তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্যের একটি উদাহরণ নয় কোনটি?
A
ইথানয়িক এসিড
B
সালফিউরিক এসিড
C
সোডিয়াম ক্লোরাইড
D
কপার সালফেট
উত্তরের বিবরণ
তড়িৎ বিশ্লেষ্য হলো এমন পদার্থ যা কঠিন অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবাহিতা প্রদর্শন করে না, কিন্তু গলিত বা জলে দ্রবীভূত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবাহিতা প্রদর্শন করে এবং এর সাথে সাথে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। এ ধরনের পদার্থ আয়নে বিভক্ত থাকে এবং ঐ আয়নের মাধ্যমেই বিদ্যুৎ পরিবাহিতা ঘটে।
-
তড়িৎ বিশ্লেষ্য সাধারণত আয়নিক যৌগ অথবা কিছু পোলার সমযোজী যৌগ, যা গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় আয়নিত হয়ে বিদ্যুৎ পরিবাহিতা করে।
-
উদাহরণ: সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl), কপার সালফেট (CuSO₄), সালফিউরিক এসিড (H₂SO₄), ইথানয়িক এসিড (CH₃COOH)।
তড়িৎ বিশ্লেষ্য দুই প্রকার।
১। তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য
-
দ্রবণে বা গলিত অবস্থায় সম্পূর্ণরূপে আয়নিত হয়।
-
এগুলো বিদ্যুৎ পরিবহণে খুবই কার্যকর।
-
উদাহরণ: সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl), কপার সালফেট (CuSO₄), সালফিউরিক এসিড (H₂SO₄)।
২। মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য
-
দ্রবণে খুব অল্প পরিমাণে আয়নিত হয়।
-
এরা বিদ্যুৎ পরিবাহিতা করে, তবে তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্যের তুলনায় অনেক দুর্বল।
-
উদাহরণ: অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NH₄OH), ইথানয়িক এসিড (CH₃COOH)।
অতিরিক্ত তথ্য: তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে তড়িৎ বিশ্লেষণ (Electrolysis) প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন মৌল বা যৌগে ভেঙে যায়। যেমন, সোডিয়াম ক্লোরাইড দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণে সোডিয়াম ও ক্লোরিন গ্যাস পাওয়া যায়।

0
Updated: 9 hours ago
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র অংশবিশেষকে বাংলায় কী বলা হয়?
Created: 1 day ago
A
ছায়াপথ
B
ধূমকেতু
C
উল্কাপিন্ড
D
নক্ষত্রমালা
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ও সৌরজগত:
সুদূর আকাশে বায়বীয় পদার্থ এবং গ্যাসপূর্ণ স্বল্পআলোকিত মেঘের মতো আস্তরণকে গ্যালাক্সি বলা হয়। আমাদের সৌরজগত হলো মিল্কিওয়ে (Milky Way) গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র অংশ, যা বাংলায় ছায়াপথ নামে পরিচিত। এই ছায়াপথটি অসংখ্য গ্রহ ও নক্ষত্রের সমন্বয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত।
ধূমকেতু (Comet):
-
ধূমকেতু হলো এক ধরনের জ্যোতিষ্ক।
-
এর দুটি প্রধান অংশ রয়েছে: মস্তক (Head) বা কেন্দ্র এবং পুচ্ছ (Tail)।
-
কোনো কোনো ধূমকেতুর মস্তক গ্রহের তুলনায় বড় হতে পারে।
-
ধূমকেতুর সুদীর্ঘ পুচ্ছ গ্যাসীয় পদার্থ দ্বারা গঠিত।
-
অধিকাংশ ধূমকেতু উপবৃত্তাকার কক্ষপথে গ্রহসমূহের আবর্তন পথের উল্টো দিকে চলে।
-
উদাহরণ: হ্যালির ধূমকেতু (Halley's Comet) প্রতি ৭৬ বছর অন্তর পৃথিবীর আকাশে দৃশ্যমান হয়।
উল্কা ও উল্কাপিন্ড (Meteors & Meteoroids):
-
উল্কা হলো মহাশূন্যে বিচরণরত ক্ষুদ্রাকৃতি কঠিন বস্তু।
-
ক্ষুদ্র উল্কাপিন্ড যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে এবং বাতাসের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রজ্জ্বলিত হয়, তখন এটি উল্কাবৃষ্টি তৈরি করে।
-
যদি উল্কা ধ্বংসপ্রাপ্ত না হয় এবং পৃথিবীর পৃষ্ঠে পতিত হয়, তাকে উল্কাপিন্ড বলা হয়।
-
১৯০৮ সালে সাইবেরিয়ায় একটি উল্কাপিন্ড পতনের কারণে বনভূমির ব্যাপক এলাকা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল।

