'ব্যাং' শব্দটি 'ং' দিয়ে লিখতে হবে, কারণ-
A
ঙ-এর হসন্ত উচ্চারণ ং হয়
B
্যা-এর পর ং হয়
C
' ং’ বাংলা ভাষার নিজস্ব বর্ণ
D
ব্যাং একটি একাক্ষর শব্দ
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর হলো ক) ঙ-এর হসন্ত উচ্চারণ ং হয়।
বাংলা ভাষায় ‘ব্যাং’ শব্দটি আসলে ‘ব্যাঙ’ থেকে উৎপন্ন। এখানে ‘ঙ’ অনুনাসিক বর্ণ হলেও যখন এটি হসন্ত অবস্থায় থাকে, তখন তার উচ্চারণ অনুস্বার ‘ং’ ধ্বনিতে রূপ নেয়। তাই শব্দের শেষে অনুনাসিক ধ্বনি প্রকাশের জন্য ‘ব্যাং’-এ ‘ং’ ব্যবহার করা হয়।
"ঙ এবং ং"-এর উচ্চারণ
-
শব্দের শেষে প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে সাধারণভাবে অনুস্বার (ং) ব্যবহৃত হয়।
যেমন: গাং, ঢং, পালং, রং, রাং, সং। -
অনুস্বারের সঙ্গে স্বর যুক্ত হলে সেখানে ‘ঙ’ ব্যবহৃত হয়।
যেমন: বাঙালি, ভাঙা, রঙিন, রঙের। -
তবে কিছু বিশেষ শব্দে যেমন বাংলা ও বাংলাদেশ-এ অনুস্বার ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 9 hours ago
ধ্বনি-পরিবর্তনের নিয়মে কোনটি বর্ণ-বিপর্যয়-এর দৃষ্টান্ত?
Created: 4 days ago
A
রতন
B
কবাট
C
পিচাশ
D
মুলুক
'আনোয়ারা' হলো মোহাম্মদ নজিবর রহমানের রচিত একটি কালজয়ী সামাজিক উপন্যাস যা বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে।
এটি তার প্রথম ও সবচেয়ে সার্থক উপন্যাস হিসেবে পরিচিত এবং উপন্যাসে ধর্ম ও সত্যের জয়, অধর্মের পরাজয় এবং আনোয়ারার স্বামীনিষ্ঠার বিষয় প্রধানভাবে ফুটে উঠেছে।
-
প্রকাশের সাল ও স্থান: ১৯১৪ সালের ১৫ জুলাই (১৩২১ বঙ্গাব্দে) কলকাতা থেকে প্রথম প্রকাশিত।
-
প্রতিপাদ্য: ধর্ম ও সত্যের জয়, অধর্মের পরাজয়, আনোয়ারার স্বামীনিষ্ঠা।
-
মূল চরিত্র: আনোয়ারা, নুরুল এসলাম, খাদেম, আজিমুল্লাহ, গোলাপজান।
-
লেখকের অন্যান্য রচনা:
-
চাঁদতারা বা হাসান গঙ্গা বাহমনি (১৯১৭)
-
পরিণাম (১৯১৮)
-
গরীবের মেয়ে (১৯২৩)
-
দুনিয়া আর চাই না (১৯২৪)
-

0
Updated: 4 days ago
গাড়ি চলে না, চলে না, নারে........গানের গীতিকার কে?
Created: 1 month ago
A
সঞ্জীব চৌধুরী
B
বাপ্পা মজুমদার
C
শাহ্ আবদুল করিম
D
দাশরথি রায়
শাহ্ আবদুল করিম
শাহ্ আবদুল করিম ছিলেন একজন খ্যাতনামা লোকসঙ্গীত শিল্পী, গীতিকার এবং সুরকার। তিনি ১৯১৬ সালে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ধলআশ্রম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার সঙ্গীত যাত্রা শুরু হয় বাংলা ভাবধারার বাউল সংস্কৃতির মাধ্যমে।
প্রথমদিকে তিনি বাউল সঙ্গীতের পাশাপাশি ভক্তিমূলক গান, জারি, সারি এবং রাধাকৃষ্ণ সম্পর্কিত পালাগান গাইতেন। তবে জীবনের পরবর্তী সময়ে তিনি গণসঙ্গীত রচনা ও পরিবেশনে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন।
শাহ্ আবদুল করিম ছিলেন গণচেতনার সঙ্গীতের একজন প্রভাবশালী রচয়িতা, সুরকার ও গায়ক, পাশাপাশি বাউল আঙ্গিকের একজন দক্ষ শিল্পী। কৈশোর থেকেই তিনি গণসঙ্গীতের প্রতি গভীর অনুরাগ অনুভব করতেন, যা সম্ভবত তার জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত।
তার রচিত বেশ কিছু জনপ্রিয় গানের কয়েকটি পঙ্ক্তি হলো—
-
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।
-
কেমনে ভুলিবো আমি বাঁচি না তারে ছাড়া।
-
গাড়ি চলে না, চলে না, নারে।
-
বন্দে মায়া লাগাইছে, পিরিতি শিখাইছে।
-
গান গাই আমার মনরে বুঝাই।
-
আইলায় না আইলায় নারে বন্ধু।
-
বসন্ত বাতাসে সইগো, ইত্যাদি।
সূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
'আলোছায়া' শব্দটি কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 3 weeks ago
A
তৎপুরুষ সমাস
B
দ্বন্দ্ব সমাস
C
কর্মধারয় সমাস
D
বহুব্রীহি সমাস
দ্বন্দ্ব সমাস
সংজ্ঞা
যে সমাসে প্রতিটি সমস্যমান পদের অর্থ সমান প্রাধান্য পায়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।
বৈশিষ্ট্য
-
প্রতিটি পদের অর্থ সমানভাবে রক্ষিত হয়।
-
ব্যাসবাক্যে (পূর্ণ বাক্যে) “এবং / ও / আর” ইত্যাদি অব্যয় দ্বারা সম্পর্ক প্রকাশ পায়।
উদাহরণ
-
আলো + ছায়া → আলোছায়া (আলো ও ছায়া)
-
তাল + তমাল → তালতমাল (তাল ও তমাল)
-
দোয়াত + কলম → দোয়াতকলম (দোয়াত ও কলম)
-
মাতা + পিতা → মাতাপিতা (মাতা ও পিতা)
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৮ সংস্করণ

0
Updated: 3 weeks ago