জোয়ার-ভাটা সংঘটিত হয়-
A
পৃথিবীর সাথে সূর্যের আকর্ষণের ফলে
B
পৃথিবীর সাথে গ্রহ নক্ষত্রের আকর্ষণের ফলে
C
গ্রহ-নক্ষত্রের সাথে চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণের ফলে
D
পৃথিবীর সাথে চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণের ফলে
উত্তরের বিবরণ
- পৃথিবীর সাথে চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণের ফলে জোয়ার-ভাঁটা সংঘটিত হয়।
জোয়ার-ভাটা:
- মহাকর্ষ শক্তি এবং কেন্দ্রাতিগ শক্তির কারণে সমুদ্রের পানি নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে একই জায়গায় ফুলে ওঠে আবার অন্য সময় নেমে যায়। সমুদ্রের পানির এইরূপ ফুলে ওঠাকে জোয়ার এবং নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে।
- সমুদ্রের একই জায়গায় প্রতিদিন দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাটা সংঘটিত হয়।
- চন্দ্র অপেক্ষা সূর্য ২ কোটি ৬০ লক্ষ গুণ বড় এবং পৃথিবী অপেক্ষা সূর্য প্রায় ১৩ লক্ষ গুণ বড় হলেও পৃথিবী থেকে সূর্য গড়ে প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং পৃথিবী থেকে চন্দ্র গড়ে প্রায় ৩৮.৪ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এ কারণেই পৃথিবীর ওপর চন্দ্রের আকর্ষণ
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 9 hours ago
একটি মাত্র গর্ভাশয় থেকে উৎপন্ন ফলকে কী বলা হয়?
Created: 1 day ago
A
অপ্রকৃত ফল
B
গুচ্ছ ফল
C
সরল ফল
D
যৌগিক ফল
ফল হলো নিষিক্তকরণের পর গর্ভাশয় এককভাবে অথবা ফুলের অন্যান্য অংশসহ পরিপুষ্ট হয়ে যে অঙ্গ গঠন করে।
ফলের প্রকারভেদ:
-
যদি শুধুমাত্র গর্ভাশয় ফলে পরিণত হয়, তাকে প্রকৃত ফল বলা হয়, যেমন: আম, কাঁঠাল।
-
যদি গর্ভাশয় ছাড়া ফুলের অন্যান্য অংশ পুষ্ট হয়ে ফলে পরিণত হয়, তাকে অপ্রকৃত ফল বলা হয়, যেমন: আপেল, চালতা।
প্রকৃত ও অপ্রকৃত ফলকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায়:
১) সরল ফল:
-
ফুলের একটি মাত্র গর্ভাশয় থেকে উৎপন্ন ফল।
-
রসাল বা শুষ্ক হতে পারে।
-
ধরন:
ক) রসাল ফল: ফলত্বক পুরু ও রসাল; পাকলে ফলত্বক ফেটে যায় না। যেমন: আম, জাম, কলা।
খ) নীত ফল: ফলত্বক পাতলা; পরিপক্ক হলে ত্বক শুকিয়ে ফেটে যায়। যেমন: শিম, ঢেঁড়স, সরিষা।
২) যৌগিক ফল:
-
একটি মঞ্জরির সম্পূর্ণ অংশ একত্র হয়ে এক ফলের সৃষ্টি করে।
-
উদাহরণ: আনারস, কাঁঠাল।
৩) গুচ্ছ ফল:
-
একটি ফুলে অনেকগুলো গর্ভাশয় থাকে; প্রতিটি গর্ভাশয় ফলের রূপ নেয়ে একটি বোঁটার উপর গুচ্ছাকারে অবস্থান করে।
-
উদাহরণ: চম্পা, নয়নতারা, আকন্দ, আতা, শরীফা।

