মানুষের চোখের লেন্স হলো একটি দ্বি-উত্তল লেন্স, যা উভয় দিকেই উত্তল আকৃতির এবং আলোকরশ্মিকে রেটিনার উপর ফোকাস করতে সাহায্য করে, ফলে আমরা স্পষ্ট প্রতিবিম্ব দেখতে পাই।
-
দ্বি-উত্তল লেন্স: এটি উভয় পৃষ্ঠেই উত্তল বা বক্রাকার লেন্স, যা একটি অভিসারী (converging) লেন্স হিসেবে কাজ করে। সমান্তরাল আলোকরশ্মি মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর ফোকাস বিন্দুতে মিলিত হয়। সাধারণত এটি বাস্তব (real) ও উল্টো (inverted) প্রতিবিম্ব তৈরি করে। রেটিনায় সৃষ্ট উল্টো প্রতিবিম্বের তথ্য অপটিক স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছায়, যা মস্তিষ্ক সোজা করে দেখা যায়।
-
চোখে দ্বি-উত্তল লেন্সের কার্যকারিতা: চোখের লেন্স প্রাকৃতিক, নমনীয় ও স্বচ্ছ। এটি বিভিন্ন দূরত্বের বস্তু থেকে আসা আলোকরশ্মিকে রেটিনায় সঠিকভাবে ফোকাস করে, ফলে স্পষ্ট প্রতিবিম্ব তৈরি হয়।
-
উপযোজন (Accommodation) প্রক্রিয়া:
-
চোখের লেন্সের এই ক্ষমতা সিলিয়ারি পেশী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
-
দূরের বস্তু দেখার জন্য লেন্স পাতলা হয়, ফলে ফোকাস দূরত্ব বৃদ্ধি পায়।
-
কাছের বস্তু দেখার সময় লেন্স মোটা হয়, ফলে ফোকাস দূরত্ব কমে যায়।
-
এই পরিবর্তন প্রক্রিয়াটিকে উপযোজন বলা হয়।
-
উল্লেখ্য:
-
উত্তল: লেন্সের সাধারণ ধরন, কিন্তু চোখের লেন্সের সবচেয়ে নিখুঁত ধরণ হলো দ্বি-উত্তল।
-
অবতল: অপসারী লেন্স, সাধারণত চশমায় ব্যবহৃত হয়, চোখে নয়।
-
দ্বি-অবতল: অবতল লেন্সের একটি প্রকার, চশমা ও বিশেষ আলোক যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়।