'সে কৌতুক করার কৌতূহল সংবরণ করতে পারল না।'- এই বাক্য কী কারণে ত্রুটিপূর্ণ?
A
বানান ভুল আছে
B
বাক্যের পদবিন্যাস যথাযথ নয়
C
অর্থ অনুযায়ী শব্দের প্রয়োগ হয়নি
D
বিশেষ্য-বিশেষণের অপপ্রয়োগ ঘটেছে
উত্তরের বিবরণ
এই প্রশ্নে মূল সমস্যা হলো শব্দের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়নি। বাক্য বিশ্লেষণ করলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
-
"কৌতূহল" শব্দের অর্থ হলো কোনো বিষয়ে জানার আগ্রহ, অনুসন্ধিৎসা বা কুরিয়োসিটি (Curiosity)। এটি সাধারণত তথ্য, ঘটনা বা রহস্য বোঝার ইচ্ছাকে নির্দেশ করে।
-
বাক্যে ব্যবহৃত "কৌতুক করার কৌতূহল" বলতে বোঝানো হয়েছে রসিকতা করার আগ্রহ, যা "কৌতূহল" শব্দের প্রকৃত অর্থের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
-
কোনো কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশের জন্য যথাযথ শব্দ হবে "আগ্রহ", "ইচ্ছা" বা "প্রবৃত্তি"।
-
সঠিক রূপে বাক্য লেখা যেতে পারে:
-
"সে কৌতুক করার আগ্রহ সংবরণ করতে পারল না।"
-
"সে কৌতুক করার ইচ্ছা দমন করতে পারল না।"
-
অন্যান্য অপশন বিশ্লেষণ:
-
ক) বানান ভুল নেই; "কৌতুক", "কৌতূহল", "সংবরণ" শব্দগুলির বানান সঠিক।
-
খ) বাক্যের পদবিন্যাস যথাযথ; কর্তা–কর্ম–ক্রিয়ার অবস্থান ঠিকভাবে আছে। যেমন: "সে" (কর্তা), "কৌতুক করার কৌতূহল" (কর্ম), "সংবরণ করতে পারল না" (ক্রিয়া)।
-
ঘ) বিশেষ্য-বিশেষণের অপপ্রয়োগ ঘটেনি; "কৌতুক করার" বিশেষণটি "কৌতূহল" বিশেষ্যকে সঠিকভাবেই বিশেষিত করছে।
0
Updated: 1 month ago
দুটি বিশেষণ পদে গঠিত কর্মধারয় সমাসের দৃষ্টান্ত কোনটি?
Created: 1 month ago
A
কাঁচকলা
B
চালাকচতুর
C
দুঃশাসন
D
মহাত্মা
• দুটি বিশেষণ পদে গঠিত কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ: চালাকচতুর।
--------------------
• কর্মধারয় সমাস:
বিশেষ্য ও বিশেষণ পদে বা বিশেষ্য ও বিশেষণ ভাবাপন্ন পদে যে সমাস হয় এবং যেখানে পরপদের অর্থ প্রধানরূপে প্রাধান্য পায় তাকে 'কর্মধারয়' সমাস বলে। কর্মধারয় সমাসে সাধারণত বিশেষণ পদ আগে বসে।
যেমন:
- ফুলের মতো কুমারী = ফুলকুমারী,
- নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম।
সমাসবদ্ধ শব্দে বিশেষ্য ও বিশেষণের অবস্থানগত পার্থক্য নির্দেশ করে কিছু উদাহরণ:
(বিশেষণ+ বিশেষ্য):
কাঁচা যে কলা = কাঁচকলা;
দুঃ যে শাসন = দুঃশাসন;
মহৎ যে আত্মা = মহাত্মা।
(বিশেষণ+ বিশেষণ):
যে চালাক সেই চতুর = চালাকচতুর,
যা কাঁচা তা-ই মিঠা = কাঁচামিঠা (কাঁচামিঠে)।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।
0
Updated: 1 month ago
যে পদে বাক্যের ক্রিয়াপদটির গুণ, প্রকৃতি, তীব্রতা ইত্যাদি প্রকৃতিগত অবস্থা বোঝায়, তাকে বলা হয়-