0
Updated: 1 day ago
'শ্বসন ও সালোকসংশ্লেষণ' জীববিজ্ঞানের কোন শাখায় আলোচনা করা হয়?
Created: 1 week ago
A
সাইটোলজি
B
এমব্রায়োলজি
C
ফিজিওলজি
D
মরফোলজি
জীববিজ্ঞানের বিশেষ শাখা হলো জীববিজ্ঞানের সেই শাখাগুলি যা জীবের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে। প্রধান শাখাগুলি হলো:
-
অঙ্গসংস্থান (Morphology):
-
জীবের গঠন বৈশিষ্ট্য এবং আকার নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
-
শ্রেণিবিন্যাস (Classification বা Taxonomy):
-
জীবজগৎকে বোঝার সুবিধার জন্য বিভিন্ন দল-উপদলে ভাগ করা হয়।
-
প্রতিটি জীব প্রজাতি একটি গণ, গোত্র, বর্গ এবং শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
-
শারীরবিদ্যা (Physiology):
-
জীবের শ্বসন, রেচন, প্রজনন, পরিপাক, আত্তীকরণ এবং সবুজ উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষণসহ অন্যান্য জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া আলোচনা করা হয়।
-
-
ভ্রূণবিদ্যা (Embryology):
-
ভ্রূণ গঠন ও বিকাশের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ জীবের সৃষ্টি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
-
কোষবিদ্যা (Cytology):
-
কোষ হলো জীবদেহের গঠন ও কার্যকারিতার একক।
-
কোষ এবং কোষাঙ্গাণুর গঠন, কার্যকারিতা ও বিভাজন বিষয়ক আলোচনা এই শাখায় হয়।
-
-
বংশগতিবিদ্যা (Genetics):
-
মাতা-পিতার বৈশিষ্ট্য সন্তানে কিভাবে স্থানান্তরিত হয় তা বিশ্লেষণ করা হয়।
-
-
বাস্তুবিদ্যা (Ecology):
-
জীবসমূহ যে পরিবেশে বাস করে এবং সেই পরিবেশের সঙ্গে তাদের আন্তঃসম্পর্কের বিষয় আলোচনা করা হয়।
-

0
Updated: 1 week ago
শ্বেত-কণিকা বৃদ্ধিজনিত রক্তাল্পতা নিরাময়ে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কোনটি?
Created: 9 hours ago
A
কোবাল্ট-৬০
B
কার্বন-১৪
C
ফসফরাস-৩২
D
আয়োডিন-১৩১
তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রায় সব শাখায় বহুল ব্যবহৃত হয়। এগুলোর ব্যবহার গবেষণা, চিকিৎসা, কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এর প্রধান কয়েকটি ব্যবহার তুলে ধরা হলো।
-
খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে
-
কৃষিজাত ও অন্যান্য পচনশীল খাদ্যদ্রব্য দীর্ঘ সময় সংরক্ষণের জন্য তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ব্যবহার করা হয়।
-
খাদ্যদ্রব্য বেশি দিন ঘরে বা গুদামে রাখলে তা ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা পোকামাকড়ের আক্রমণে নষ্ট হতে পারে।
-
তেজস্ক্রিয় বিকিরণ প্রয়োগ করলে এসব ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়।
-
বিশেষভাবে কোবাল্ট-৬০ (⁶⁰Co) থেকে নির্গত গামা রশ্মি ব্যবহার করে খাদ্যদ্রব্যকে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা হয়।
-
-
চিকিৎসাক্ষেত্রে
-
ক্যান্সার টিউমার নির্ণয় ও ধ্বংসের জন্য কোবাল্ট-৬০ এর গামা রশ্মি ব্যবহার করা হয়।
-
আয়োডিন-১৩১ (¹³¹I) থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
-
ফসফরাস-৩২ (³²P) শ্বেত রক্তকণিকার অতিবৃদ্ধিজনিত রোগ (রক্তাল্পতা বা ব্লাড-লিউকেমিয়া) চিকিৎসায় কাজে লাগে।
-
টেকনেসিয়াম-৯৯m (⁹⁹ᵐTc) হাড়ের অস্বাভাবিকতা, ব্যথার কারণ ও স্থান নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
-
প্লুটোনিয়াম-২৩৮ (²³⁸Pu) হার্টে পেসমেকার বসাতে ব্যবহৃত হয়।
-
-
গবেষণা ও জীববিজ্ঞানে
-
উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও পুষ্টি উপাদান শোষণের পর্যবেক্ষণে ফসফরাস-৩২ (³²P) ব্যবহৃত হয়।
-
ফসফরাস-৩২, কার্বন-১৪ (¹⁴C) এবং অন্যান্য আইসোটোপ ব্যবহার করে DNA ও RNA-এর গঠন ও বিকাশ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।
-
-
শিল্প ও প্রযুক্তিতে
-
পৃথিবীর বয়স নির্ধারণে কার্বন-১৪ (¹⁴C) ব্যবহৃত হয়।
-
কীটপতঙ্গ দমন, ধাতব পাতের পুরুত্ব নির্ধারণ, পাইপলাইনের ছিদ্র অনুসন্ধানসহ বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।
-
অতিরিক্ত তথ্য: চিকিৎসা ক্ষেত্রে বর্তমানে PET Scan (Positron Emission Tomography) ও SPECT Scan-এ বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহৃত হচ্ছে, যা রোগ নির্ণয়ে অত্যন্ত কার্যকর।

0
Updated: 9 hours ago