বাক্যের মধ্যে শব্দ অবস্থান করে কীভাবে?
A
কর্তা ও ক্রিয়ার পদবিন্যাস অনুযায়ী
B
অর্থ ও ভাব অনুযায়ী
C
বর্গ বা গুচ্ছ আকারে
D
স্বাধীন পদের পরিচয় নিয়ে
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর হলো ক) কর্তা ও ক্রিয়ার পদবিন্যাস অনুযায়ী। বাংলায় বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে শব্দের অবস্থান সাধারণত কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া (SOV) নিয়ম মেনে চলে, যা বাক্যের ব্যাকরণগত সঠিকতা ও অর্থ স্পষ্ট করে তোলে।
-
বাংলা বাক্যের মূল বৈশিষ্ট্য: শব্দের বিন্যাস কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া (SOV) অনুসারে হয়।
-
উদাহরণ: “রানা (কর্তা) বই (কর্ম) পড়ে (ক্রিয়া)।” এখানে কর্তা শুরুতে, কর্ম মাঝখানে এবং ক্রিয়া শেষে এসেছে।
-
অর্থ ও ভাব অনুযায়ী (খ): বাক্যের ভাব বা অর্থ শব্দ নির্বাচনে প্রভাব ফেললেও শব্দের অবস্থান মূলত পদবিন্যাসের নিয়মে নির্ধারিত হয়।
-
বর্গ বা গুচ্ছ আকারে (গ): বাক্যে বিশেষণ-বিশেষ্য বা শব্দগুচ্ছ থাকতে পারে, তবে এটি শব্দের অবস্থান নির্ধারণ করে না; অবস্থান আসে পদবিন্যাস থেকে।
-
স্বাধীন পদের পরিচয় নিয়ে (ঘ): শব্দের পদ পরিচয় (বিশেষ্য, ক্রিয়া ইত্যাদি) তাদের ভূমিকা নির্ধারণ করে, কিন্তু বাক্যে অবস্থান নির্ধারণ করে কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া বিন্যাস।

0
Updated: 9 hours ago
কোন সাহিত্যাদর্শের মর্মে নৈরাশ্যবাদ আছে?
Created: 2 months ago
A
রোমান্টিসিজম
B
আধুনিকতাবাদ
C
উত্তরাধুনিকতাবাদ
D
বাস্তববাদ
উত্তর-আধুনিকতাবাদ:
- উত্তর-আধুনিকবাদ মতটি সংস্কৃতি, সাহিত্য, শিল্প, দর্শন, ইতিহাস, অর্থনীতি, স্থাপত্য, সমালোচনার ক্ষেত্রে Deconstruction ও Post-structural- ism-এর সঙ্গে অনেকটাই সংশ্লিষ্ট।
- Postmodernism শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৮৭০ সালে। জন ওয়াটকিনস চ্যাপম্যান ফরাসি Impressionism থেকে চিত্রকলাকে পৃথক করার জন্য প্রথম এই ধারার চিত্রের কথা বলেন।
- সাহিত্যের ক্ষেত্রে Postmodern ধারণাটি প্রথম আসে ১৯৭২ সালে আমেরিকান 'সীমান্ত ২' (Boundary 2) পত্রিকার মাধ্যমে। ডেভিড এনটিন, চার্লস অলসন, জর্জ লুইস বর্জ প্রমুখ এই ধারাকে বেগবান করেন। আরব-আমেরিকার লেখক ইহাব হাসান ১৯৭১ সালে উত্তর-আধুনিক ধারায় সাহিত্য সমালোচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন।
- উত্তর-আধুনিকতার মূলকথা হচ্ছে: 'সব কিছুই বহমান ও খণ্ডিত। সত্যের কোনো বস্তুগত রূপ নেই। সমস্ত নৈতিক, সামাজিক রীতি-নীতি কৃত্রিম, বিধি বহির্ভূত অকারণ ও বাইরে থেকে চাপানো; সত্য কেবল বিষয়গত ও আধ্যাত্মীয়।'
- আরনল্ড টয়েনবি, আরভিং হো, হ্যারি লেভিন, এডওয়ার্ড সাইড প্রমুখ উত্তর-আধুনিক ধারার সমর্থক।
- এই ধারা মূলত আধুনিকতার বিপরীতে পথসন্ধান করে এবং মধ্যযুগের মূল্যবোধে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। মধ্যযুগ ব্যাখ্যায় বৈজ্ঞানিকতার বদলে অনেকে ধর্মীয় ব্যাখ্যায় স্থিত হন। এখানেই উত্তর-আধুনিকতার সীমাবদ্ধতা।
- মূলত নৈরাশ্য থেকে এ পথে তারা সর্বসমস্যার সমাধান খোঁজেন। তখন আধুনিক বৈজ্ঞানিক ধারাকে পাশ কাটিয়ে তারা পতিত হন ধর্মমোহে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 months ago
কোনটি ‘নিপাতনে সিদ্ধ’ প্রত্যয়যুক্ত শব্দ?
Created: 2 weeks ago
A
শৈব
B
সৌর
C
দৈব
D
চৈত্র
উপাসক অর্থে: শিব + ষ্ণ = শৈব। সম্পর্ক বোঝাতে: দেব + ষ্ণ = দৈব, চিত্র + ষ্ণ = চৈত্র। কিন্তু বিশেষ নিয়মে: সূর্য + ষ্ণ (অ) = সৌর।

0
Updated: 2 weeks ago
"মুখ্য" এর বিপরীত শব্দ—
Created: 1 day ago
A
ক্ষুদ্র
B
ছোটো
C
তুচ্ছ
D
গৌণ
মুখ্য শব্দের বিপরীত হলো গৌণ।
অন্যান্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিপরীত শব্দ:
-
সন্ধি = বিবাদ, বিগ্রহ
-
হৃদ্যতা = কপটতা
-
হাজির = গরহাজির
-
সরস = নীরস
-
মুক্ত = আবদ্ধ
উৎস:

0
Updated: 1 day ago