শ্বেত-কণিকা বৃদ্ধিজনিত রক্তাল্পতা নিরাময়ে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কোনটি?
A
কোবাল্ট-৬০
B
কার্বন-১৪
C
ফসফরাস-৩২
D
আয়োডিন-১৩১
উত্তরের বিবরণ
তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রায় সব শাখায় বহুল ব্যবহৃত হয়। এগুলোর ব্যবহার গবেষণা, চিকিৎসা, কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এর প্রধান কয়েকটি ব্যবহার তুলে ধরা হলো।
-
খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে
-
কৃষিজাত ও অন্যান্য পচনশীল খাদ্যদ্রব্য দীর্ঘ সময় সংরক্ষণের জন্য তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ব্যবহার করা হয়।
-
খাদ্যদ্রব্য বেশি দিন ঘরে বা গুদামে রাখলে তা ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা পোকামাকড়ের আক্রমণে নষ্ট হতে পারে।
-
তেজস্ক্রিয় বিকিরণ প্রয়োগ করলে এসব ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়।
-
বিশেষভাবে কোবাল্ট-৬০ (⁶⁰Co) থেকে নির্গত গামা রশ্মি ব্যবহার করে খাদ্যদ্রব্যকে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা হয়।
-
-
চিকিৎসাক্ষেত্রে
-
ক্যান্সার টিউমার নির্ণয় ও ধ্বংসের জন্য কোবাল্ট-৬০ এর গামা রশ্মি ব্যবহার করা হয়।
-
আয়োডিন-১৩১ (¹³¹I) থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
-
ফসফরাস-৩২ (³²P) শ্বেত রক্তকণিকার অতিবৃদ্ধিজনিত রোগ (রক্তাল্পতা বা ব্লাড-লিউকেমিয়া) চিকিৎসায় কাজে লাগে।
-
টেকনেসিয়াম-৯৯m (⁹⁹ᵐTc) হাড়ের অস্বাভাবিকতা, ব্যথার কারণ ও স্থান নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
-
প্লুটোনিয়াম-২৩৮ (²³⁸Pu) হার্টে পেসমেকার বসাতে ব্যবহৃত হয়।
-
-
গবেষণা ও জীববিজ্ঞানে
-
উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও পুষ্টি উপাদান শোষণের পর্যবেক্ষণে ফসফরাস-৩২ (³²P) ব্যবহৃত হয়।
-
ফসফরাস-৩২, কার্বন-১৪ (¹⁴C) এবং অন্যান্য আইসোটোপ ব্যবহার করে DNA ও RNA-এর গঠন ও বিকাশ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।
-
-
শিল্প ও প্রযুক্তিতে
-
পৃথিবীর বয়স নির্ধারণে কার্বন-১৪ (¹⁴C) ব্যবহৃত হয়।
-
কীটপতঙ্গ দমন, ধাতব পাতের পুরুত্ব নির্ধারণ, পাইপলাইনের ছিদ্র অনুসন্ধানসহ বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।
-
অতিরিক্ত তথ্য: চিকিৎসা ক্ষেত্রে বর্তমানে PET Scan (Positron Emission Tomography) ও SPECT Scan-এ বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহৃত হচ্ছে, যা রোগ নির্ণয়ে অত্যন্ত কার্যকর।
0
Updated: 1 month ago
বায়োগ্যাসের প্রধান উপাদান কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ইথেন
B
নাইট্রোজেন
C
হাইড্রোজেন সালফাইড
D
মিথেন
বায়োগ্যাসের উপাদান:
-
মিথেন (CH₄): প্রধান এবং দাহ্য উপাদান, মোট গ্যাসের ৫০–৭৫%।
-
কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂): দ্বিতীয় বৃহত্তম উপাদান।
-
অন্যান্য গ্যাস: হাইড্রোজেন সালফাইড (H₂S), নাইট্রোজেন (N₂) খুবই অল্প পরিমাণে।
উৎপাদন প্রক্রিয়া:
-
বায়োগ্যাস উৎপাদন করা যায় প্রাণী ও উদ্ভিদের বর্জ্য (গোবর, মলমূত্র, পাতা, খড়কুটো) থেকে।
-
পদার্থগুলো পানিতে মিশিয়ে বাতাস অপ্রবেশ্য করলে ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে গাজন (fermentation) প্রক্রিয়ায় দাহ্য গ্যাস তৈরি হয়।
ব্যবহার:
-
পরিবেশবান্ধব ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি।
-
জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতাকে কমায়।
0
Updated: 1 month ago
'শ্বসন ও সালোকসংশ্লেষণ' জীববিজ্ঞানের কোন শাখায় আলোচনা করা হয়?
