নিচের কোন ধাতুটি চুম্বক দ্বারা আকর্ষিত হয় না?
A
নিকেল
B
তামা
C
লোহা
D
কোবাল্ট
উত্তরের বিবরণ
চৌম্বক পদার্থ:
- যে সকল পদার্থকেই চুম্বক আকর্ষণ করে তাদেরকে চৌম্বক পদার্থ বলে।
যেমন- লোহা, নিকেল, কোবাল্ট এবং অধিকাংশ ইস্পাতকে আকর্ষণ করে তাই এই পদার্থগুলোকে চৌম্বক পদার্থ বলে।
অচৌম্বক পদার্থ:
- যে সকল পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে না তাদেরকে অচৌম্বক পদার্থ বলে।
যেমন- তামা, অ্যালুমিনিয়াম, পিতল, কাঠ, রৌপ্য, প্লাস্টিক ইত্যাদি পদার্থগুলোকে আকর্ষণ করে না তাই এই পদার্থগুলোকে অচৌম্বক পদার্থ বলে।

0
Updated: 9 hours ago
জারণ প্রক্রিয়ায় কী ঘটে?
Created: 1 day ago
A
প্রোটনের দান
B
ইলেকট্রনের গ্রহণ
C
নিউট্রনের দান
D
ইলেকট্রনের দান
রসায়নে বিক্রিয়াগুলিকে সাধারণভাবে রেডক্স বিক্রিয়া এবং নন-রেডক্স বিক্রিয়া– এই দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। এদের মূল পার্থক্য হলো ইলেকট্রনের স্থানান্তর ঘটে কি না।
রেডক্স বিক্রিয়া:
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় ইলেকট্রনের দান ও গ্রহণ ঘটে।
-
এই ধরনের বিক্রিয়াকে রেডক্স (Redox) বিক্রিয়া বলা হয়।
-
শব্দটি গঠিত হয়েছে:
-
Red = Reduction (বিজারণ)
-
Ox = Oxidation (জারণ)
-
-
সুতরাং, Redox অর্থ জারণ-বিজারণ।
-
বিজারণ প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনের গ্রহণ ঘটে।
-
জারণ প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনের দান ঘটে।
-
এসব বিক্রিয়ায় মৌলের জারণ সংখ্যার পরিবর্তন ঘটে।
-
সকল জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া ইলেকট্রনের স্থানান্তরের মাধ্যমেই সংঘটিত হয়।
-
ইলেকট্রনের স্থানান্তরের মাধ্যমে সংঘটিত বিক্রিয়ার ধরন:
-
সংযোজন বিক্রিয়া
-
বিয়োজন বিক্রিয়া
-
প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
-
দহন বিক্রিয়া
-
নন-রেডক্স বিক্রিয়া:
-
এ ক্ষেত্রে বিক্রিয়ার সময় মৌলের পরমাণুতে ইলেকট্রনের দান বা গ্রহণ ঘটে না।
-
যখন এক বা একাধিক বিক্রিয়ক উৎপাদে পরিণত হয় কিন্তু তাতে কোনো মৌলের পরমাণুর ইলেকট্রন স্থানান্তর হয় না, তখন তাকে নন-রেডক্স বিক্রিয়া বলে।
-
এর ফলে বিক্রিয়া শেষে কোনো বিক্রিয়ক বা উৎপাদের পরমাণুর জারণ সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকে।
-
নন-রেডক্স বিক্রিয়াকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়:
-
প্রশমন বিক্রিয়া
-
অধঃক্ষেপ বিক্রিয়া
-

0
Updated: 1 day ago
ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে কী পরিবর্তন করা হয়?
Created: 9 hours ago
A
যান্ত্রিক শক্তি
B
বিভব শক্তি
C
বিভব পার্থক্য
D
তড়িৎ শক্তি
ট্রান্সফরমার (Transformer):
- ট্রান্সফরমার একটি তড়িৎ যন্ত্র, এটি পরিবর্তি প্রবাহে কাজ করে।
- এই যন্ত্রটি তাড়িতচৌম্বক আবেশের উপর ভিত্তি করে কাজ করে।
- এখানে মূলতঃ দুটি কুণ্ডলী থাকে। কুণ্ডলী দুটিকে একটি আয়তাকার কাঁচা লোহার মজ্জা বা কোরের উপর সারিবদ্ধভাবে জড়ানো হয় যেন অধিক পরিমান চৌম্বক বল রেখার সৃষ্টি হয়।
- একটি কুণ্ডলীতে পরিবর্তি প্রবাহ করে অপর কুণ্ডলীতে আবিষ্ট তড়িচ্চালক শক্তি সৃষ্টি করাই এর মূল কাজ।
- এই যন্ত্র উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে বা নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে রূপান্তর করে, কিন্তু শক্তির পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকে। ফলে বিভব বৃদ্ধি করলে তড়িৎ প্রবাহ হ্রাস পায় এবং বিভব হ্রাস করলে তড়িৎ প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।
- যে যন্ত্র পর্যাবৃত্ত উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে বা
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 9 hours ago
পরমাণুর কেন্দ্রে কোন কণিকাগুলো থাকে?
Created: 1 day ago
A
প্রোটন ও নিউট্রন
B
ইলেকট্রন ও প্রোটন
C
ইলেকট্রন ও নিউট্রন
D
ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন
মৌলিক কণিকা
যে সূক্ষ্ম কণিকাগুলি দ্বারা পরমাণু গঠিত, তাদেরকে মৌলিক কণিকা বলা হয়। প্রতিটি পরমাণুতে তিনটি মৌলিক কণিকা থাকে:
-
ইলেকট্রন
-
প্রোটন
-
নিউট্রন
পরমাণুর কেন্দ্রে নিউক্লিয়াস থাকে, এবং নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন অবস্থান করে।
ইলেকট্রন:
-
পরমাণুর ক্ষুদ্রতম কণিকা।
-
সকল মৌলের পরমাণুর সাধারণ উপাদান।
-
হাইড্রোজেন পরমাণুর তুলনায় প্রায় ১৮৪০ গুণ হালকা।
-
একক ঋণাত্মক তড়িৎধর্মী কণা।
প্রোটন:
-
সকল মৌলের পরমাণুর একটি সাধারণ মূল কণিকা।
-
পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থান করে।
-
হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে একটি ইলেকট্রন অপসারণ করলে যে ধনাত্মক কণা পাওয়া যায়, তাকে প্রোটন বলা হয়।
-
ভর প্রায় হাইড্রোজেন পরমাণুর ভরের সমান।
নিউট্রন:
-
আধানহীন বা চার্জ-নিরপেক্ষ কণা।
-
১৯৩২ সালে বিজ্ঞানী চ্যাডউইক আবিষ্কার করেন।
-
ভর প্রায় প্রোটনের সমান।
-
একমাত্র হাইড্রোজেন পরমাণু ছাড়া সকল পরমাণুর নিউক্লিয়াসে বিদ্যমান।

0
Updated: 1 day ago