আর্কিমিডিসের সূত্র কোন অবস্থায় প্রযোজ্য?
A
কেবল বায়ুর জন্য
B
কেবল কঠিন বস্তুর জন্য
C
কেবল সম্পূর্ণ নিমজ্জিত বস্তুর জন্য
D
তরল বা বায়ুতে নিমজ্জিত বস্তুর জন্য
উত্তরের বিবরণ
আর্কিমিডিসের সূত্র:
- কোনো বস্তু তরল কিংবা বায়বীয় পদার্থে আংশিক বা সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হলে, বস্তুটি কিছু পরিমাণ তরল বা বায়বীয় পদার্থ অপসারণ করে এবং বস্তুটি কিছু ওজন হারায়। বস্তুর এই হারানো ওজন বস্তু দ্বারা অপসারিত তরল বা বায়বীয় পদার্থের ওজনের সমান।
বস্তুর ভাসা ও ডোবার শর্ত:
ধরা যাক,
- একটি বস্তুর ওজন (বস্তুর উপর অভিকর্ষজ ত্বরণ জনিত বল) W নিউটন, বস্তুটির পানিতে ডোবালে এর উপর পানির প্লবতা (ঊর্ধ্ব চাপ জনিত বল) W1 নিউটন।
এক্ষেত্রে-
১. W > W1 হলে, অর্থাৎ বস্তুর ওজন অপসারিত পানির ওজন থেকে বেশি হলে বস্তুটি পানিতে ডুবে যাবে।
২. W < W1 হলে, অর্থাৎ বস্তুর ওজন অপসারিত পানির ওজন থেকে কম হলে বস্তুটি পানিতে ভেসে থাকবে।
৩. W = W1
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 9 hours ago
কোন খাদ্য উপাদান দেহে সবচেয়ে বেশি তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে?
Created: 1 day ago
A
শর্করা
B
স্নেহ
C
আমিষ
D
খনিজ লবণ
খাদ্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক বস্তুর সমন্বয়ে গঠিত, যেগুলোকে খাদ্য উপাদান বলা হয়। এই উপাদানগুলোর মধ্যেই পুষ্টি থাকে, তাই এগুলোকে পুষ্টি উপাদানও বলা হয়। উপাদানের ভিত্তিতে খাদ্যবস্তুকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা যায়।
-
আমিষ: দেহের বৃদ্ধি সাধন করে এবং ক্ষয়পূরণে সহায়তা করে।
-
শর্করা: দেহে শক্তি উৎপাদনে প্রধান ভূমিকা রাখে।
-
স্নেহ: চর্বিজাতীয় খাদ্য হিসেবে দেহে তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে।
-
ভিটামিন (খাদ্যপ্রাণ): দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উদ্দীপনা যোগায়।
-
খনিজ লবণ: দেহের বিভিন্ন জৈবিক ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।
-
পানি: দেহে পানি ও তাপের ভারসাম্য বজায় রাখে, কোষের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোষ ও অঙ্গাণুগুলোকে ধারণ করে।
-
রাফেজ (খাদ্য আঁশ): পুষ্টি সরবরাহ না করলেও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা পানি শোষণ করে, মলের পরিমাণ বাড়ায় এবং বৃহদন্ত্র থেকে মল নিষ্কাশনে সহায়তা করে।

0
Updated: 1 day ago
জোয়ার-ভাটা সংঘটিত হয়-
Created: 9 hours ago
A
পৃথিবীর সাথে সূর্যের আকর্ষণের ফলে
B
পৃথিবীর সাথে গ্রহ নক্ষত্রের আকর্ষণের ফলে
C
গ্রহ-নক্ষত্রের সাথে চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণের ফলে
D
পৃথিবীর সাথে চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণের ফলে
- পৃথিবীর সাথে চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণের ফলে জোয়ার-ভাঁটা সংঘটিত হয়।
জোয়ার-ভাটা:
- মহাকর্ষ শক্তি এবং কেন্দ্রাতিগ শক্তির কারণে সমুদ্রের পানি নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে একই জায়গায় ফুলে ওঠে আবার অন্য সময় নেমে যায়। সমুদ্রের পানির এইরূপ ফুলে ওঠাকে জোয়ার এবং নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে।
- সমুদ্রের একই জায়গায় প্রতিদিন দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাটা সংঘটিত হয়।
- চন্দ্র অপেক্ষা সূর্য ২ কোটি ৬০ লক্ষ গুণ বড় এবং পৃথিবী অপেক্ষা সূর্য প্রায় ১৩ লক্ষ গুণ বড় হলেও পৃথিবী থেকে সূর্য গড়ে প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং পৃথিবী থেকে চন্দ্র গড়ে প্রায় ৩৮.৪ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এ কারণেই পৃথিবীর ওপর চন্দ্রের আকর্ষণ
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 9 hours ago
n-p-n ট্রানজিস্টরে মাঝখানে কোন ধরনের অপদ্রব্য দিয়ে ডোপিং করা হয়?
Created: 1 day ago
A
ধাতব
B
পাঁচযোজী
C
তিনযোজী
D
নিরোধক
ট্রানজিস্টর (Transistor) হলো এক বিশেষ ধরনের অর্ধপরিবাহী যন্ত্র, যা সংকেত পরিবর্ধন, সুইচিং এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত তিন স্তরের অর্ধপরিবাহী পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত।
ট্রানজিস্টরের গঠন:
-
ট্রানজিস্টরে দুটি চওড়া স্তরের মধ্যে একটি সরু স্তর যুক্ত থাকে।
-
এর গঠন হতে পারে:
-
p-n-p ট্রানজিস্টর:
-
একটি অর্ধপরিবাহী খণ্ডের দুই প্রান্তে চওড়া করে p-টাইপ স্তর তৈরি করা হয়।
-
মাঝখানে সরু করে n-টাইপ স্তর গঠিত হয়।
-
এটি গঠিত হয় তিনযোজী অপদ্রব্য (p-টাইপ) এবং পাঁচযোজী অপদ্রব্য (n-টাইপ) ডোপিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
-
-
n-p-n ট্রানজিস্টর:
-
একটি অর্ধপরিবাহী খণ্ডের দুই প্রান্তে চওড়া করে n-টাইপ স্তর তৈরি করা হয়।
-
মাঝখানে সরু করে p-টাইপ স্তর তৈরি করা হয়।
-
এটি গঠিত হয় পাঁচযোজী অপদ্রব্য (n-টাইপ) এবং তিনযোজী অপদ্রব্য (p-টাইপ) ডোপিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
-
-
বিশেষ দিক:
-
একটি ট্রানজিস্টরকে অনেক সময় দুটি ডায়োডকে পিঠাপিঠি (Back to back) যুক্ত বলে ধরা হয়।
-
ট্রানজিস্টরের মাঝের সরু অংশকে বলে বেস (Base) বা ভূমি।
-
প্রান্তের যে অংশ তুলনামূলকভাবে সরু ও বেশি অপদ্রব্যযুক্ত, তাকে বলে এমিটার (Emitter) বা নিঃসারক।
-
অপর প্রান্তের স্তর তুলনামূলক চওড়া এবং বেসের সমান অপদ্রব্যযুক্ত, তাকে বলে কালেক্টর (Collector) বা সংগ্রাহক।

0
Updated: 1 day ago