Created: 1 month ago
A
সাইটোলজি
B
এমব্রায়োলজি
C
ফিজিওলজি
D
মরফোলজি
জীববিজ্ঞানের বিশেষ শাখা হলো জীববিজ্ঞানের সেই শাখাগুলি যা জীবের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে। প্রধান শাখাগুলি হলো:
-
অঙ্গসংস্থান (Morphology):
-
জীবের গঠন বৈশিষ্ট্য এবং আকার নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
-
শ্রেণিবিন্যাস (Classification বা Taxonomy):
-
জীবজগৎকে বোঝার সুবিধার জন্য বিভিন্ন দল-উপদলে ভাগ করা হয়।
-
প্রতিটি জীব প্রজাতি একটি গণ, গোত্র, বর্গ এবং শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
-
শারীরবিদ্যা (Physiology):
-
জীবের শ্বসন, রেচন, প্রজনন, পরিপাক, আত্তীকরণ এবং সবুজ উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষণসহ অন্যান্য জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া আলোচনা করা হয়।
-
-
ভ্রূণবিদ্যা (Embryology):
-
ভ্রূণ গঠন ও বিকাশের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ জীবের সৃষ্টি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
-
কোষবিদ্যা (Cytology):
-
কোষ হলো জীবদেহের গঠন ও কার্যকারিতার একক।
-
কোষ এবং কোষাঙ্গাণুর গঠন, কার্যকারিতা ও বিভাজন বিষয়ক আলোচনা এই শাখায় হয়।
-
-
বংশগতিবিদ্যা (Genetics):
-
মাতা-পিতার বৈশিষ্ট্য সন্তানে কিভাবে স্থানান্তরিত হয় তা বিশ্লেষণ করা হয়।
-
-
বাস্তুবিদ্যা (Ecology):
-
জীবসমূহ যে পরিবেশে বাস করে এবং সেই পরিবেশের সঙ্গে তাদের আন্তঃসম্পর্কের বিষয় আলোচনা করা হয়।
-
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন কণিকা বৈদ্যুতিকভাবে নিরপেক্ষ বা চার্জবিহীন?
Created: 1 month ago
A
প্রোটন
B
ইলেকট্রন
C
নিউট্রন
D
আলফা কণা
নিউট্রন হলো একটি নিরপেক্ষ কণিকা, যা কোনো ধনাত্মক বা ঋণাত্মক চার্জ বহন করে না। এটি একমাত্র চার্জবিহীন কণিকা।
মৌলিক কণিকা:
-
যে সব সূক্ষ্ম কণিকা দ্বারা পরমাণু গঠিত, তাদেরকে মৌলিক কণিকা বলা হয়।
-
পরমাণুর মধ্যে তিনটি মৌলিক কণিকা থাকে: ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন।
নিউট্রন সম্পর্কিত তথ্য:
-
১৯৩২ সালে বিজ্ঞানী চ্যাডউইক নিউট্রন আবিষ্কার করেন।
-
নিউট্রন আধানহীন বা চার্জ নিরপেক্ষ কণা।
-
এর ভর প্রায় প্রোটনের সমান।
-
একমাত্র হাইড্রোজেন পরমাণু ছাড়া সকল পরমাণুর নিউক্লিয়াসে নিউট্রন বিদ্যমান।
-
নিউট্রনের প্রতীক: n
-
নিউট্রনের আসল ভর: 1.675×10⁻²⁴ g
-
আপেক্ষিক আধান: শূন্য
অন্যান্য কণিকা:
-
প্রোটন (ক): ধনাত্মক (+) চার্জযুক্ত কণিকা।
-
ইলেকট্রন (খ): ঋণাত্মক (–) চার্জযুক্ত কণিকা।
-
আলফা কণা (ঘ): ২টি প্রোটন ও ২টি নিউট্রন নিয়ে গঠিত, তাই নিট চার্জ +2।
0
Updated: 1 month ago