বাক্যের মধ্যে শব্দ অবস্থান করে কীভাবে?
A
কর্তা ও ক্রিয়ার পদবিন্যাস অনুযায়ী
B
অর্থ ও ভাব অনুযায়ী
C
বর্গ বা গুচ্ছ আকারে
D
স্বাধীন পদের পরিচয় নিয়ে
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর হলো ক) কর্তা ও ক্রিয়ার পদবিন্যাস অনুযায়ী। বাংলায় বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে শব্দের অবস্থান সাধারণত কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া (SOV) নিয়ম মেনে চলে, যা বাক্যের ব্যাকরণগত সঠিকতা ও অর্থ স্পষ্ট করে তোলে।
-
বাংলা বাক্যের মূল বৈশিষ্ট্য: শব্দের বিন্যাস কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া (SOV) অনুসারে হয়।
-
উদাহরণ: “রানা (কর্তা) বই (কর্ম) পড়ে (ক্রিয়া)।” এখানে কর্তা শুরুতে, কর্ম মাঝখানে এবং ক্রিয়া শেষে এসেছে।
-
অর্থ ও ভাব অনুযায়ী (খ): বাক্যের ভাব বা অর্থ শব্দ নির্বাচনে প্রভাব ফেললেও শব্দের অবস্থান মূলত পদবিন্যাসের নিয়মে নির্ধারিত হয়।
-
বর্গ বা গুচ্ছ আকারে (গ): বাক্যে বিশেষণ-বিশেষ্য বা শব্দগুচ্ছ থাকতে পারে, তবে এটি শব্দের অবস্থান নির্ধারণ করে না; অবস্থান আসে পদবিন্যাস থেকে।
-
স্বাধীন পদের পরিচয় নিয়ে (ঘ): শব্দের পদ পরিচয় (বিশেষ্য, ক্রিয়া ইত্যাদি) তাদের ভূমিকা নির্ধারণ করে, কিন্তু বাক্যে অবস্থান নির্ধারণ করে কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া বিন্যাস।
0
Updated: 1 month ago
শুদ্ধ বানান কোনটি?
Created: 1 month ago
A
জাজ্জ্বল্যমান
B
বয়োজ্যেষ্ঠ
C
প্রোজ্বলিত
D
নিরূপম
শুদ্ধ বানান: বয়োজ্যেষ্ঠ
-
এটি একটি বিশেষণ পদ।
-
অর্থ: বয়সে বড়
অন্যদিকে, অশুদ্ধ শব্দগুলোর শুদ্ধ বানান হলো—
-
জাজ্জ্বল্যমান → জাজ্বল্যমান
-
প্রোজ্বলিত → প্রজ্বলিত
-
নিরূপম → নিরুপম
0
Updated: 1 month ago
উচ্চ -মধ্য পশ্চাৎ স্বরধ্বনি কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ই
B
ও
C
এ
D
অ
উচ্চারণের সময় জিভের অবস্থান অনুযায়ী স্বরধ্বনিগুলোকে বিভিন্নভাবে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়।
-
জিভ কতটা নিচে নামে তার ভিত্তিতে স্বরধ্বনি বিভাজন:
১. উচ্চ স্বরধ্বনি: ই, উ
২. উচ্চ-মধ্য স্বরধ্বনি: এ, ও
৩. নিম্ন-মধ্য স্বরধ্বনি: অ্যা, অ
৪. নিম্ন স্বরধ্বনি: আ -
জিভের সম্মুখ-পশ্চাৎ অবস্থান অনুযায়ী স্বরধ্বনি বিভাজন:
১. সম্মুখ স্বরধ্বনি: ই, এ, অ্যা
২. মধ্য স্বরধ্বনি: আ
৩. পশ্চাৎ স্বরধ্বনি: অ, ও, উ
0
Updated: 1 month ago
নাসিক্য বর্ণ কোনটি?
Created: 3 months ago
A
শ
B
হ
C
ল
D
ম
নাসিক্য বর্ণ
যেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস থেকে বাতাস মুখ ও নাক দিয়ে বা শুধু নাক দিয়ে বের হয়, সেগুলোকে বলে নাসিক্য ধ্বনি। এই ধ্বনিগুলোর প্রতীক যে বর্ণগুলোর মাধ্যমে প্রকাশ পায়, সেগুলোকে বলে নাসিক্য বর্ণ।
উদাহরণ: ঙ, ঞ, ণ, ন, ম।
উষ্ম ব্যঞ্জন
যেসব ধ্বনি উচ্চারণে মুখ থেকে হালকা উত্তাপের অনুভূতি হয়, সেগুলোকে বলে উষ্ম ধ্বনি।
উদাহরণ: স, শ, হ।
পার্শ্বিক ব্যঞ্জন
যেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বা মাঝখান দিয়ে বাধা দেয় কিন্তু দুই পাশে বাতাস বের হয়, সেগুলোকে বলে পার্শ্বিক ধ্বনি।
উদাহরণ: ল।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ ও ২০২১ সংস্করণ)
0
Updated: 3 months ago