‘গোরা’ (১৯১০) – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৃহত্তম রাজনৈতিক উপন্যাস।
-
প্রকাশিত: ১৯০৮ সালে ‘প্রবাসী’ পত্রিকায়।
-
বিষয়: ধর্মান্দোলন, স্বদেশপ্রেম, নারীমুক্তি।
-
চরিত্র: গোরা, সুচরিতা, কৃষ্ণদয়াল, আনন্দময়ী।
-
কাহিনী: ব্যক্তির সঙ্গে সমাজ, সমাজের সঙ্গে ধর্ম, ধর্মের সঙ্গে সত্যের দ্বন্দ্ব ও সমন্বয়।
• ‘চরিত্রহীন’ (১৯১৭) – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনা।
-
বিষয়: প্রথা বহির্ভূত প্রেম ও নারীপুরুষ সম্পর্ক।
-
চরিত্র: চারটি নারী চরিত্র, প্রধান: সাবিত্রী ও কিরণময়ী।
• ‘আরণ্যক’ (১৯৩৯) – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচনা।
-
ভিত্তি: বনাঞ্চলে বাস্তব অভিজ্ঞতা ও অরণ্যবাসী মানুষের সংস্পর্শ।
-
বিষয়: মানুষ ও প্রকৃতির সম্পর্ক, দুঃখ-দারিদ্র্য, আশা ও আনন্দ।
-
কাহিনী: ডায়েরিরীতিতে উত্তমপুরুষের জবানিতে রচিত; অরণ্যের সৌন্দর্য, ভয়ালতা, বনবাসী সংস্কার ও আর্য-অনার্য সভ্যতার দ্বন্দ্ব।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: ভানুমতী, বনোয়ারী, দোবরু পান্না, বুদ্ধ সিংহ, খাম্বা।
-

0
Updated: 9 hours ago
‘অপলাপ’ শব্দের অর্থ কী?
Created: 22 hours ago
A
মিথ্যাচার
B
অস্বীকার
C
প্রলাপ
D
সংলাপ
‘অপলাপ’ শব্দটি আধুনিক বাংলা অভিধান, বাংলা একাডেমি অনুসারে অস্বীকার অর্থে ব্যবহৃত হয়।
-
এটি তৎসম বা সংস্কৃত উৎসের শব্দ।
-
গঠনে: অপ + √লপ্ + অ
অপলাপ (বিশেষ্য) অর্থ:
-
গোপন
-
মিথ্যা উক্তি (সত্যের অপলাপ)
-
অস্বীকার (যেমন: “তুমি একেবারে পরিণয় পর্যন্ত অপলাপ করিতেছ।” — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর)
সূত্র:

0
Updated: 22 hours ago
কোনটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস?
Created: 1 week ago
A
কাঁদো নদী কাঁদো
B
নেকড়ে অরণ্যে
C
রাঙা প্রভাত
D
প্রদোষে প্রাকৃতজন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্য ও গুরুত্বপূর্ণ বাংলা লেখকদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় নিচে উপস্থাপন করা হলো। এই তথ্যগুলো মূলভাব অক্ষুণ্ণ রেখে সাজানো হয়েছে, প্রয়োজনে কিছু অতিরিক্ত ব্যাখ্যা যোগ করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস 'নেকড়ে অরণ্য' এর লেখক শওকত ওসমান এবং এটি ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত হয়।
শওকত ওসমান
-
তিনি ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি, পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সবলসিংহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
প্রকৃত নাম ছিল শেখ আজিজুর রহমান।
-
তিনি একজন কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক ছিলেন।
-
প্রধানত উপন্যাস ও গল্পের রচয়িতা হিসেবে পরিচিত, তবে প্রবন্ধ, নাটক, রম্যরচনা, স্মৃতিকথা ও শিশুতোষ গ্রন্থও রচনা করেছেন।
-
তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো 'জননী' এবং 'ক্রীতদাসের হাসি'। জননীতে সামাজিক জীবন এবং ক্রীতদাসের হাসিতে রাজনৈতিক জীবনের কিছু অন্ধকার দিক উন্মোচিত হয়েছে।
-
তিনি নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, যেমন: বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬২), আদমজি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৬), একুশে পদক (১৯৮৩), ফিলিপস পুরস্কার (১৯৯১), স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৯৭)।
-
১৯৯৮ সালের ১৪ই মে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
শওকত ওসমানের রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসসমূহ:
-
জাহান্নম হইতে বিদায়
-
দুই সৈনিক
-
নেকড়ে অরণ্য
-
জলাংগী
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বাংলা উপন্যাস ও লেখক:
-
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত 'কাঁদো নদী কাঁদো' উপন্যাসে গ্রামীণ ও কুমারডাঙ্গার শহুরে পরিবেশ এবং মানুষের ক্ষুদ্র সুখ-দুঃখের সামষ্টিক অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা হয়েছে।
-
আবুল ফজল রচিত 'রাঙা প্রভাত'।
-
শওকত আলী রচিত 'প্রদোষে প্রাকৃতজন' উপন্যাসে রাজা লক্ষণ সেনের সময়ের সমাজ ও মানুষের দ্বন্দ্ব তুলে ধরা হয়েছে।

0
Updated: 1 week ago
'বিষাদ সিন্ধু' একটি-
Created: 4 weeks ago
A
গবেষণা গ্রন্থ
B
ধর্মবিষয়ক প্রবন্ধ
C
ইতিহাস আশ্রয়ী উপন্যাস
D
আত্মজীবনী
বিষাদ-সিন্ধু উপন্যাস
-
লেখক ও খ্যাতি: মীর মশাররফ হোসেনের খ্যাতি প্রধানত বিষাদ-সিন্ধু উপন্যাসের জন্য।
-
প্রকাশকাল: ১৮৮৫–১৮৯১।
-
ধরণ ও বিষয়: ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাস; ইমাম হাসান ও হোসেনের করুণ মৃত্যুকাহিনি, দামেস্কের অধিপতি মাবিয়ার একমাত্র পুত্র এজিদের কারবালা যুদ্ধের বর্ণনা মূল বিষয়।
-
ঐতিহাসিক সত্যতা: মূল ঘটনাগুলো ইতিহাসভিত্তিক হলেও, লেখক ইতিহাসের অন্ধ অনুসরণ করেননি।
-
রচনা: উপন্যাসটি তিনটি পর্বে বিভক্ত:
-
মহরম পর্ব (উপক্রমণিকা + ২৬টি অধ্যায়)
-
উদ্ধার পর্ব (৩০টি অধ্যায়)
-
এজিদ-বধ পর্ব (৫টি অধ্যায় + উপসংহার)
-
-
জনপ্রিয়তার কারণ:
-
ইসলাম ধর্ম সম্পর্কিত স্পর্শকাতর কাহিনির কারণে সাধারণ মুসলিম পাঠকের কাছে জনপ্রিয়।
-
জাদুকরী ভাষা ও রচনাশৈলীর কারণে সাহিত্যরসিকের কাছে প্রিয়।
-
জয়নাবের রূপসুন্দর্য ও এজিদের রূপতৃষ্ণার পরিণতি নিয়ে বর্ণিত বিপর্যয় কাহিনি উপন্যাসটিকে সর্বজনীন করে তুলেছে।
-
-
সাহিত্যিক প্রভাব: অ্যান্টি-এস্টাব্লিশমেন্ট চেতনা মাইকেল মধুসূদন দত্তের মেঘনাদবধ কাব্য থেকে গ্রহণ করা হয়েছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 4 weeks ago