আর্কিমিডিসের সূত্র কোন অবস্থায় প্রযোজ্য?
A
কেবল বায়ুর জন্য
B
কেবল কঠিন বস্তুর জন্য
C
কেবল সম্পূর্ণ নিমজ্জিত বস্তুর জন্য
D
তরল বা বায়ুতে নিমজ্জিত বস্তুর জন্য
উত্তরের বিবরণ
আর্কিমিডিসের সূত্র:
-
কোনো বস্তু তরল বা বায়বীয় পদার্থে আংশিক বা সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হলে, সেই বস্তু কিছু পরিমাণ তরল বা বায়বীয় পদার্থ অপসারণ করে এবং বস্তু কিছু ওজন হারায়।
-
বস্তুর এই হারানো ওজন হলো বস্তু দ্বারা অপসারিত তরল বা বায়বীয় পদার্থের ওজনের সমান।
বস্তুর ভাসা ও ডোবার শর্ত:
ধরা যাক,
-
একটি বস্তুর ওজন (বস্তুর উপর অভিকর্ষজনিত বল) নিউটন,
-
বস্তুটির পানিতে ডোবালে এর উপর পানির প্লবতা (ঊর্ধ্ব চাপজনিত বল) নিউটন।
তাহলে:
-
W > W₁ হলে, অর্থাৎ বস্তুর ওজন অপসারিত পানির ওজন থেকে বেশি হলে, বস্তুটি পানিতে ডুবে যাবে।
-
W < W₁ হলে, অর্থাৎ বস্তুর ওজন অপসারিত পানির ওজন থেকে কম হলে, বস্তুটি পানিতে ভেসে থাকবে।
-
W = W₁ হলে, অর্থাৎ বস্তুর ওজন অপসারিত পানির ওজনের সমান হলে, বস্তুটি পানির মধ্যে স্থিতিশীলভাবে নিমজ্জিত থাকবে।
0
Updated: 1 month ago
n-p-n ট্রানজিস্টরে মাঝখানে কোন ধরনের অপদ্রব্য দিয়ে ডোপিং করা হয়?
Created: 1 month ago
A
ধাতব
B
পাঁচযোজী
C
তিনযোজী
D
নিরোধক
ট্রানজিস্টর (Transistor) হলো এক বিশেষ ধরনের অর্ধপরিবাহী যন্ত্র, যা সংকেত পরিবর্ধন, সুইচিং এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত তিন স্তরের অর্ধপরিবাহী পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত।
ট্রানজিস্টরের গঠন:
-
ট্রানজিস্টরে দুটি চওড়া স্তরের মধ্যে একটি সরু স্তর যুক্ত থাকে।
-
এর গঠন হতে পারে:
-
p-n-p ট্রানজিস্টর:
-
একটি অর্ধপরিবাহী খণ্ডের দুই প্রান্তে চওড়া করে p-টাইপ স্তর তৈরি করা হয়।
-
মাঝখানে সরু করে n-টাইপ স্তর গঠিত হয়।
-
এটি গঠিত হয় তিনযোজী অপদ্রব্য (p-টাইপ) এবং পাঁচযোজী অপদ্রব্য (n-টাইপ) ডোপিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
-
-
n-p-n ট্রানজিস্টর:
-
একটি অর্ধপরিবাহী খণ্ডের দুই প্রান্তে চওড়া করে n-টাইপ স্তর তৈরি করা হয়।
-
মাঝখানে সরু করে p-টাইপ স্তর তৈরি করা হয়।
-
এটি গঠিত হয় পাঁচযোজী অপদ্রব্য (n-টাইপ) এবং তিনযোজী অপদ্রব্য (p-টাইপ) ডোপিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
-
-
বিশেষ দিক:
-
একটি ট্রানজিস্টরকে অনেক সময় দুটি ডায়োডকে পিঠাপিঠি (Back to back) যুক্ত বলে ধরা হয়।
-
ট্রানজিস্টরের মাঝের সরু অংশকে বলে বেস (Base) বা ভূমি।
-
প্রান্তের যে অংশ তুলনামূলকভাবে সরু ও বেশি অপদ্রব্যযুক্ত, তাকে বলে এমিটার (Emitter) বা নিঃসারক।
-
অপর প্রান্তের স্তর তুলনামূলক চওড়া এবং বেসের সমান অপদ্রব্যযুক্ত, তাকে বলে কালেক্টর (Collector) বা সংগ্রাহক।
0
Updated: 1 month ago
দৃশ্যমান আলোর মধ্যে কোন বর্ণের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম?
Created: 1 month ago
A
কমলা
B
লাল
C
সবুজ
D
বেগুনি
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ হলো তাড়িতচৌম্বকীয় বর্ণালির একটি ক্ষুদ্র অংশ, যা মানুষের চোখে দেখা যায়। এটিকে দৃশ্যমান বিকিরণও বলা হয়। এর কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হলো।
-
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিসর 4×10⁻⁷ মিটার থেকে 7×10⁻⁷ মিটার পর্যন্ত।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পার্থক্যের কারণে আলো বিভিন্ন বর্ণে দেখা যায়।
-
এ বর্ণগুলো হলো: বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল।
-
বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম, আর লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি হয়, প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ তত কম হয়।
-
বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম হওয়ায় এর প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ সবচেয়ে বেশি।
-
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় এর প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ সবচেয়ে কম।
অতিরিক্ত তথ্য: মানুষের চোখ সাধারণত 380 nm (3.8×10⁻⁷ মি) থেকে 750 nm (7.5×10⁻⁷ মি) পর্যন্ত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো শনাক্ত করতে পারে। এর বাইরে থাকা অতিবেগুনি ও অবলোহিত তরঙ্গ খালি চোখে দেখা যায় না।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন মাধ্যমে শব্দের বেগ সবচেয়ে বেশি?
Created: 1 month ago
A
বায়ু
B
পানি
C
লোহা
D
ভ্যাকুয়াম
শব্দের বেগের পরিবর্তন:
পরীক্ষা থেকে জানা গেছে, আলোর দ্রুতি শূন্যস্থানে সবসময় 3×10⁸ m/s। অন্যদিকে, 0°C বা 273 K তাপমাত্রা এবং প্রমাণ বায়ুচাপে, শুষ্ক বাতাসে শব্দের দ্রুতি 332 m/s।
-
তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে শব্দের দ্রুতি বেড়ে যায়।
-
বাতাসের আর্দ্রতা বৃদ্ধি করলেও শব্দের দ্রুতি বেড়ে যায়।
-
হিসাব অনুযায়ী, প্রতি 1°C বা 1 K তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে শব্দের দ্রুতি প্রায় 0.6 m/s বৃদ্ধি পায়।
-
মাধ্যম ভেদে শব্দের দ্রুতি পরিবর্তিত হয়। মাধ্যম যত ঘন ও স্থিতিস্থাপক, শব্দের দ্রুতি তত বেশি।
-
উদাহরণ:
-
বায়ুতে: 332 m/s
-
পানিতে: 1450 m/s
-
লোহায়: 5220 m/s
-
-
-
বায়বীয় পদার্থে শব্দের দ্রুতি সবচেয়ে কম, তরল পদার্থে বেশি এবং কঠিন পদার্থে সবচেয়ে বেশি।
-
বায়ু চাপের পরিবর্তন শব্দের বেগে প্রভাব ফেলে না।
0
Updated: 1 month ago