দৃশ্যমান আলোর মধ্যে কোন বর্ণের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম?
A
কমলা
B
লাল
C
সবুজ
D
বেগুনি
উত্তরের বিবরণ
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ হলো তাড়িতচৌম্বকীয় বর্ণালির একটি ক্ষুদ্র অংশ, যা মানুষের চোখে দেখা যায়। এটিকে দৃশ্যমান বিকিরণও বলা হয়। এর কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হলো।
-
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিসর 4×10⁻⁷ মিটার থেকে 7×10⁻⁷ মিটার পর্যন্ত।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পার্থক্যের কারণে আলো বিভিন্ন বর্ণে দেখা যায়।
-
এ বর্ণগুলো হলো: বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল।
-
বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম, আর লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি হয়, প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ তত কম হয়।
-
বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম হওয়ায় এর প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ সবচেয়ে বেশি।
-
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় এর প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ সবচেয়ে কম।
অতিরিক্ত তথ্য: মানুষের চোখ সাধারণত 380 nm (3.8×10⁻⁷ মি) থেকে 750 nm (7.5×10⁻⁷ মি) পর্যন্ত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো শনাক্ত করতে পারে। এর বাইরে থাকা অতিবেগুনি ও অবলোহিত তরঙ্গ খালি চোখে দেখা যায় না।

0
Updated: 9 hours ago
নিচের কোন মাধ্যমে শব্দের বেগ সবচেয়ে বেশি?
Created: 1 day ago
A
বায়ু
B
পানি
C
লোহা
D
ভ্যাকুয়াম
শব্দের বেগের পরিবর্তন:
পরীক্ষা থেকে জানা গেছে, আলোর দ্রুতি শূন্যস্থানে সবসময় 3×10⁸ m/s। অন্যদিকে, 0°C বা 273 K তাপমাত্রা এবং প্রমাণ বায়ুচাপে, শুষ্ক বাতাসে শব্দের দ্রুতি 332 m/s।
-
তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে শব্দের দ্রুতি বেড়ে যায়।
-
বাতাসের আর্দ্রতা বৃদ্ধি করলেও শব্দের দ্রুতি বেড়ে যায়।
-
হিসাব অনুযায়ী, প্রতি 1°C বা 1 K তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে শব্দের দ্রুতি প্রায় 0.6 m/s বৃদ্ধি পায়।
-
মাধ্যম ভেদে শব্দের দ্রুতি পরিবর্তিত হয়। মাধ্যম যত ঘন ও স্থিতিস্থাপক, শব্দের দ্রুতি তত বেশি।
-
উদাহরণ:
-
বায়ুতে: 332 m/s
-
পানিতে: 1450 m/s
-
লোহায়: 5220 m/s
-
-
-
বায়বীয় পদার্থে শব্দের দ্রুতি সবচেয়ে কম, তরল পদার্থে বেশি এবং কঠিন পদার্থে সবচেয়ে বেশি।
-
বায়ু চাপের পরিবর্তন শব্দের বেগে প্রভাব ফেলে না।