0
Updated: 1 day ago
অণুচক্রিকার প্রধান কাজ কী?
Created: 9 hours ago
A
রক্তরস তৈরি
B
রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করা
C
রোগ প্রতিরোধ
D
অক্সিজেন পরিবহন
রক্ত ঘন লাল রঙের এক ধরনের তরল পদার্থ যা একটি তরল যোজক টিস্যু হিসেবে কাজ করে। এর স্বাদ সামান্য ক্ষারধর্মী। রক্ত প্রধানত দুইটি উপাদান দিয়ে গঠিত— রক্তরস ও রক্তকণিকা।
রক্তকণিকা তিন প্রকারের হয়।
ক. লোহিত রক্তকণিকা (RBC)
-
রক্তের লাল রঙের জন্য লোহিত রক্তকণিকা দায়ী, কারণ এতে হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্জক পদার্থ থাকে।
-
হিমোগ্লোবিনের সাথে অক্সিজেন যুক্ত হয়ে তা দেহকোষে পৌঁছে দেয়।
-
এর আকার চাকতির মতো গোলাকার ও উভঅবতল (দুই পৃষ্ঠে খাদযুক্ত)।
-
পরিণত লোহিত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস অনুপস্থিত।
-
এগুলো যকৃত ও অস্থিমজ্জায় তৈরি হয়।
খ. শ্বেত রক্তকণিকা (WBC)
-
আকারে লোহিত রক্তকণিকার তুলনায় বড়ো ও অনিয়মিত আকারের।
-
এতে নিউক্লিয়াস বিদ্যমান এবং এগুলো প্লীহা ও অস্থিমজ্জায় তৈরি হয়।
-
এরা রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করে দেহকে সুরক্ষা দেয়।
-
দেহকে রক্ষা করার কারণে শ্বেত রক্তকণিকাকে সৈনিকের সাথে তুলনা করা হয়।
গ. অণুচক্রিকা (Platelet)
-
আকারে লোহিত রক্তকণিকার চেয়ে ছোটো, দেখতে গোলাকার বা বৃত্তাকার।
-
এদের নিউক্লিয়াস থাকে না এবং সাধারণত গুচ্ছাকারে অবস্থান করে।
-
উৎপত্তি হয় লোহিত অস্থিমজ্জায়।
-
দেহের কোনো অংশ কেটে গেলে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। তাই এদের প্লেটলেট বলা হয়।
অতিরিক্ত তথ্য: একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতি ঘনমিলিমিটার রক্তে গড়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ লোহিত রক্তকণিকা, ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার শ্বেত রক্তকণিকা এবং ২ লাখ থেকে ৪ লাখ অণুচক্রিকা থাকে।

0
Updated: 9 hours ago
ইউরেনিয়ামে নিউট্রন দ্বারা আঘাত করলে কোন শক্তির রূপান্তর ঘটে?
Created: 9 hours ago
A
শব্দ শক্তি → যান্ত্রিক শক্তি
B
তাপ শক্তি → চৌম্বক শক্তি
C
যান্ত্রিক শক্তি → পারমাণবিক শক্তি
D
রাসায়নিক শক্তি → তাপ শক্তি
প্রকৃতিতে নানা প্রকার শক্তি বিদ্যমান এবং এ শক্তিগুলো একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। এক ধরনের শক্তি অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে, একেই শক্তির রূপান্তর বলা হয়। নিচে শক্তির রূপান্তরের কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে তাপ ও আলোক শক্তি: বৈদ্যুতিক বাল্বের ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে ফিলামেন্টে বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে তা উত্তপ্ত হয় এবং আলো নির্গত করে। এখানে বিদ্যুৎ শক্তি → তাপ শক্তি → আলোক শক্তি।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে যান্ত্রিক শক্তি: বৈদ্যুতিক পাখা চলার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
-
রাসায়নিক শক্তি থেকে তাপ শক্তি: কয়লা বা জ্বালানি পোড়ালে তাপ উৎপন্ন হয়। এটি রাসায়নিক শক্তির তাপ শক্তিতে রূপান্তরের উদাহরণ।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে শব্দ শক্তি: বৈদ্যুতিক ঘণ্টা বাজলে বিদ্যুৎ শক্তি শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে চুম্বক শক্তি: লোহার উপর তামার তার পেঁচিয়ে তাতে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে লোহাটি চুম্বকে পরিণত হয়।
-
তাপ শক্তি থেকে বিদ্যুৎ শক্তি: কয়লা বা জ্বালানি পুড়িয়ে তাপ উৎপন্ন করে পানি বাষ্পে পরিণত করা হয়। এ বাষ্প টারবাইন ঘুরিয়ে ডায়নামো চালায় এবং বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
-
আলোক শক্তি থেকে রাসায়নিক শক্তি: ফটোগ্রাফিক ফিল্মে আলো পড়লে রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে চিত্র তৈরি হয়।
-
যান্ত্রিক শক্তি থেকে পারমাণবিক শক্তি: ইউরেনিয়ামের নিউক্লিয়াস নিউট্রন দিয়ে আঘাত করলে তা ভেঙে বিপুল পরিমাণ পারমাণবিক শক্তি উৎপন্ন করে।
অতিরিক্ত তথ্য: দৈনন্দিন জীবনে শক্তির রূপান্তর খুবই সাধারণ ঘটনা। যেমন, খাবারের রাসায়নিক শক্তি আমাদের শরীরে যান্ত্রিক ও তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়, আবার সৌরশক্তি উদ্ভিদের মধ্যে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তিতে রূপ নেয়।

0
Updated: 9 hours ago