'সে কৌতুক করার কৌতূহল সংবরণ করতে পারল না।'- এই বাক্য কী কারণে ত্রুটিপূর্ণ?
A
বানান ভুল আছে
B
বাক্যের পদবিন্যাস যথাযথ নয়
C
অর্থ অনুযায়ী শব্দের প্রয়োগ হয়নি
D
বিশেষ্য-বিশেষণের অপপ্রয়োগ ঘটেছে
উত্তরের বিবরণ
এই প্রশ্নে মূল সমস্যা হলো শব্দের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়নি। বাক্য বিশ্লেষণ করলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
-
"কৌতূহল" শব্দের অর্থ হলো কোনো বিষয়ে জানার আগ্রহ, অনুসন্ধিৎসা বা কুরিয়োসিটি (Curiosity)। এটি সাধারণত তথ্য, ঘটনা বা রহস্য বোঝার ইচ্ছাকে নির্দেশ করে।
-
বাক্যে ব্যবহৃত "কৌতুক করার কৌতূহল" বলতে বোঝানো হয়েছে রসিকতা করার আগ্রহ, যা "কৌতূহল" শব্দের প্রকৃত অর্থের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
-
কোনো কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশের জন্য যথাযথ শব্দ হবে "আগ্রহ", "ইচ্ছা" বা "প্রবৃত্তি"।
-
সঠিক রূপে বাক্য লেখা যেতে পারে:
-
"সে কৌতুক করার আগ্রহ সংবরণ করতে পারল না।"
-
"সে কৌতুক করার ইচ্ছা দমন করতে পারল না।"
-
অন্যান্য অপশন বিশ্লেষণ:
-
ক) বানান ভুল নেই; "কৌতুক", "কৌতূহল", "সংবরণ" শব্দগুলির বানান সঠিক।
-
খ) বাক্যের পদবিন্যাস যথাযথ; কর্তা–কর্ম–ক্রিয়ার অবস্থান ঠিকভাবে আছে। যেমন: "সে" (কর্তা), "কৌতুক করার কৌতূহল" (কর্ম), "সংবরণ করতে পারল না" (ক্রিয়া)।
-
ঘ) বিশেষ্য-বিশেষণের অপপ্রয়োগ ঘটেনি; "কৌতুক করার" বিশেষণটি "কৌতূহল" বিশেষ্যকে সঠিকভাবেই বিশেষিত করছে।

0
Updated: 9 hours ago
'বিষবৃক্ষ' বাগ্ধারাটি কী অর্থ প্রকাশ করে?
Created: 2 weeks ago
A
প্রতিবন্ধক
B
অনিষ্টকারী
C
অদৃশ্য বস্তু
D
নষ্ট করা
বাংলা কথাবার্তা ও প্রবাদসমূহ
-
বিষবৃক্ষ
-
অর্থ: অনিষ্টকারী
-
বাক্য উদাহরণ: চোরের ছেলে বাটপাড় হয়েছে—বিষবৃক্ষের ফল আর কী হবে?
-
-
পথের কাঁটা
-
অর্থ: প্রতিবন্ধক
-
-
ডুমুরের ফুল
-
অর্থ: অদৃশ্য বস্তু
-
-
মাথা খাওয়
-
অর্থ: নষ্ট করা
-
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 2 weeks ago
নিচের কোন শব্দটির পুরুষ বাচক শব্দ নেই?
Created: 2 weeks ago
A
বাদী
B
দাত্রী
C
তাদৃশী
D
ডাইনী
নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ বলতে শুধু স্ত্রী বাচক শব্দ বোঝায়। নিত্য স্ত্রী বাচক শব্দের কখনো পুরুষ বাচক শব্দ হয়না। যেমন - সতীন, কুলটা, বিমাতা, পোয়াতী, সধবা, বিধবা, ডাইনি ইত্যাদি।

0
Updated: 2 weeks ago
'ত্রিনয়ন' শব্দে 'ন' ব্যবহৃত হওয়ার কারণ কী?
Created: 2 weeks ago
A
এটি তদ্ভব শব্দ
B
এটি দেশি শব্দ
C
এটি সমাসবদ্ধ শব্দ
D
এটি বিদেশি শব্দ
• "ণ-ত্ব বিধান":
বাংলা ভাষায় বহু তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে মূর্ধন্য-ণ এবং দন্ত্য-ন এর ব্যবহার রয়েছে। এগুলো বাংলা বানানেও অবিকৃতভাবে রক্ষিত হয়।
এখানে:
-
তৎসম শব্দের বানানে ণ-এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ণ-ত্ব বিধান।
-
ট-বর্গীয় ধ্বনির আগে তৎসম শব্দে সব সময় 'ণ' ব্যবহৃত হয়।
-
ঋ, র, ষ এর পরে 'ণ' বসে।
যেসকল ক্ষেত্রে ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য নয়:
১. সমাসবদ্ধ শব্দে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান খাটে না। এরূপ ক্ষেত্রে ‘ন’ হয়। যেমন- ত্রিনয়ন, সর্বনাম ইত্যাদি।
২. ত-বর্গীয় বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয় ন কখনো (ণ হয় না)। যেমন- অন্ত, গ্রন্থ ইত্যাদি।
৩. বাংলা (দেশি), তদ্ভব ও বিদেশি শব্দের বানানে 'ণ' লেখার প্রয়োজন হয় না।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (সংস্করণ ২০১৯)

0
Updated: 2 weeks ago