ইউরেনিয়ামে নিউট্রন দ্বারা আঘাত করলে কোন শক্তির রূপান্তর ঘটে?
A
শব্দ শক্তি → যান্ত্রিক শক্তি
B
তাপ শক্তি → চৌম্বক শক্তি
C
যান্ত্রিক শক্তি → পারমাণবিক শক্তি
D
রাসায়নিক শক্তি → তাপ শক্তি
উত্তরের বিবরণ
প্রকৃতিতে নানা প্রকার শক্তি বিদ্যমান এবং এ শক্তিগুলো একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। এক ধরনের শক্তি অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে, একেই শক্তির রূপান্তর বলা হয়। নিচে শক্তির রূপান্তরের কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে তাপ ও আলোক শক্তি: বৈদ্যুতিক বাল্বের ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে ফিলামেন্টে বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে তা উত্তপ্ত হয় এবং আলো নির্গত করে। এখানে বিদ্যুৎ শক্তি → তাপ শক্তি → আলোক শক্তি।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে যান্ত্রিক শক্তি: বৈদ্যুতিক পাখা চলার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
-
রাসায়নিক শক্তি থেকে তাপ শক্তি: কয়লা বা জ্বালানি পোড়ালে তাপ উৎপন্ন হয়। এটি রাসায়নিক শক্তির তাপ শক্তিতে রূপান্তরের উদাহরণ।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে শব্দ শক্তি: বৈদ্যুতিক ঘণ্টা বাজলে বিদ্যুৎ শক্তি শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে চুম্বক শক্তি: লোহার উপর তামার তার পেঁচিয়ে তাতে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে লোহাটি চুম্বকে পরিণত হয়।
-
তাপ শক্তি থেকে বিদ্যুৎ শক্তি: কয়লা বা জ্বালানি পুড়িয়ে তাপ উৎপন্ন করে পানি বাষ্পে পরিণত করা হয়। এ বাষ্প টারবাইন ঘুরিয়ে ডায়নামো চালায় এবং বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
-
আলোক শক্তি থেকে রাসায়নিক শক্তি: ফটোগ্রাফিক ফিল্মে আলো পড়লে রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে চিত্র তৈরি হয়।
-
যান্ত্রিক শক্তি থেকে পারমাণবিক শক্তি: ইউরেনিয়ামের নিউক্লিয়াস নিউট্রন দিয়ে আঘাত করলে তা ভেঙে বিপুল পরিমাণ পারমাণবিক শক্তি উৎপন্ন করে।
অতিরিক্ত তথ্য: দৈনন্দিন জীবনে শক্তির রূপান্তর খুবই সাধারণ ঘটনা। যেমন, খাবারের রাসায়নিক শক্তি আমাদের শরীরে যান্ত্রিক ও তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়, আবার সৌরশক্তি উদ্ভিদের মধ্যে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তিতে রূপ নেয়।
0
Updated: 1 month ago
ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে কী পরিবর্তন করা হয়?
Created: 1 month ago
A
যান্ত্রিক শক্তি
B
বিভব শক্তি
C
বিভব পার্থক্য
D
তড়িৎ শক্তি
ট্রান্সফরমার (Transformer):
-
ট্রান্সফরমার হলো একটি তড়িৎ যন্ত্র, যা পরিবর্তি প্রবাহ (AC)-এ কাজ করে।
-
এটি তাড়িত-চৌম্বক আবেশ (electromagnetic induction) এর উপর ভিত্তি করে কাজ করে।
-
ট্রান্সফরমারের মূল অংশে দুটি কুণ্ডলী (coils) থাকে, যা একটি আয়তাকার কাঁচা লোহার কোরের (iron core) উপর সারিবদ্ধভাবে মোড়ানো থাকে, যাতে অধিক পরিমাণ চৌম্বক বলরেখা তৈরি হয়।
-
একটি কুণ্ডলীতে পরিবর্তি প্রবাহ চললে অপর কুণ্ডলীতে তড়িচ্চালক শক্তি (induced EMF) সৃষ্টি হয়।
মূল কাজ:
-
ট্রান্সফরমার উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে বা নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে রূপান্তর করতে পারে, কিন্তু শক্তির পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকে।
-
বিভব বৃদ্ধি করলে তড়িৎ প্রবাহ হ্রাস পায়, আর বিভব হ্রাস করলে তড়িৎ প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।
-
এটি বিদ্যুৎ শক্তি পরিবহনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ উচ্চ বিভবে শক্তি পাঠানো হয় কম ক্ষয় নিশ্চিত করতে।
-
সংক্ষেপে: ট্রান্সফরমার বিভব পরিবর্তন করে, শক্তি অপরিবর্তিত রেখে, তড়িৎ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
0
Updated: 1 month ago
মানবদেহে অক্সিজেন পরিবহনের কাজ কোন রক্তকণিকা করে?
