ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?
A
ফিরোজ খান নুন
B
খাজা নাজিমউদ্দীন
C
নুরুল আমিন
D
ইস্কান্দার মির্জা
উত্তরের বিবরণ
ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ভিত্তি, যা পরবর্তীতে জাতীয়তাবোধের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রতিবাদ থেকেই এ আন্দোলনের সূচনা ঘটে এবং ১৯৫২ সালে তা চূড়ান্ত রূপ লাভ করে।
-
ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার গভর্নর ছিলেন ফিরোজ খান নুন।
-
সে সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিমউদ্দীন।
-
পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নুরুল আমিন।
-
বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের প্রথম ঐতিহাসিক ঘটনা হলো ভাষা আন্দোলন।
-
এ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাঙালি জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ঘটে।
-
আন্দোলনের সূত্রপাত ১৯৪৭ সালে হলেও, এটি চূড়ান্ত রূপ লাভ করে ১৯৫২ সালে।
0
Updated: 1 month ago
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কে?
Created: 2 months ago
A
অলি আহাদ
B
কাশেম আলী
C
গাজীউল হক
D
তোফাজ্জল হোসেন
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী - গান
একুশে ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
একুশে ফেব্রুয়ারির ঘটনাবলি (১৯৫২)
-
তারিখ ও দিন: ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২, বৃহষ্পতিবার (৮ ফাল্গুন ১৩৫৮ বঙ্গাব্দ)।
-
জমায়েত: পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা জমায়েত হতে থাকে।
-
বিধিনিষেধ: সরকার ১৪৪ ধারা জারি করায় ছাত্ররা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে দুজন দুজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে।
-
ছাত্রসভা: বেলা ১১টায় সভা শুরু হয়। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
-
সভাপতিত্ব: গাজীউল হক
-
বক্তৃতা: শামসুল হক, মোহাম্মদ তোয়াহা, কাজী গোলাম মাহবুব, খালেক নেওয়াজ, আবদুল মতিন
-
সভাপতি ১০ জনকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের নির্দেশ দেন।
-
-
প্রতিরোধ: পুলিশ মিছিলকারীদের উপর লাঠিচার্জ এবং কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
-
অবস্থান: মেডিকেল হোস্টেলের প্রধান ফটকের কাছে ছাত্ররা জমায়েত হয়। এখানে জগন্নাথ হলের অডিটোরিয়াম ছিল, যেখানে পূর্ববাংলা আইন পরিষদের অধিবেশন চলছিল।
-
উদ্দেশ্য: ছাত্ররা চাইছিলেন অধিবেশনে যোগদানকারী সদস্যদের কাছে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার সুপারিশ পৌঁছে দিতে।
-
বিবাদ: ছাত্ররা শ্লোগান দিতে থাকলে পুলিশ তাদের তাড়া করে। প্রতিবাদে ছাত্ররা ইট-পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে।
-
শহিদ ও আহত:
-
ঘটনাস্থলেই শহীদ: আব্দুল জব্বার, রফিকউদ্দিন আহমদ
-
আহত: প্রায় ১৭ জন, রাত ৮টায় আবুল বরকত শহীদ হন
-
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়), দৈনিক ইত্তেফাক (২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১)
0
Updated: 2 months ago
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
নূরুল আমিন
B
খাজা নাজিমুদ্দীন
C
আতাউর রহমান খান
D
এ. কে. ফজলুল হক
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নূরুল আমিন নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগ সরকার ১৪৪ ধারা জারি করেছিল এবং ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল।
-
ফিরোজ খান নুন ছিলেন ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার গভর্নর।
-
পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল ছিলেন গোলাম মোহাম্মদ।
-
প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিমউদ্দীন।
-
পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নূরুল আমিন।
-
ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের প্রথম উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
-
এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালির জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ঘটে।
-
ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত হয় ১৯৪৭ সালে এবং এটি চূড়ান্ত রূপ পায় ১৯৫২ সালে।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় ২ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন -
Created: 2 months ago
A
মেজর রফিকুল ইসলাম
B
মেজর মীর শওকত আলী
C
মেজর খালেদ মোশাররফ
D
মেজর নাজমুল হক
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ও কমান্ডারগণ
-
১ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর জিয়াউর রহমান, পরে মেজর রফিকুল ইসলাম।
-
২ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর খালেদ মোশাররফ, পরে মেজর এ.টি.এম হায়দার।
-
৩ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর কে.এম শফিউল্লাহ, পরে মেজর এ.এন.এম নূরুজ্জামান।
-
৪ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত, পরে ক্যাপ্টেন এ রব।
-
৫ নং সেক্টর: মেজর মীর শওকত আলী।
-
৬ নং সেক্টর: উইং কমান্ডার এম. খাদেমুল বাশার।
-
৭ নং সেক্টর: মেজর নাজমুল হক; পরে সুবেদার মেজর এ. রব ও মেজর কাজী নূরুজ্জামান।
-
৮ নং সেক্টর: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী; পরে মেজর এম.এ মঞ্জুর।
-
৯ নং সেক্টর: মেজর এম.এ জলিল; পরে মেজর এম.এ মঞ্জুর ও মেজর জয়নাল আবেদীন।
-
১০ নং সেক্টর: নৌ-কমান্ডো বাহিনী নিয়ে গঠিত; নিয়মিত সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না।
-
১১ নং সেক্টর: মেজর এম. আবু তাহের; গুরুতর আহত হলে স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহ দায়িত্ব পান।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago