জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬ এর শিরোনাম কোনটি?
A
উন্নয়নমুখী বাজেট: আগামীর বাংলাদেশ
B
সামাজিক নিরাপত্তা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন
C
বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়
D
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথ
উত্তরের বিবরণ
জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ও সরকারের পরিকল্পনার একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র উপস্থাপন করে, যেখানে বিভিন্ন খাতের বরাদ্দ, বাজেট ঘাটতি, জিডিপি এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক সূচক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
-
বাজেটের ক্রম: ৫৪তম (অন্তর্বর্তীকালীন সহ ৫৫তম)
-
বাজেটের শিরোনাম: 'বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়'
-
বাজেট উত্থাপনকারী: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ (অর্থ উপদেষ্টা)
-
বাজেট উত্থাপন: ২ জুন, ২০২৫
-
অনুমোদন: ২২ জুন, ২০২৫
-
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১ জুলাই, ২০২৫
-
জিডিপির আকার: ৬২,৪৪,৫৭৮ কোটি টাকা
-
জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার: ৫.৫%
-
বাজেটের আকার: ৭,০০,০০০ কোটি টাকা
-
অনুদান ব্যতীত বাজেট ঘাটতি: ২,২৬,০০০ কোটি টাকা
-
অনুদানসহ বাজেট ঘাটতি: ২,২১,০০০ কোটি টাকা
-
সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত খাত (পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেট): জনপ্রশাসন
-
উন্নয়ন বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত খাত: পরিবহন ও যোগাযোগ
-
অনুন্নয়ন (পরিচালন) বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত খাত: সুদ
-
মাথাপিছু আয়: ২,৮২০ মার্কিন ডলার
-
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (ADP): ২,৩০,০০০ কোটি টাকা (জিডিপির ৩.৭%)
-
উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ: ২,৪৫,৬০৯ কোটি টাকা
-
অনুমিত মুদ্রাস্ফীতির হার: ৬.৫%
0
Updated: 1 month ago
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য মাত্রা কত?
Created: 1 month ago
A
৭%
B
৬.৫%
C
৫.৫%
D
৪.৫%
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত জাতীয় বাজেটে রাজস্ব, ব্যয় ও ঘাটতির পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মসূচি ও অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
-
বাজেট ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
-
বাজেট বক্তৃতার শিরোনাম: “বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়”
-
বাজেটের মোট পরিমাণ: ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা
-
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি): ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা
-
রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা: ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা
-
বাজেটে ঘাটতি: ৩.৬২ শতাংশ
-
বাজেটের পরিচালন ব্যয়: ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা
-
জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা: ৫.৫ শতাংশ
-
মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য: ৬.৫ শতাংশ
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতির নাম কী?
Created: 3 months ago
A
সৈয়দ নজরুল ইসলাম
B
তাজউদ্দিন আহমেদ
C
শেখ মুজিবুর রহমান
D
ক্যাপটেন মনসুর আলী
বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার নামে অস্থায়ী প্রবাসী সরকার গঠিত হয়। এটি ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার।
এই সরকারের প্রধানদের নামগুলো হলো:
-
রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
-
উপরাষ্ট্রপতি ও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম
-
প্রধানমন্ত্রী: তাজউদ্দিন আহমেদ
-
স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী: এ এইচ এম কামরুজ্জামান
-
অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রী: এম মনসুর আলী
-
পররাষ্ট্র ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী: খন্দকার মুশতাক আহমেদ
(সূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণী)
0
Updated: 3 months ago
বাংলাদেশের সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় নিয়মতান্ত্রিক প্রধান কে?
Created: 3 months ago
A
প্রধানমন্ত্রী
B
রাষ্ট্রপতি
C
স্পিকার
D
সংসদ সচিব
বাংলাদেশ একটি সংসদীয় শাসনব্যবস্থার দেশ, যেখানে নিয়মতান্ত্রিক প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতির পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন মোঃ সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রপতির ভূমিকা
-
রাষ্ট্রপতি দেশের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থাকেন।
-
তিনি সংবিধান ও আইনের অধীনে নির্ধারিত ক্ষমতা ও দায়িত্ব পালন করেন।
-
সংবিধানের চতুর্থ ভাগে (অনুচ্ছেদ ৪৮ থেকে ৫৪ পর্যন্ত) রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব, ক্ষমতা ও নিয়মাবলি উল্লেখ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির কার্যক্রম ও ক্ষমতা
-
বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা সাংবিধানিকভাবে একটি প্রজাতন্ত্র, যার ফলে রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন দেশের নির্বাহী প্রধান। তবে বাস্তবে তিনি অলঙ্কারিক প্রধান, অর্থাৎ তাঁর কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
-
রাষ্ট্রপতি ৫ বছরের জন্য জাতীয় সংসদের সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন।
-
প্রয়োজনে সংসদ রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অভিশংসন এনে তাঁকে অপসারণ করতে পারে।
রাষ্ট্রপতি হওয়ার যোগ্যতা
-
রাষ্ট্রপতি হতে হলে বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে এবং বয়স কমপক্ষে ৩৫ বছর হতে হবে।
-
সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে।
-
তিনি যদি আগে কখনো রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অপসারিত না হয়ে থাকেন, তাহলে এই পদে নির্বাচন করতে পারবেন।
-
রাষ্ট্রপতির মেয়াদ চলাকালীন তিনি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না।
রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব
-
সরকার পরিচালনার সব কার্যক্রম রাষ্ট্রপতির নামে সম্পন্ন হয়।
-
তিনি প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের নিয়োগ দেন।
-
প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, নির্বাচন কমিশনার, মহাহিসাব নিরীক্ষক, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়ে থাকেন।
-
বিদেশি রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারদের পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন।
-
তিনি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক।
আইন ও সংসদ সংক্রান্ত দায়িত্ব
-
জাতীয় সংসদের অধিবেশন ডাকেন।
-
সংসদে কোনো বিল পাস হলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য তা তাঁর কাছে পাঠানো হয়।
-
প্রয়োজনে, বিশেষ করে সংসদ না থাকলে, রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করে আইন করতে পারেন।
অন্যান্য দায়িত্ব ও সম্মানসূচক কাজ
-
রাষ্ট্রপতি দেশের সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক।
-
তিনি জাতির বিভিন্ন অবদানের জন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পদক ও খেতাব দিয়ে সম্মানিত করেন।
-
রাষ্ট্রপতির অনুমতি ছাড়া কেউ বিদেশি খেতাব গ্রহণ করতে পারে না।
-
রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করা এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শপথ বাক্য পাঠ করানোও তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 3 months ago