Created: 1 month ago
A
শ্বেত রক্তকণিকা
B
অণুচক্রিকা
C
লোহিত রক্তকণিকা
D
প্লাজমা
লোহিত রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন নামক প্রোটিন থাকে, যা অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ও কোষে অক্সিজেন পৌঁছে দেয় এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে ফুসফুসে ফিরিয়ে আনে। তাই অক্সিজেন পরিবহনের মূল কাজ লোহিত রক্ত কণিকা (RBC) করে।
রক্ত (Blood):
-
রক্ত একটি অস্বচ্ছ তরল পদার্থ।
-
লোহিত রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন থাকার কারণে রক্তের রং লাল দেখায়।
-
রক্ত হৃদপিণ্ড, শিরা, উপশিরা, ধমনি, শাখা ধমনি ও কৈশিকনালি পথে আবর্তিত হয়।
-
এটি ক্ষারধর্মী এবং লবণাক্ত স্বাদযুক্ত।
-
সাধারণত হাড়ের লাল অস্থিমজ্জা (Bone marrow)-তে রক্ত কণিকার জন্ম হয়।
-
রক্ত মূলত রক্তরস ও রক্ত কণিকার সমন্বয়ে গঠিত।
রক্তের প্রধান কাজ:
-
অক্সিজেন পরিবহন: লোহিত রক্ত কণিকা কোষে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়।
-
কার্বন-ডাই-অক্সাইড অপসারণ: নিঃশ্বাসের মাধ্যমে দেহের CO2 বাইরে বের করা।
-
খাদ্যসার পরিবহন: রক্তরস গ্লুকোজ, অ্যামাইনো অ্যাসিড ও চর্বি কণা কোষে সরবরাহ করে।
-
তাপের সমতা রক্ষা: দেহের সর্বত্র তাপের সমতা বজায় রাখে।
-
বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন: রক্ত দূষিত ও বর্জ্য পদার্থ বহন করে, যা ইউরিয়া, ইউরিক অ্যাসিড ও CO2 হিসেবে নিষ্কাশিত হয়।
-
হরমোন পরিবহন: হরমোন রক্তে মিশে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন অঙ্গে সঞ্চালিত হয়।
-
রোগ প্রতিরোধ: শ্বেত রক্ত কণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবাণুর আক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।
-
রক্ত জমাট বাঁধা: অণুচক্রিকা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এবং রক্তক্ষরণ বন্ধ করে।
0
Updated: 1 month ago
পরমাণুর কেন্দ্রে কোন কণিকাগুলো থাকে?
Created: 1 month ago
A
প্রোটন ও নিউট্রন
B
ইলেকট্রন ও প্রোটন
C
ইলেকট্রন ও নিউট্রন
D
ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন
মৌলিক কণিকা
যে সূক্ষ্ম কণিকাগুলি দ্বারা পরমাণু গঠিত, তাদেরকে মৌলিক কণিকা বলা হয়। প্রতিটি পরমাণুতে তিনটি মৌলিক কণিকা থাকে:
-
ইলেকট্রন
-
প্রোটন
-
নিউট্রন
পরমাণুর কেন্দ্রে নিউক্লিয়াস থাকে, এবং নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন অবস্থান করে।
ইলেকট্রন:
-
পরমাণুর ক্ষুদ্রতম কণিকা।
-
সকল মৌলের পরমাণুর সাধারণ উপাদান।
-
হাইড্রোজেন পরমাণুর তুলনায় প্রায় ১৮৪০ গুণ হালকা।
-
একক ঋণাত্মক তড়িৎধর্মী কণা।
প্রোটন:
-
সকল মৌলের পরমাণুর একটি সাধারণ মূল কণিকা।
-
পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থান করে।
-
হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে একটি ইলেকট্রন অপসারণ করলে যে ধনাত্মক কণা পাওয়া যায়, তাকে প্রোটন বলা হয়।
-
ভর প্রায় হাইড্রোজেন পরমাণুর ভরের সমান।
নিউট্রন:
-
আধানহীন বা চার্জ-নিরপেক্ষ কণা।
-
১৯৩২ সালে বিজ্ঞানী চ্যাডউইক আবিষ্কার করেন।
-
ভর প্রায় প্রোটনের সমান।
-
একমাত্র হাইড্রোজেন পরমাণু ছাড়া সকল পরমাণুর নিউক্লিয়াসে বিদ্যমান।
0
Updated: 1 month ago