0
Updated: 1 day ago
শ্বেত-কণিকা বৃদ্ধিজনিত রক্তাল্পতা নিরাময়ে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কোনটি?
Created: 9 hours ago
A
কোবাল্ট-৬০
B
কার্বন-১৪
C
ফসফরাস-৩২
D
আয়োডিন-১৩১
তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রায় সব শাখায় বহুল ব্যবহৃত হয়। এগুলোর ব্যবহার গবেষণা, চিকিৎসা, কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এর প্রধান কয়েকটি ব্যবহার তুলে ধরা হলো।
-
খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে
-
কৃষিজাত ও অন্যান্য পচনশীল খাদ্যদ্রব্য দীর্ঘ সময় সংরক্ষণের জন্য তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ব্যবহার করা হয়।
-
খাদ্যদ্রব্য বেশি দিন ঘরে বা গুদামে রাখলে তা ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা পোকামাকড়ের আক্রমণে নষ্ট হতে পারে।
-
তেজস্ক্রিয় বিকিরণ প্রয়োগ করলে এসব ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়।
-
বিশেষভাবে কোবাল্ট-৬০ (⁶⁰Co) থেকে নির্গত গামা রশ্মি ব্যবহার করে খাদ্যদ্রব্যকে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা হয়।
-
-
চিকিৎসাক্ষেত্রে
-
ক্যান্সার টিউমার নির্ণয় ও ধ্বংসের জন্য কোবাল্ট-৬০ এর গামা রশ্মি ব্যবহার করা হয়।
-
আয়োডিন-১৩১ (¹³¹I) থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
-
ফসফরাস-৩২ (³²P) শ্বেত রক্তকণিকার অতিবৃদ্ধিজনিত রোগ (রক্তাল্পতা বা ব্লাড-লিউকেমিয়া) চিকিৎসায় কাজে লাগে।
-
টেকনেসিয়াম-৯৯m (⁹⁹ᵐTc) হাড়ের অস্বাভাবিকতা, ব্যথার কারণ ও স্থান নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
-
প্লুটোনিয়াম-২৩৮ (²³⁸Pu) হার্টে পেসমেকার বসাতে ব্যবহৃত হয়।
-
-
গবেষণা ও জীববিজ্ঞানে
-
উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও পুষ্টি উপাদান শোষণের পর্যবেক্ষণে ফসফরাস-৩২ (³²P) ব্যবহৃত হয়।
-
ফসফরাস-৩২, কার্বন-১৪ (¹⁴C) এবং অন্যান্য আইসোটোপ ব্যবহার করে DNA ও RNA-এর গঠন ও বিকাশ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।
-
-
শিল্প ও প্রযুক্তিতে
-
পৃথিবীর বয়স নির্ধারণে কার্বন-১৪ (¹⁴C) ব্যবহৃত হয়।
-
কীটপতঙ্গ দমন, ধাতব পাতের পুরুত্ব নির্ধারণ, পাইপলাইনের ছিদ্র অনুসন্ধানসহ বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।
-
অতিরিক্ত তথ্য: চিকিৎসা ক্ষেত্রে বর্তমানে PET Scan (Positron Emission Tomography) ও SPECT Scan-এ বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহৃত হচ্ছে, যা রোগ নির্ণয়ে অত্যন্ত কার্যকর।

0
Updated: 9 hours ago
জোয়ার-ভাটা সংঘটিত হয়-
Created: 9 hours ago
A
পৃথিবীর সাথে সূর্যের আকর্ষণের ফলে
B
পৃথিবীর সাথে গ্রহ নক্ষত্রের আকর্ষণের ফলে
C
গ্রহ-নক্ষত্রের সাথে চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণের ফলে
D
পৃথিবীর সাথে চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণের ফলে
- পৃথিবীর সাথে চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণের ফলে জোয়ার-ভাঁটা সংঘটিত হয়।
জোয়ার-ভাটা:
- মহাকর্ষ শক্তি এবং কেন্দ্রাতিগ শক্তির কারণে সমুদ্রের পানি নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে একই জায়গায় ফুলে ওঠে আবার অন্য সময় নেমে যায়। সমুদ্রের পানির এইরূপ ফুলে ওঠাকে জোয়ার এবং নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে।
- সমুদ্রের একই জায়গায় প্রতিদিন দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাটা সংঘটিত হয়।
- চন্দ্র অপেক্ষা সূর্য ২ কোটি ৬০ লক্ষ গুণ বড় এবং পৃথিবী অপেক্ষা সূর্য প্রায় ১৩ লক্ষ গুণ বড় হলেও পৃথিবী থেকে সূর্য গড়ে প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং পৃথিবী থেকে চন্দ্র গড়ে প্রায় ৩৮.৪ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এ কারণেই পৃথিবীর ওপর চন্দ্রের আকর্ষণ
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 9 hours ago