Created: 3 months ago
A
ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য
B
ক্রিয়াবিশেষণ
C
ক্রিয়াবিশেষ্যজাত বিশেষণ
D
ক্রিয়াবিভক্তি
• ক্রিয়াবিশেষণ:
ক্রিয়াবিশেষণ ক্রিয়া সংঘটনের ভাব, কাল বা রূপ নির্দেশ করে। ক্রিয়াবিশেষণ বাক্যের ক্রিয়াকে বিশেষিত করে। এটি ক্রিয়ার গুণ, প্রকৃতি, তীব্রতা, বৈশিষ্ট্য ও অর্থ-প্রকাশক শব্দ হিসেবে কাজ করে এবং ক্রিয়া সময় স্থান, প্রকার, উৎস, উপকরণ ইত্যাদি প্রকৃতিগত অবস্থার অর্থগত ধারণা দেয়।
নিচের বাক্যে নিম্নরেখ শব্দগুলাে ক্রিয়া বিশেষণের উদাহরণ:
- ছেলেটি দ্রুত দৌড়ায়।
- লোকটি ধীরে হাঁটে।
এখানে দ্রুত, ধীরে শব্দ গুলো হল ক্রিয়া বিশেষণ।
ক্রিয়া বিশেষণকে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
• ধরনবাচক ক্রিয়া বিশেষণ: কোনাে ক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হয়, ধরন বাচক ক্রিয়াবিশেষণ তা নির্দেশ করে।
যেমন
- টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে।
- ঠিকভাবে চললে কেউ কিছু বলবে না।
• কালবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: এই ধরনের ক্রিয়াবিশেষণ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল নির্দেশ করে।
যেমন:
- যথাসময়ে সে হাজির হয় ।
• স্থানবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: ক্রিয়ার স্থান নির্দেশ করে স্থানবাচক ক্রিয়াবিশেষণ।
যেমন: মিছিলটি সামনে এগিয়ে যায়।
• নেতিবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: না, নি ইত্যাদি দিয়ে ক্রিয়ার নেতিবাচক অবস্থা বোঝায়। এগুলো সাধারণত ক্রিয়ার পরে বসে।
যেমন:
- তিনি আর এখন ক্রিকেট খেলেন না।
• পদাণু ক্রিয়াবিশেষণ: 'কি', 'যে', 'বা', 'না', 'ত' ইত্যাদি পদাণু ক্রিয়াবিশেষণ হিসেবে কাজ করে।
যেমন:
- আমি কি যাব?
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ) এবং ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।
0
Updated: 3 months ago
"মহৌৎসুক্য' শব্দের সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
মহা + ওৎসুক্য
B
মহ + ঔৎসুক্য
C
মহা + ঔৎসুক্য
D
মহঃ + ঔৎসুক্য
সন্ধির নিয়ম অনুযায়ী, যখন প্রথম পদের শেষে অ-ধ্বনি বা আ-ধ্বনি এবং দ্বিতীয় পদের শুরুতে ও-ধ্বনি বা ঔ-ধ্বনি থাকে, তখন তাদের সংযোগে ঔ-ধ্বনি সৃষ্টি হয়। বানানে এটি ঔ-কারের রূপে প্রকাশিত হয়ে আগের বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়।
উদাহরণসমূহ:
-
আ + ঔ = ঔ
-
মহা + ঔৎসুক্য = মহৌৎসুক্য
-
মহা + ঔদার্য = মহৌদার্য
-
মহা + ঔদাস্য = মহৌদাস্য
-
-
অ + ঔ = ঔ
-
পরম + ঔষধ = পরমৌষধ
-
চিত্ত + ঔদার্য = চিত্তৌদার্য
-
দিব্য + ঔষধ = দিব্যৌষধ
-
0
Updated: 3 weeks ago