রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’ একটি সাংকেতিক নাটক, যা পুঁজিবাদের নেতিবাচক প্রভাব এবং এর ফলে মানুষের জীবনের সৌন্দর্য, স্বাভাবিকতা ও মানবিকতার ক্ষয়কে ফুটিয়ে তোলে।
নাটকটি মানুষের প্রেম, জীবন ও স্বাধীনতার মূল্যকে প্রধান করে যান্ত্রিকতা ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানবিকতার জয়গান করে।
• 'রক্তকরবী' নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী:
-
ক্ষপুরীর রাজার অর্থলোভ ও প্রজাশোষণের চিত্র ফুটে উঠেছে।
-
রাজা সোনার খনির কুলিদের মানুষ হিসেবে নয়, কেবল উৎপাদনের যন্ত্র হিসেবে দেখেন।
-
মানুষের প্রেম, সৌন্দর্য ও মনুষ্যত্ব নিপীড়িত হয়।
-
নন্দিনী প্রেম ও জীবনের প্রতীক হিসেবে শোষণের বিরুদ্ধে আনন্দের দূত হয়ে আবির্ভূত হন।
-
তিনি সবাইকে মুক্ত জীবনের দিকে আহ্বান জানান।
-
রাজা নন্দিনীকে জোর করে পেতে চাইলেও প্রেম ও সৌন্দর্য জয়ী হয়।
-
রঞ্জন, নন্দিনীর প্রেমাস্পদ, যান্ত্রিকতার শিকার হয়ে নিঃশেষিত হয়।
-
নাটক জীবনের প্রাণশক্তির জয় এবং যান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে মানবিকতার বার্তা দেয়।
• 'রক্তকরবী' নাটক সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাংকেতিক নাটক।
-
রচিত হয়েছে বাংলা ১৩৩০ সনের শিলং-এর শৈলবাসে।
-
প্রথম নাম ছিল যক্ষপুরী, পরে আশ্বিন ১৩৩০ সালে প্রকাশিত হলে নামকরণ হয় রক্তকরবী।
-
নাটকে ধনের উপর ধান্যের, শক্তির উপর প্রেমের, মৃত্যুর উপর জীবনের জয়গান গাওয়া হয়েছে।
• নাটকটির উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কিছু রূপক-সাংকেতিক নাটক:
-
শারদোৎসব
-
রাজা
-
ডাকঘর
-
অচলায়তন
-
ফাল্গুনী
-
গুরু
-
অরূপরতন
-
মুক্তধারা
-
রক্তকরবী
-
কালের যাত্রা
-
তাসের দেশ