জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত জনসংখ্যা সবচেয়ে কম কোন বিভাগে?
A
রংপুর
B
ময়মনসিংহ
C
বরিশাল
D
খুলনা
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত জনগণের সংখ্যা ও তাদের অবস্থান সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জনশুমারি ও গৃহগণনায় এই জনগণের সংখ্যা ১৬,৫০,১৫৯ জন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে, যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১%। তবে, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত নেতৃবৃন্দ ও গবেষকরা এই সংখ্যা অনেক কম বলে মনে করেন এবং প্রকৃত সংখ্যা ৩০ লাখেরও বেশি হতে পারে বলে দাবি করেন (The Daily Star)।
এই জনগণের মধ্যে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাঁওতাল, ওরাওঁ ও গারো অন্যতম প্রধান জাতিগত গোষ্ঠী। তাদের মধ্যে চাকমা গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, যা ৪,৮৩,৩৬৫ জন। মারমা গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ২,২৪,২৯৯ জন, ত্রিপুরা গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ১,৫৬,৬২০ জন, সাঁওতাল গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ১,২৯,০৫৬ জন, ওরাওঁ গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ৮৫,৮৫৮ জন এবং গারো গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ৭৬,৮৫৪ জন।
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত জনগণ প্রধানত চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বসবাস করে থাকেন। তাদের মধ্যে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাঁওতাল, ওরাওঁ ও গারো গোষ্ঠীগুলি উল্লেখযোগ্য। তবে, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত জনগণের সংখ্যা ও তাদের অবস্থান সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েবসাইট ও অন্যান্য অথেনটিক সংবাদপত্রের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা যেতে পারে।

0
Updated: 10 hours ago
ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী, বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত?
Created: 3 days ago
A
১.২০%
B
১.১৫%
C
১.১২%
D
১.১০%
বাংলাদেশের ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুষ্ঠিত হয় ১৫ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত। এই গণনায় দেশের মোট জনসংখ্যা, জনঘনত্ব, সাক্ষরতার হারসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
মোট জনসংখ্যা দাঁড়ায় ১৬,৯৮,২৮,৯১১ জন।
-
বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১.১২%।
-
সাক্ষরতার হার ছিল ৭৪.৮০%।
-
তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত হয় CPI পদ্ধতি, আর গণনার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় Modified De-fecto পদ্ধতি।
-
জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক থেকে ঢাকা বিভাগে ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি এবং বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম।
-
জেলার হিসেবে সবচেয়ে কম জনঘনত্বের অধিকারী হলো রাঙ্গামাটি জেলা।

0
Updated: 3 days ago
ভাষা আন্দোলন নিয়ে বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
কবর
B
একুশের গল্প
C
আরেক ফাল্গুন
D
মাতৃ ভাষা
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
বাংলা উপন্যাস
বাংলাদেশ জাতীয় আর্কাইভ
বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উপজাতি
ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক প্রথম উপন্যাস ও সাহিত্যকর্ম
-
প্রথম উপন্যাস:
-
ভাষা আন্দোলনকে উপজীব্য করে বাংলা সাহিত্যে প্রথম উপন্যাস হলো জহির রায়হানের আরেক ফাল্গুন।
-
প্রকাশকাল: ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দ।
-
কাহিনির প্রেক্ষাপট: ১৯৫৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবস পালনের অভিজ্ঞতা।
-
উপন্যাসে পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযানের পর একজন চরিত্র বলে ওঠে—
"আসছে ফাল্গুনে আমরা দ্বিগুণ হবো।" -
প্রধান চরিত্র: মুনিম, আসাদ, রসুল, সালমা প্রমুখ।
-
এতে বাঙালির জাতীয় ঐতিহাসিক সংগ্রামকে শিল্পরূপ দেওয়া হয়েছে।
-
-
প্রথম নাটক:
-
ভাষা আন্দোলন নিয়ে প্রথম বাংলা নাটক হলো মুনীর চৌধুরীর কবর।
-
-
প্রথম গল্প:
-
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত প্রথম গল্প হলো জহির রায়হানের একুশের গল্প।
-
তথ্যসূত্র:
ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 3 weeks ago
ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ
B
ছাত্রলীগ
C
তমদ্দুন মজলিশ
D
রাষ্ট্রভাষা বাংলা কমিটি
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
বাংলা উপন্যাস
বাংলাদেশ জাতীয় আর্কাইভ
বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উপজাতি
ভাষা আন্দোলন
ভাষা আন্দোলন
-
প্রথম সংগঠন:
-
ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন ছিল তমদ্দুন মজলিশ।
-
এটি ছিল ইসলামী আদর্শভিত্তিক একটি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেমের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর নামকরণ করা হয় পাকিস্তান তমদ্দুন মজলিশ।
-
-
প্রাসঙ্গিক ইতিহাস:
-
ভাষা আন্দোলন মূলত ছিল বাঙালি সংস্কৃতির স্বাধিকার আন্দোলন।
-
১৯০৬ সালে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সময় প্রথম উর্দু বনাম বাংলা বিতর্ক দেখা দেয়।
-
১৯৩৭ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মুসলিম লীগের দাপ্তরিক ভাষা উর্দু করার প্রস্তাব দিলে, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক এর প্রবল বিরোধিতা করেন।
-
ভাষা আন্দোলনের প্রথম পুস্তিকা প্রকাশ করেছিল তমদ্দুন মজলিশ।
-
-
গুরুত্ব:
-
বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের প্রথম ধাপ ছিল ভাষা আন্দোলন।
-
এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাঙালি জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ও বিকাশ ঘটে।
-
ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয় ১৯৪৭ সালে এবং এটি চূড়ান্ত রূপ লাভ করে ১৯৫২ সালে।
-
📖 তথ্যসূত্র:
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, নবম-দশম শ্রেণি; বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 weeks ago